সাভার এবং আশুলিয়ায় শ্রমিকদের টানা অসন্তোষ চলাকালীন কারখানা ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ করে প্রায় ১৩শজন শ্রমিকের নামে মামলা দায়ের করেছেন কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় সাভার থানায় দুটি এবং আশুলিয়া থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাভার এবং আশুলিয়ায় হতে প্রায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।প্রশ্ন থেকে যায় আজ যদি
নিজের ন্যায্য পাওনা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে যেয়ে হয়ে যেতে হয় ফেরারী তাহলে মানুষ যেয়ে দাঁড়াবে কার কাছে ? তাহলে কি ধরে নিতে হবে এদেশের কোনো মানুষের নাগরিত্ব নেই সবাই আমরা এদেশের শরনার্থী বা প্রবাসী।যেখানে নিজের ন্যায্য পাওনা নিয়ে টাণা হেচরা সেখানে চুরি আর লুটপাটের সময় কোথায় ?আর তাছাড়াও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকরাতো কারখানার বাহিরে মেন রাস্তার মাঝেই বসে আন্দলোন করতেছিল।এখানেই আমাদের বিবেকের বড় পরিচয় পাওয়া যায়।
পুলিশ এবং মামলা সূত্র মতে ৯ই জানুয়ারি আশুলিয়া মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস লিমিটেড ফ্যাক্টরি-২ এর নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো: আ: সালাম বাদী হয়ে ভাঙচুর এবং চুরি করে ২৮-২৯ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগে ৫৫ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১১ জানুয়ারি আশুলিয়ার নীট এশিয়া লি: কারখানার প্রধান ব্যবস্থাপক মো: আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে কারখানা ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫০ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
একই দিনে অরবিট অ্যাপারেলস লি: এর পক্ষে মো:শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেআইনিভাবে কারখানায় প্রবেশ করে ভাঙচুর এবং চুরির অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই আশুলিার এ.আর জিন্স প্রোডিউসার লি: এর এইচআর এডমিন মো: শাহ আজিজ কারখানা ভাঙচুর ও মেশিনারিজ চুরির অভিযোগে ৬২ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মাহমুদ ফ্যাশন লি: এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো: শাহ-আলম বাদী হয়ে ২৯ জন শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন।অন্যদিকে ১২ই জানুয়ারি হামিম গ্রুপের সিকিউরিটি গার্ড মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৫০-৬০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এই ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জাবেদ মাসুদ জানান শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় কারখানা ভাঙচুর এবং লুটপাটসহ আশুলিয়া থানায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামাসহ ৮৮১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাছাড়াও এখন পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় প্রায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।অন্যদিকে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল আওয়াল জানান শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় দুটি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪০০ জন অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৪১৮ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্র: বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭