মিয়ামারের আরাকান রাজ্যের আয়তন
২৬০০০ ব.কি।
রোহিঙ্গা মুসলিম বাস করে ১৫ লাখ।
আবার তিমুরের আয়তন ১৫০০০ ব.কি।
তিমুরে বসবাসকারী খ্রিস্টান ১২ লাখ।
২০০২ সালে জাতিসংঘ ইন্দোনিশিয়া
থেকে তিমুরের শাসন ভার গ্রহন করে
এবং পরে তিমুর স্বাধীনতা লাভ করে।
কিন্তু বর্তমানে জাতিসংঘ
রোহিঙ্গাদের জন্য কিছুই করছে না!
মিয়ানমার বারবার মানবাধিকার
লঙ্গন করছে তারপরও জাতিসংঘ উদ্বেগ
জানানো ব্যতীত দৃশ্যমান কোন
পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
কারণ কি? নিজেকে প্রশ্ন করার পর
আমার নিজের মোটামুটি ধারনা
নিম্নরূপ:
জাতিসংঘ মূলত একটি সংগঠন। এর
কার্যক্রম মূলত কয়েকটি রাষ্ট্রের উপর
নির্ভরশীল।
ভেটো প্রধানকারী পাচটি রাষ্ট্রই
(যথা : যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,
রাশিয়া,ফ্রান্স,চীন) মূলত
জাতিসংঘের নীতিনির্ধারক।
তাদের যেকোন একজনের ভেটো সমগ্র
বিশ্বের নেয়া সিদ্বান্তকে ধূলিসাৎ
করে দিতে পারে।
আর ভালো করে লক্ষ্য করলেই বুঝবেন এই
দেশগুলোর কোনটিই মুসলিম সংখ্যাগুরু
নয়। বরং অধিকাংশই মুসলিম বিদ্বেষী।
তাই বর্তমানে মুসলমানদের উপর
নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষন সহ
মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত
হলেও জাতিসংঘে এর বিরুদ্ধে কোন
ভূমিকাই রাখতে পারছেনা।
আরেকটি ঘটনা দেখলেই স্পষ্ট ধারনা
পাবেন।
ফিলিস্তিন একটি সার্বভৌম রাষ্টের
মর্যাদা লাভে প্রায় অধিকাংশ
রাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়ার পরও কেবল
যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে আজও
সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়নি।
এথেকে বুঝা যায় মুসলমানদের সমস্যা
সমাধান আদৌ জাতিসংঘের কর্ম নয়।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধকে অনেক ধর্মযুদ্ধও
বলে থাকেন। ইহুদি বিদ্বেষই এ যুদ্ধের
প্রারম্ভিক কারন।
তাই যতই তৃতীয় বিশ্বে শান্তি
প্রতিষ্ঠার কথা জাতিসংঘ প্রচার করুক
তা আসলে ধর্মীয় বিদ্বেষ এড়িয়ে
যেতে পারেনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪