মাঝে মাঝে পৃথিবী ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লাগে হলিউড। সেরকম ১০টি মুভি নিয়েই এই পোষ্ট। ডাউনলোড লিংক কিন্তু আছে সবগুলোর শেষে। সো...এনজয়।
Independence Day (1996)
এটি আমার খুব ফেভারিট মুভি। সেই ছোটবেলায় এটি দেখেছিলাম। Will Smith এর পুরো কঠিন ভক্ত হয়ে যাই আমি এই মুভিটি দেখে। এখনো দেখতে ভালো লাগে। পৃথিবীতে এসে আস্তানা গেড়েছে এলিয়েনরা। মানুষ প্রথমে তাদের বন্ধ ভাবলেও পৃথিবীর ধ্বংস করতে হামলা চালিয়ে দেয় এরা। তছনছ করে দেয় আমাদের সুন্দর পৃথিবীকে। কিন্তু সাহসী অনেক দেশ এবং সেই দেশের মানুষ একজোট হয়ে এদের মোকাবিলা করতে নামে।
টরেন্ট লিংক
Armageddon (1998)
এটিও আমার খুব ফেভারিট মুভি। এটিও সেই ছোটবেলায় দেখা। Bruce Willis এর দেখা প্রথম মুভি এবং দেখেই ফ্যান। এখনো মাঝে মাঝে আবার দেখি। পৃথিবীর উপর ধেয়ে আসছে এক বিশাল উল্কাপিন্ড। হাতে বেশী সময় নেই। পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে এটি এবং সেই সাথে পৃথিবী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু একদল সাহসী মানুষ পৃথিবীকে বাচাতে এক দু:সাহসিক অভিযানে রওনা দেয়। বেচে থাকার আশা তাদের খুব কম। কিন্তু পৃথিবীকে তাদের বাচাতেই হবে।
টরেন্ট লিংক
The Day After Tomorrow (2004)
এটিও খুব ভালো লেগেছিলো। এইবারও পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে কাহিনী। কিন্তু এইবার ভৌগোলিক কারণ এবং পৃথিবীর মানুষদের উদাসীনতায় সমগ্র পৃথিবীর মাঝে এক ভয়ানক পরিণতি এসে পড়ে। সমগ্র পৃথিবী এক অকল্পনীয় ঠান্ডায় ছেয়ে যেতে থাকে। এমন ভয়ংকর সেই ঠান্ডা যাতে মানুষের বেচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। ভালোই বলবো।
টরেন্ট লিংক
War of the Worlds (2005)
এবার পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে হাজির গুরু Steven Spielberg ও Tom Cruise। সুন্দর স্বাভাবিক চলছিলো পৃথিবীর মানুষদের জীবন। হঠাৎ করে মাটির নীচ থেকে অদ্ভূত মেশিন বেরিয়ে আসে। আকাশে দেখা যেতে থাকে অদ্ভূত সব যান। তারপরই মানুষদের উপর হামলা চালিয়ে দেয়। মেরে ফেলতে থাকে সবাইকে। এক মধ্যবয়স্ক লোক তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাচার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তারপর সবাই মিলে ঝাপিয়ে পড়ে এদের উপর।
টরেন্ট লিংক
The Day the Earth Stood Still (2008)
১৯৫১ সালের একই নামের বিখ্যাত মুভির রিম্যাক ছিলো এটি। আরো বড় পরিসরে ও প্রিয় কিছু তারকা নিয়ে। হঠাৎ পৃথিবীতে এসে হাজির হয় এক এলিয়েন এবং সাথে বিশাল এক রোবট। তার দাবি সে পৃথিবীকে বাচাতে এসেছে। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করে না। সরকার তাকে বন্দী করে। একসময় প্রমাণ হয় আসলেই সে পৃথিবীকে ভয়ংকর আক্রমণ থেকে বাচাতে এসেছিলো।
টরেন্ট লিংক
The Happening (2008)
M. Night Shyamalan এর মুভি এটি। এবার কারণ ভিন্ন। একদিন এক স্কুল টিচার ক্লাসের সবাইকে সব মাছি গায়েব হয়ে যাবার কারণ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। কিন্তু পরেই এর ব্যাখ্যা পেয়ে যান। এক ভয়ংকর ব্যাধি আক্রান্ত করে ফেলতে থাকে সব মানুষদের। শেষ হয়ে যেতে থাকে একে একে পৃথিবীর সব মানুষ। কোন উপায়ই বের করা যাচ্ছে এর থেকে মানুষদের বাচাতে। তাহলে কি হবে????
টরেন্ট লিংক
Knowing (2009)
৫০বছরের আগে স্কুলের নীচে রাখা সেই সময়ের বাচ্চাদের হাতে লেখা চিঠি বর্তমানে এসে বের করা হয়। একটি বাচ্চা ছেলে সেখান থেকে একটি চিঠি নিয়ে বাসায় আসে। বেশ অদ্ভূত সেই চিঠি। শুধু সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নেই সেই চিঠিতে। ছেলেটির বাবা আবিষ্কার করে পৃথিবীর সব বড় বড় দূর্ঘটনার আগাম সংকেত আছে এই চিঠিতে। কিন্তু এক জায়গায় এসে এই চিঠির সংকেত থেমে যায় এবং এর ক্ষয়ক্ষতি হিসেবে পৃথিবীর সব মানুষদেরকে বলা হয়। তাহলে কি পৃথিবীর দিকে ভয়াক কোন দূর্যোগ এগিয়ে আসছে?
টরেন্ট লিংক
2012 (2009)
পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে সম্ভবত সবচেয়ে ব্যয়বহুল/ব্যবসাসফল/আলোচিত মুভি মনে হয় এটিই। আলোচিত হবেই বা না কেন?? বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে হট টপিকস ২০১২সালের পৃথিবীর ধ্বংস নিয়েই যে মুভিটি। ২০১২সাল। পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাবার সময় এসেছে। কেউ বিশ্বাস করেনি আগে। কিন্তু পৃথিবীর বড় বড় সব দেশ কিন্তু গুটিকয়েক নিজেদের বাচাতে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কিন্তু মানুষদের জানানো হয় কিছুই। অবশেষে আসে সেই সময়। একদম ধ্বংস হয়ে যেতে শুরু করে পৃথিবী। স্পেশাল/ভিজুয়্যাল এফ্যাক্টের এক প্রদর্শনী ছিলো এই মুভিতে।
টরেন্ট লিংক
I Am Legend (2007)
আমার প্রিয় একটি মুভি। বস Will Smith আছেন এই মুভিতে। বেরসিক পরিচালক অবশ্য পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষকে মুভি দেখার আগেই মেরে ফেলেছেন। ভয়ংকর মরণব্যাধী এক রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যারা বেচে আছে রাতের বেলা হামলে পড়ে তাদের উপর। তেমনি বেচে যাওয়া একজনের সংগ্রাম নিয়ে এই মুভি। খুব ভালো লেগেছিলো এই মুভিটি।
টরেন্ট লিংক
Transformers Trilogy (2007-2009-2011)
এই মুভিগুলো নিয়ে কিছু বলাটাই বোকামী। এই তিনটি এখনো দেখেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। তাই বেশী কিছু বললাম না এই মুভিগুলো নিয়ে। শুধু যারা দেখে ফেলেছেন সবাই আমার সাথে আরেকবার আফসোস করেন Megan Fox এর জন্য। সুইটহার্ট!! উই মিস ইউ!!!
সবার দেখা। তাই এটার লিংক দিলাম না।