পটুয়াখালী, ২৭ জুন (সঞ্জয় কুমার দাস/আমাদের বরিশাল ডটকম): পটুয়াখালী শহরের কলেজ রোড এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২ সন্তানের জননী মোসাম্মৎ রিমা (২৭) নামের এক গৃহবধু। ২৭ জুন বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে গণধর্ষণের পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে রিমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকায় ৬/৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই গৃহবধুকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম আমাদের বরিশাল ডটকমকে জানান, ২৭ জুন বুধবার সকালে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য রিমা পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আসেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে রিমা ও তার ৪ বছরের শিশুকন্যা অটোরিক্সাযোগে কলেজ রোড এলাকায় পৌছলে ওই এলাকার আবুল হাওলাদারের পুত্র আল-আমিন(২৩) এর নেতৃত্বে উজ্জ্বল বিশ্বাস (২২), নুরুজ্জামান সিকদার নঈম (২১)সহ ৬/৭ জনের এক দল বখাটে রিমাকে জোরপূর্বক তুলে বিএডিসি অফিসের সামনে এলাকার আবুল হাওলাদারের ভাড়াটিয়া বাসার দোতলায় নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। বখাটেরা রিমার ধর্ষনের ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে। এসময় ধর্ষকরা গৃহবধুর শরীরে থাকা ২ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বার্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ আশংকাজনক অবস্থায় রিমাকে ও তার সাথে থাকা ৪ বছরের মেয়ে উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক উজ্জল ও নঈমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১২ সকাল ৭:২০