দেশের বর্তমান উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যত ধ্বংস,এ যেন বিদ্যাসাগরের দেশে গোপাল ভাঁড়ের তামাশাঃ
সরকার দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে চায় তা ভালো। আমরা দেশের আপামর জনগোষ্ঠীও মধ্যম আয়র স্বাদ গ্রহনে মুখিয়ে আছি।কিন্তু তাই বলে শিক্ষার উপর ভ্যাট?
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধ প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করার প্রক্রিয়া হাতে নেন।তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কারণ এতে দেশের মোট স্বাক্ষরতার হার অনেক বেড়েছে। পরবর্তীতে খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষার প্রচলনও আমরা দেখেছি বহুকাল। এই প্রকল্পগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে।
কারণ এতে দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্য শিক্ষার আলো প্রবেশ করতে শুরু করে এবং দেশও এগিয়ে যেতে থাকে বহিবিশ্বের সাথে।
বর্তমান সরকার এসেতো তা আরো সম্প্রসারনের পদক্ষেপ নেয়। পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত অবৈতনিক করার ঘোষনা দেয়।
মাঝে কিছু দিন স্কুল টিফিন প্রোগ্রাম চলে।
সাথে উপবৃত্তিতো আছেই।
কিন্তু যারা দেশের জন্য কিছু করতে চায়,যাদের সাফল্যের উপর দেশের সফলতার মানদন্ড নির্ধারিত হয়,যাদের হাতে দেশ গড়ে উঠবে, যাদের হাত ধরে দেশ ক্রমশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের শিক্ষায় ভ্যাট!!!
এযেন নিজের পায়ে কুড়াল মারা।
উপরে পানি ঢেলে গোড়াটা কেটে ফেলা।
যদি দেশের সামগ্রিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিকিয়ে দিতে হয়,তবে বলবো দরকার নেই এমন উন্নয়ন।
কারণ আগে শিক্ষা। দেশের মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারলেই দেশ উন্নত হবে।
উন্নত হবে দেশের অবকাঠামো, জীবনমান, সামাজিক মূল্যবোধ। দূর হবে অপসংস্কৃতি,অপরাজনীতি,নারী নির্যাতন,ধর্মীয় কুসংস্কার।
তবেই তো বন্ধ হবে নারী ও শিশু নির্যাতন।
বৃদ্ধি পাবে জিডিপি। দেশ ক্রমশ এগিয়ে যাবে সম্ভাবনার উর্ধ্ব শিখরে।
কিন্তু সরকারে নীতিনির্ধারকেরা যখন উচ্চ শিক্ষার পথকে সুলভ না করে বরং ব্যয়বহুল এবং সংকোচিত করে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার হঠকারী স্বিদ্ধান্ত নেয় তখন বলতেই হয় "এযেন বিদ্যাসাগরের দেশে গোপাল ভাঁড়ের তামাশা।"
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫