ছ্যাকা না খাওয়ার কিছু টিপস দিলাম.....কিছু নেট হতে সংগৃগীত, কিছু বন্ধুদের দেখে, কিছু নিজের অভিজ্ঞতা লব্ধ। আর টিপসগুলো প্রেমিকদের জন্য।
১. প্রথম কথা হচ্ছে যাকে ভালবাসবেন তার প্রতি কমিটেড থাকুন।একই সংগে তিন চারটা সিম চালাবেন না।
২.আপনার প্রিয়তমাকে দিনে একবার হলেও ভালবাসার কথা প্রকাশ করুন, একই ভাবে না, ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে, বা বুদ্ধীদিপ্ত ভাষায়।
৩. টুকটাক ছোটখাট গিফট দিন। যেমন কানের টপ, ছোট্ট আয়না, ছোট্ট টেডি ইত্যাদি।
৪. আপনার প্রিয়তমাকে অ্যাপরিসিয়েট করুন সবসময়, কি পড়লে তাকে সুন্দর, স্মার্ট দেখায় সেটি বলুন। কিভাবে চুল বাধলে তাকে সুন্দর লাগে সেটা বলুন।
৫. নিজের প্রিয়তমাকে সবসময় বিশ্বের সেরা সুন্দরী ভাববেন।
৬. মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে ঘুড়তে বের হবেন। কোন রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে পারেন।
৭. আপনার প্রিয়তমা কি চায় সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন, ধরুন আপনি আপনার সঙ্গীনির সাথে রিকশায় যাচ্ছেন, আপনার প্রিয়তমা চাচ্ছে আপনি তার কোমরে বা হাতে ধরে হোল্ড করুন, কিন্তু লজ্জায় বলতে পারছে না, আপনি বুঝে নিন।
৮. দুজনে পাশাপাশি হাটার সময় আপনি আপনার সঙ্গীনির পেছনে থাকবেন, কখনো আগে আগে হাটবেন না।
৯. কাজ কাজ করে পাগল থাকবেন না। প্রিয়তমার সাথে ঘুরার সময় ব্যাস্ততার ভান করবেন না।
১০. অন্য কোন কারণে জমে থাকা স্ট্রেস বা ক্ষোভ আপনার প্রেমিকার উপরে ঝারবেন না।
১১. প্রেমিকাকে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকুন। রাত বারটায় আপনার প্রেমিকার ফোন বিজি থাকলে সে যে অন্য ছেলের সাথে প্রেম করছে এটা ভাবা থেকে বিরত থাকুন।
১২. আপনার প্রেমিকার আগে কোন ছেলের সাথে যদি ঘনিষ্ঠতা থাকে এবং আপনি যদি রিলেশনের পরে সেটা জানতে পারেন, তখন আগেই এটা নিয়ে আপনার প্রেমিকাকে চার্জ করবেন না। আগে সবকিছু সম্পূর্ন রুপে জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
১৩.শুধু প্রেমিকা নয়, তার বাবা-মা, ভাই-বোনদের সম্পর্কে কেয়ার নিন।
১৪. আপনার প্রেমিকার কোন অ্যাটিচুড পছন্দ না হলে, তাকে খোলাখুলি বলুন।
১৫.সেক্স এবং বিয়ে পরবর্তী জীবন ও প্লানিং সম্পর্কে খুলাখুলি আলাপ করুন।
(ব্রেকআপ-এর জন্য অনেকেই অপরপক্ষকে একতরফা দোষারোপ করে। তবে ব্রেকআপ জন্য যে উভয়পক্ষই দায়ী এটা সবাই বুঝে না। ভালবাসা আদায়-এর ক্ষেত্রে ভালবাসা দিয়েই তা আদায় করা সম্ভব। ভং,লুলামী, কবিতা, স্মার্টনেস, ক্যারিয়ার, মানি, পাওয়ার-এর বিনিময়ে যে ভালবাসা পাওয়া যায় সেটা একধরনের মোহ, সেটা খুব কম সমই লাস্ট করে অথবা একসময় বোরিং হয়ে যায়। আপনি আপনার প্রিয়তমার কেয়ার নিন, তাকে বুঝুন, তাকে সুখী করা চেষ্টা করুন, তার কাছ থেকে ভালবাসা আদায় করে নিন। দেখবেন সেও একসময় আপনার সব সীমাবব্ধতা মেনে আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।)