বাঙলাদেশে শীত এসে পড়লো । অনেকেই এই শীতকে উপভোগ করবে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন কিংবা কক্সবাজার ভ্রমণ করে আবার কেউ কেউ রাত বিরাতে বার-বি-কিউ করবে ছাদে-মাঠে কিংবা প্রান্তরে । তীব্র এই শীতে মা তার সন্তানকে উষ্ণতায় জড়িয়ে ধরে ওম দিবে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীকে উষ্ণ চাদরে জড়িয়ে কাপুনির তীব্রতা বুঝতে দিবে না । যারা ভালো আছে তাদের জন্য শীত মানে নতুন কিছু নয় ঋতুর পরিবর্তন মাত্র কিংবা বিনোদন ও উৎসব পর্ব । কিন্তু বাঙলাদেশের যারা ভালো থাকে না তাদের জন্য ঋতুর এই পরিবর্তন শীত হচ্ছে ঠাণ্ডার সাথে যুদ্ধ করা । যাদের কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য জোগাড় করাই মূল বেঁচে থাকা সেখানে শীত থেকে বাঁচার কোন অস্ত্র তাদের নেই । তাই বাঙলাদেশের সেই সব দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষগুলো শীতে শারীরিক কষ্ট পায়- যা আমরা দেখি পথে চলতে, টিভির পর্দায় কিংবা পত্রিকায় । বাঙলাদেশের নিঃস্ব এই মানুষগুলোর কষ্ট শুধু দেখলে আর জানলেই হবে ? তাদের পাশে কি দাঁড়াবো না ? অবশ্যই দাঁড়াবো আমরা সবাই মানুষ । পশু পাখির দুঃখ কষ্ট যদি মানুষকে কাঁদায় তাহলে বাঙলাদেশের এই সব নিঃস্ব মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট আমাদের শুধু কাঁদবে না বরং জাগাবে, চেতনার দুয়ার খুলে দিবে । যদিও এই নিঃস্ব মানুষগুলো বাঙলাদেশেরই নাগরিক । বাঙলাদেশ নামক রাষ্ট্র এইসব নিঃস্ব মানুষগুলোকে শীত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব নেওয়ার কথা । কিন্তু বাঙলাদেশ রাষ্ট্র সে দায়িত্ব নেয় না । বরং এই নিঃস্ব মানুষগুলো দুঃখ কষ্টকে পুঁজি করে এনজিওসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী ফাউন্ডেশন তাদের জীবিকার বাহন হিসেবে নিয়েছে । আমারও কি তাই করবো না ? কখনও না । আমরা নবীন প্রজন্ম আমাদের ভেতর আছে উদ্যম, আছে সৎ সাহস আমরা কোন কিছুর ধার ধারি না মানুষের জন্য কাজ করতে । এবার শীতে যেসব নিঃস্ব মানুষ ঠাণ্ডায় কষ্ট পাবে তাদের পাশে আমরা সাধ্যমত পাশে থাকবো, আমাদের মানবিক উষ্ণ দিয়ে ওদের বাঁচিয়ে রাখবো এটা দেখার জন্য :- একদিন বাঙলাদেশ রাষ্ট্র তার সকল নাগরিক'কে শীতের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষ করছে, কোথাও কেউ মানবিক আবেদন করছে না “আপনারা শীতার্তদের পাশে দাঁড়ান” ।
আমাদের এই সামান্য শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদনে কি দেশ উদ্ধার হয়ে যাবে নাকি সকল শীতার্তদের শীতের কষ্ট আমরা দুর করে দিবো ? নাকি আমরা কোন এনজিও বা ফাউন্ডেশন শীতার্ত মানুষগুলোর কষ্ট ও দুঃখকে পুঁজি করে পয়সা বানাবো ? না কখনও না । আমাদের মূল উদ্দেশ্য আমাদের সামান্য মানবিক প্রচেষ্টার দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসবে মানবিক কাজে আর বাঙলাদেশের সবাই যদি এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়া তাহলে একদিন দেখা যাবে বাঙলাদেশের দুঃখী মানুষগুলো একা না, সবাই এক সাথে সুখী হচ্ছে আর সবাই এক সাথে দুঃখকে দুর করছে আর এভাবে সবাই এক নিজেদের অধিকার আদায়ে । এবং সাথে বাঙলাদেশ রাষ্ট্রকে জানিয়ে রাখা : হে বাঙলাদেশ রাষ্ট্র বাঙলাদেশের সকল নাগরিক তোমাকে অর্থ দেয় অথচ তুমি তোমার নাগরিক এর দায় দায়িত্ব নিতে পারো না, তাদের সকলকে শীত থেকে বাঁচাতে পারো না ।
তাই আসুন আমরা এই শীতে শীতার্ত মানুষগুলোর পাশে দাড়াই । পারি আর না পারি অন্তত চেষ্টা করি ।
যেভাবে শীতার্ত মানুষগুলো পাশে দাঁড়াবেন :
১.নতুন অথবা ব্যবহার উপযোগী সোয়েটার
২.নতুন অথবা ব্যবহার উপযোগী কম্বল
৩.অর্থ/টাকা
সংগ্রহ করবো । সংগ্রহ করা অর্থ/টাকা দিয়ে নতুন সোয়েটার ও কম্বল কিনে সাথে থাকা কম্বল ও সোয়েটার মিলিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করবো ।
কাদের কাছে আপনারা সোয়েটার, কম্বল এবং অর্থ পাঠাবেন এবং যে কোন কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন-চাইলে প্রশ্নবানে জর্জরিত করতে পারবেন, এছাড়া যারা আমাদের সাথে শ্রম দিয়ে কাজ করতে চান তারাও যোগাযোগ করুন :
১.Pabliha Alavi : [email protected]
২.দীপংকর দীপু : ০১৮১৩ ০০৫৯৫৪
৩.কায়সার চৌধুরী : 01922513571
৪.ফয়সল অভি-০১৮১৯৮০৯০৯৫
শীতবস্ত্র বিতরণের স্থান ও তারিখ : লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়ন, খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম - ১৮ই ডিসেম্বর ২০১১
বি : দ্র: এটা কোন এনজিও কিংবা ফাউন্ডেশন কতৃক পরিচালিত কার্যক্রম নয় সম্পূর্ণ ভাই ব্রাদার সিস্টারদের ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো কার্যক্রম ।