প্রথমেই শুরু করা যাক হরর মুভি দিয়ে। পোষ্টে এই জেনারের মুভি এই একটাই। হরর মুভির তেমন একটা ফ্যান না আমি তবে এই মুভিটা দারুণ লাগলো দেখে। ১১৮ মিনিটের এই মুভিতে কিন্তু একটা গল্প নয়। এশিয়ার তিনটি দেশ হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান এর তিনজন বিখ্যাত পরিচালকের পরিচালনায় ৩টি গল্প নিয়ে পুরো মুভিটি। গল্প তিনটি হলো Dumplings(হংকং), Cut(দক্ষিণ কোরিয়া), Box(জাপান)। একটি গল্পের সাথে আরেকটির কোন মিলই নেই। এই জিনিসটাই আমার কাছে মুভিটা দারুণ উপভোগ্য করে তোলে। কারণ সবাই চেয়েছেন নিজের সেরাটা দিতে। প্রতেকটিই ভাগই দারুণ ভয়ের এবং ইন্টারেস্টিং। হরর মুভির কাহিনীতে আর গেলাম না। কারণ মুভির মজাটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে তবে এই মুভিটি আমি দেখতে বলবো সবাইকে। অবশ্যই রাতের বেলা একলা একলা। দারুণ সময় কাটবে আশা করি। শিউড়ে উঠার মতো বেশ কিছু মুহূর্ত পাবেন। দেখে ফেলুন, হতাশ হবেন না। ভয় পাবেনই।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
People Like Us (2012)
এবার আসুন কমপ্লিট ড্রামা মুভির দিকে যাই। ফ্যামিলি ড্রামা বেশ প্রিয় একটি জেনার। প্রত্যেক বছরই বেশ ভালো ফ্যামিলি ড্রামা মুভি বের হয়। তার মাঝে এই মুভিটিও একটি। বেশ ভালো লাগলো মুভিটি দেখে। Chris Pine, Elizabeth Banks, Olivia Wilde and Michelle Pfeiffer এর মতো প্রিয় কিছু মুখ আছে মুভিতে। Sam একজন প্রতিষ্ঠিত সেলসম্যান। গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে শহরে তার বাস। হঠাৎ করে খবর আসে তার বাবা মারা গেছেন। কিন্তু এই খবরটিও Sam কে তেমন একটা বিচলিত করে না। তারপরও সে সেখানে যায়। উদ্দেশ্য ছিলো সামাজিকতা রক্ষা করে চলে আসবে। কিন্তু ফিরে আসার সময় একটি অপ্রকাশিত সত্য এর মুখোমুখি হয়ে যায় সে। অনেক চেষ্টা করে সে এই সত্য এড়াতে। সুন্দর ছিমছাম ড্রামা মুভি। হলিউডের ড্রামা মুভিগুলোর মাঝে যেগুলোর লোকেশন থাকে শহর থেকে বাইরে বা শহর থেকে দূরের কোন জায়গায় সেই মুভিগুলো আমার কেন জানি আলাদা করে ভালো লাগে। দেখে ভালো লাগবে আশা করি।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
Gangs of Wasseypur Duology (2012)
এইবার চলে আসি এই বছরের বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত মুভির দিকে। এই বছরে এই মুভির নাম শুনেননি এরকম মানুষ অণেক কমই পাবো। পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের ফ্যান আমি তার Black Friday মুভিটি দেখার পর থেকেই। জিনিয়াস একজন পরিচালক। এই বছর আসলো তার Gangs of Wasseypur Duology। অসাধারণ এক মাস্টারপিস। এ যেন এশিয়ার টারান্টিনো!!!! টারান্টিনো যেমন মুভিতে ভায়োলেন্সকে এক শৈল্পিক মর্যাদায় সবার সামনে তুলে আনেন তেমনি অনুরাগ কাশ্যপও এই মুভিতে ঠিক সেভাবেই ভায়োলেন্সকে দেখিয়েছে। পারফেক্ট এবং এন্টারটেইনিং। মুভিটি পরিচালক ২টি পর্বে ভাগ করে রিলিজ দিয়েছেন। দেশ ভাগে শুরু থেকে এর কাহিনী শুরু। সেই সময় থেকে বিহারের সমাজ এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা সব তুলে এনেছেন পরিচালক। প্রেম, প্রতিশোধ, কমেডি, রাজনিতী, অপরাধ, আন্ডারওয়ার্ল্ড সব খুজে পাবেন এই ডুয়োলজিতে। সাথে আন্চলিক সংগীতের যে ব্যবহার করেছেন পরিচালক সেটাও ইউনিক। দেখবেন আর মুগ্ধ হতে থাকবেন। মুভিতে সবার অভিনয় দূর্দান্ত হয়েছে। তবে বিশেষ করে ২জনের কথা বলবো আমি। সরদারের চরিত্রে মনোজ বাজপেয়ী এবং ফাইজাল চরিত্রে নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকী। বিশেষ করে তরুণ নওয়াজ ২য় পর্বে অভিনয়ের দিক দিয়ে মনোজকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনটি জেনারেশন দেখানো হয়েছে মুভির ২টি পর্বে। মুভির মূল থিম ছিলো প্রতিশোধ। সেটিকে ধরেই সামনে এগিয়ে চলা। প্রথম পর্বে কাহিনীকে সাজিয়ে, দর্শকদের সব বুঝিয়ে রাইড তৈরী করে দেয়া হয়েছে আর দ্বিতীয় পর্বে সব দর্শককে সেই দূর্দান্ত গতির রাইডে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। যেই সেই রাইডের শুরু থেকে ছিলেন সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখে গেছেন এই মুভির শেষ পর্যন্ত। অসাম এন্ড মাস্টারপিস।
Gangs of Wasseypur 1 টরেন্ট লিংক
Gangs of Wasseypur 2 টরেন্ট লিংক
Boy A (2007)
অসাধারণ। দারুণ একটা মুভি দেখার অভিজ্ঞতা হলো আবার। তবে মুভিটি সহ্য করতে একটু কষ্ট হয়েছে। অন্য কোন কারণে নয়। শুধুমাত্র এর শক্তিশালী গল্প এবং মুভির মেসেজটি নিয়ে। আমরা বড় হয়ে গেছি। সবাই হয়তো সুন্দর একটি জীবনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের অতীতে কি এমন কিছু ছিলো যা আমাদের আজও তাড়িয়ে বেড়ায়!!! আমরা কি অতীতে কেউ এমন কিছু অপরাধ করে ফেলেছীলাম যার জন্য আমাদের আজও ভুগতে হচ্ছে ?? Jack অনেকদিন পর ছোটকালের এক অপরাধের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল থেকে বেড়িয়েছে। নতুন পরিচয়ে নতুন জায়গায় এখন সে তার জীবন আবার নতুন করে শুরু করতে চায়। পায় বাবার মতো একজনকে এবং ভালোবাসার একজন বন্ধুকে। কিন্তু আসলেই কি সে আবার তার জীবন নতুন করে শুরু করতে পারবে ?? ছোটবেলার সেই ভয়ংকর অপরাধের স্মৃতি তার সামনে আবার হানা দেয়। তাহলে কি করবে সে এখন ?? কি ছিলো তার অপরাধ ?? মাস্ট সি। দূর্দান্ত পাওয়ারফুল একটি মুভি। Jack চরিত্রে Andrew Garfield এর পাওয়ারফুল অভিনয় মনে রাখার মতো। দেখা শেষ হয়ে গেলেও মুভিটির স্মৃতি আপনি সহজে ভুলে যাবেন না। আপনাকে বেশ কয়েকদিন কিছু অতীত তাড়িয়ে বেড়াবে।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
Safe House (2012)
স্পাই ঘরানার একশন মুভি। দেখে বেশ ভালো লাগলো। কমপ্লিট এন্টারটেইনিং। Denzel Washington এবং Ryan Reynolds এর দারুণ ইন্টারেস্টিং কম্বিনেশন। আমেরিকার CIA এর কার্যক্রম পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই রয়েছে সেটাতো সবাই জানেন। সবদেশেই আন্ডারকভারে তাদের এজেন্ট ছড়িয়ে থাকে। তেমনি সবদেশেই রয়েছে তাদের Safe house । অত্যন্ত গোপনীয়তায় পরিচালিত হয় এই সেফ হাউজ। নানা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং বা মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের গোপনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়। তেমনি দক্ষিণ আফ্রিকার বসবাস করা CIA এর এজেন্ট Matt সেখানকার একটি সেফ হাউজের দায়িত্বে আছে। কিন্তু অনেক বোরিং তার জীবন। এইখানে বসে থাকতে থাকতে সে হাপিয়ে উঠেছে। ঠিক এমন সময় তার সেফ হাউজে নিয়ে আসা হয় একজন ভয়ংকর অপরাধীকে। কিছু একটার সবাই খুজছে সেই অপরাধীকে। হঠাৎ করেই আচমকা জীবনটাই বদলে যায় Matt এর। সেইখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনের নতুন গল্প। এতদিনের বিশ্বাস আচমকা বদলে যায়। জীবন বাজি রেখে প্রতিরোধের চেষ্টা চালায় সে। দেখে ফেলুন। পুরোদস্তুর কমার্শিয়াল একশন মুভি। খারাপ লাগবে না।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
My Girl and I (2005)
এইবার চলে আসুন কোরিয়ান রোমান্টিক মুভি নিয়ে। কোরিয়ান রোমান্টিক যারা ভক্ত তাদের একেবারেই হতাশ করবে না এই মুভি। দারুণ একটা মুভি। যদিও বরাবরের মতো সবার মন খারাপ করে দেয়ার মূদ্রাদোষ কোরিয়ানরা এইখানেও দেখিয়েছে। কলেজ পড়ুয়া Soo-ho এর গল্প। সাধারণ এই ছেলেটির জীবরে আসে তারই ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে Soo-eun (হেব্বী কিউট)। কলেজ জীবনের নানা দুষ্টামীর মাঝেও একে অপরের সাথে জড়িয়ে যায় তারা। সেই টিনএজ জীবনের প্রেমের গল্প। মুভিটি দেখার সময় কলেজ জীবনের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। মুভিটির সবচেয়ে সুন্দর যে জিনিসটি চোখে পড়েছে তা হলো কোরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেক সুন্দরভাবে এই সৌন্দর্য পরিচালক মুভিটিতে ব্যবহার করেছেন। চোখ জুড়িয়ে যায়। যারা কোরিয়ান ট্রাজেডির ভক্ত তাদের জন্য এই মুভি আদর্শ। ছিমছাম সুন্দর গল্পের দারুণ একটি মুভি। রোমান্টিকপ্রেমীরা দেখে ফেলুন। আশা করি বেশ ভালো লাগবে।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
Flowers of the war (2011)
ক্রিশ্চিয়ান বেলের মারাত্মক ভক্ত আমি। তারপরেও কিভাবে জানি এই মুভিটি এতদিন অদেখা রয়ে গিয়েছিলো। অবশেষে দেখেই ফেললাম এবং মুগ্ধ হলাম। পরিচালনায় ছিলেন এশিয়ার লিজেন্ড পরিচালক Yimou Zhang। ২য় বিশ্বযুদ্ধের এশিয়ার এককালো অধ্যায় নিয়ে মুভিটি নির্মিত। ২য় বিশ্বযুদ্ধের নির্মম জাপানীদের ভয়াবহ নির্মমতার শিকার চীনের Nanking । সেইখানে সংঘটিত জাপানীদের বর্বরতা এবং নিশংসতা শিউড়ে উঠার মতো। নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং হত্যা করতে থাকে সেখানকার নারীদের। ইতিহাসে এটি Rape of Nanjing নামে পরিচিত। সেইখানেই একজন পাদ্রী ঘটনাক্রমে একটি চার্চে আটকে পড়া কিছু ছাত্রীদের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। সেইসাথে যুক্ত হয় একদল স্থানীয় প্রস্টিটিউট। চার্চের গেটের বাইরে অপেক্ষা করছে হিংস্র জাপানীজ সেনারা। কি আছে তাদের সবার ভাগ্যে!!! মুভিটির বেশ কিছু দৃশ্য একটু নির্মম এবং এই বিষয়টি নিয়ে অনেক দর্শক অভিযোগ করেছেন। অনেকের কথা পরিচালক এত নির্মমভাবে কিছু জিনিস নাও দেখাতে পারতেন। বেশ কিছু ইমোশনাল মূহুর্ত আছে। আপনার মন খারাপ বেশ করে দিতে পারে। আরেকটা মজার জিনিস দেখলাম এই মুভিটি নিয়ে বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। নিজেদের অতীতকে ভুলে যেতে চায় জাপানীজরা কিন্তু অনেক চীনাদের গায়ে সেই ক্ষত আজো লেগে আছে। তাই এক দেশের কাছে মুভিটি একেবারেই ভালো লাগবে না আবার আরেকদেশের কাছে বেশ ভালো লাগবে। মাস্ট সি।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
Moonrise Kingdom (2012)
এবার আসি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এবং এবছরের বেশ আলোচিত আরেকটি মুভি নিয়ে। এই মুভিটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। Bruce Willis বা Edward Norton থাকলেও এই মুভির প্রধান চরিত্র কিন্তু ১২ বছরের একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে। ছোট্ট একটি দ্বীপে তাদের সবার বসবাস। হঠাৎই একে অপরের সাথে দেখা হয়। সাথে সাথে ভালো লাগা। কিশোর বয়সের সেই ভালোলাগা পাগলামীর দিকে রূপ নেয় এবং তারা এই বয়সেই বাসা থেকে পালিয়ে যায়। সবাই তাদের পিছু নেয়। এ পর্যন্তই থাক কাহিনী বলা। এই মুভিটি দেখতে বসে আসলেই মুগ্ধ হতে হয়। ব্যাপারটা এমন মুভিটি সবাইকে নস্টালজিক করে দিতে পারে। আমরা কিশোর বয়সেও নানা রকম স্বপ্ন দেখতাম। সবারই এই বয়সে একটি স্বপ্নের আলাদা জগত ছিলো। আর পরিচালক তার মুভিতে ১২ বছরের Sam এবং Suzy কিশোর অ্যাডভেন্চারময় পালিয়ে যাওয়া সেই জীবনের যে দৃশ্য আমাদের দেখিয়েছেন তা দেখে বারবার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। কি অপূর্ব সব দৃশ্য!!! কি সুন্দর সব জায়গা!!! ঠিক যেন রূপকথার কোন রাজ্য। তাদের অ্যাডভেন্চার এবং স্বপ্ন দেখে নিজেদের কিশোর বয়সের কথা যেন বারবার মনে পড়ে যায়।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
Get The Gringo (2012)
গুরু মেল গিবসন ইজ ব্যাক এগেন। এইবারো পুরাই জটিল একটা মুভি নিয়ে। আরো অনেকের মতো আমি নিজেও প্রিজন মুভির ফ্যান। মেল গিবসন এইবার প্রযোজক হয়ে আমাদের সামনে হাজির হলেন দূর্দান্ত এই প্রিজন থিমের মুভিটি নিয়ে। ফাটাফাটি মুভি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্স, একশন এবং থ্রিলের কমপ্লিট প্যাকেজ। Driver একজন অপরাধী। শুরুতেই দেখা যাবে ডাকাতী করে অনেক টাকা নিয়ে সে পালাচ্ছে এবং পুলিশ তাকে ধাওয়া করছে। কিন্তু একসময় ধরা পড়ে এবং মেক্সিকোর নির্মম এক জেলে তাকে পাঠানো হয়। এই জেলখানাটি বেশ অবাক করার মতো। জেল বলে মনেই হবে না। এ যেন মহল্লার একটি রাস্তা। কেন এরকম বলছি সেটা দেখলেই বুঝবেন। সেই জেল আইন হলো একজন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন। জীবনের কোন মূল্যই নেই এখানে। অহরহ মানুষ খুন হচ্ছে। ঘটনাক্রমে মেলের সাথে দেখা হয় একটি বাচ্চা ছেলে এবং ছেলেটির মায়ের সাথে। নিজেকে জড়িয়ে ফেলে তাদের সাথে। হঠাৎই জানতে পারে সেই ছেলে এবং মা এক ভয়ানক বিপদে আছে। এই মেলই এখন তাদের একমাত্র ভরসা। দূর্দান্ত একটা মুভি। একবার দেখতে বসলে শেষ না করে উঠার প্রশ্নই আসে না। মেক্সিকোর ভয়ংকর অপরাধ জগতের নির্মমতা দেখে চমকে উঠতে পারেন। ব্রাভো মেল গিবসন। এই বয়সে এসেও মন ভরিয়ে দিয়ে গেলো।
টরেন্ট ডাউনলোড লিংক
Kaun (1999)
আবারো আসছি একটি বলিউডের মুভি নিয়ে। একসময়ের অনেক প্রিয় একজন পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার ক্লাসিক একটা ছবি নিয়ে। সাসপেন্স এবং থ্রিলারের আদর্শ উদাহরণ এই মুভি। মেকিং, সাউন্ড এফেক্ট সবদিক থেকে দূর্দান্ত। রাতের বেলা দেখবেন মুভিটি। ভয়ের আমেজ ছুয়ে যেতে পারে মনকে। মাত্র ৩টি প্রধান চরিত্রের একটি মুভি যে কি দমবন্ধ উত্তেজনায় আপনাকে নিয়ে যেতে সেটি এই মুভি দেখেই বুঝলাম। বাইরে বৃষ্টি.....বাসায় কেউ নেই......টিভিতে এক খুনীর খবর.......হঠাৎ কলিংবেল!!!! ২জন অচেনা আগন্তুক......পিস্তল........সন্দেহ!!!!!!! সবমিলিয়ে অসাধারণ। দূর্দান্ত সাসপেন্সে ভরা পারফেক্ট থ্রিলার মুভি একেই বলে। মনোজ বাজপেয়ী এর অভিনয় দারুণ। নরমাল আশা নিয়ে মুভিটি দেখতে বসেছিলাম কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হলাম। এই মুভি দেখতে বসলে শেষ হবার আগে উঠা কারো পক্ষেই সম্ভব না। অসাধারণ। অবশ্যই দেখবেন।
youtube লিংক
** এইবার সবার কাছে একটি ক্ষমা প্রার্থনা। বেশ কয়েকদিন ধরেই একটু ব্যস্ততার কারণে ব্লগে সময় দিতে পারছি না। প্রিয় ব্লগারদের অনেক পোষ্ট তাই সময়ের জন্য পড়তেও পারছি না বা কমেন্টও করতে পারছি না। অনেক অণেক দু:খিত আমি এর জন্য।
** সবাইকে ঈদ মোবারক এবং পূজার অণেক অনেক শুভেচ্ছা। **