প্রথমেই জানাচ্ছি যে ১৫ তারিখ আমাদের জামা কাপড় বিতরন করার কথা ছিল। ১৫ তারিখেই সেটি আত্তন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
যারা আমাদের এই কর্মসুচি সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য রইল আমার পুরানো ৩টি পোষ্ট।
কেমন হবে যদি একটা শিশুকে এই ঈদে একটা নুতন জামা পাওয়ার আনন্দ দিতে পারেন !! ( পথ -শিশুদের নিয়ে একটা উদ্যোগ )
কিছু প্রত্যাশা, অতঃপর হতাশা এবং দৃঢ় এক প্রত্যয়............... (পথশিশুদের নিয়ে একটি উদ্যোগ)
পথ -শিশুদের নিয়ে একটা উদ্যোগ : সর্বশেষ আপডেট
কিন্তু নেট প্রব্লেম ও ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়াতে ছবি ও আপ্লদ দিতে দেরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। দেরিতে হলেও ছবি সহ আপডেট দেওয়া হল।
আমাদের সংগ্রহিত ফান্ড ছিল ১৭০০০ টাকা (প্রতিশ্রুতি মত পুরোতটাই জামা কেনায় খরচ হয়েছে)। এই টাকায় মিরপুর রোড (ঢাকা কলেজের অপজিট) থেকে ২০৪ টা গেঞ্জি আর টাউন হল (মোহাম্মাদপুর এ অবস্থিত) থেকে ৮৮ তা ফ্রক কেনা হয়েছিল। মোট ২৯২ টা কাপড় টাউনহল এলাকা, মোহাম্মাদপুর পুরান থানা রোড, শামলি, টেকনিকাল, আগারগাও, শেরেবাংলা নগর, লিঙ্ক রোড, মনিপুরিপাড়া এমন বেশ কয়েকটি স্পট এ ঘুরে ঘুরে দেওয়া হয়েছে।
আমাদের এ কাজ়ে যারা ডোনেট করেছেনঃ
মিসেস মাশকুরা বেগম ১০৫০ টাকা (যাকাত)
সাঈদুল মুনিম ১০০ টাকা
সামিন ১০০ টাকা
ড. রেহানা ২০০ টাকা
মৌ ২০০ টাকা
শাপলা ১০০ টাকা
শুভ ১০০ টাকা
আসিফ (ব্লগার) ১০০ টাকা
রানা ১০০ টাকা
রাশেদুল ১০০ টাকা
রানি ২৫০ টাকা
তানিম ১০০ টাকা
তারেক (পরিবারের সদস্যদের থেকে) ২২০০ টাকা
সামিন ৫০০ টাকা (যাকাত)
নিতু ৫০০ টাকা
তাবিতা ১৫০ টাকা
বরনা ৫০ টাকা
সালমান বারী ৫০০ টাকা
রাজু ১০০ টাকা
শুভ ১০০ টাকা
রাইসা ৫০০ টাকা
হাসান (ব্লগার) ১০০০ টাকা
কাজী (ব্লগার) ১০০০ টাকা
মারুফ ২০০ টাকা
নাজমুস ২০০ টাকা
তানভির ২০০ টাকা
রিফাত ৩০০ টাকা
ফারুক হোসেন (চট্টগ্রাম থেকে) ৫০০০ টাকা
সামীরা ৫০০ টাকা
শাকিল (ব্লগার)(সিলেট থেকে) ১৫০০ টাকা (যাকাত)
সর্বমোট ১৭০০০ টাকা
ব্লগার হতে প্রাপ্ত ৪১০০ টাকা
যাকাত ৩০৫০ টাকা
ব্যংক একাউন্ট এ জমা ৬৫০০ টাকা
১৫ তারিখ সকালেও কাপড় কিনতে হয়েছে অনেকে দেরিতে ডনেশন দেওয়ার জন্য। তার উপর ছিল বর্ষা। সেকারনে আমরা ২ টার সময় রওনা করি। আমি সহ ৬ জন ভলানটেয়ার সাথে একটা মাইক্রো। ৬ টার ভিতর আমরা আমাদের কার্যক্রম শেষ করি।
বিশেষ ক্বতজ্ঞতা (যাদের ছাড়া এ কাজ সম্ভব হত না)
১। সকল ডোনেটর যাদের ডোনেশন ছাড়া ফান্ড রেইজ করা সম্ভব হত না।
২। সকল শুভাকাংক্ষী যাদের শুভ কামনা আমদের পথ চলায় প্রেরনা যুগিয়েছে।
৩। মিসেস মাশকুরা বেগম। ঢাকার বাইরে থেকে টাকা পাঠানোর জন্য তার ব্যংক একাউন্ট ব্যবহার করতে দিয়েছেন। সেই গরমে রোজা রেখেও জামা কাপড় কিনেছেন বলতে গেলে একাই। সারা মার্কেট ঘুরেছেন এক্তু কম রেটে একটু ভাল কয়ালিটির কাপড় কেনার জন্য।
৪। জনাব শেখ আব্দুর রাশেদ। আমাদের যাতায়াতের জন্য মাইক্রো দিয়েছেন। মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন সবসময়।
৫। ইমতিয়াজ জামিল। সূদুর চায়না থেকে উৎসাহ দিয়েছেন সবসময়। ব্লগের কাজে অনেক অনেক হেল্প করেছেন।
৬। রাজু ভাই(ভলানটেয়ার)। আমাদের ভলানটেয়ারদের ভিত্র সবচেয়ে ফিচারড মেম্বার। স্পট সিলেকশনে বলতে গেলে পুরটাই তার একার ক্রেডিট। তবে জামা নেওয়ার জন্য রাস্তা থেকে এমনভাবে ছেলেমেয়েদের ডেকে আনছিলেন যে লোকে ছেলেধরা ভেবে ধোলাই দেয় নাই এটাই আমাদের সবছেয়ে বড় সস্তি।
৭। তারেক কবির(ভলানটেয়ার)। এই কারর্যক্রম এর শুরু থেকে সাহায্য করার জন্য এবং বিতরনের সময় অসুস্থ থেকেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকাটা পালন করে দেওয়ার জন্য তারে ধইন্যাপাতা।
৮। মারুফ(ভলানটেয়ার)। সর্বক্ষন ক্যামেরা হাতে সচল। যদিও তার করা ভিডিও দেখে আমি যারপরনাই আশাহত। তবু ১ ঘন্টার নটিশে কাজ ফেলে ক্যামেরা সহ হাজির হয়ে বিরাট বড় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করার জন্য তাকে অস্যংখ্য ধইন্যাপাতা।
৯। রাকিন(ভলানটেয়ার)। লেখালিখির মত বোরিং একটা কাজেও তার উতসাহ হতবাক হওয়ার মত। বিতরনের সময় শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করে তা দ্রুত লেখার দায়িত্ব ছিল এই আধুনিক আইনস্টাইনের(!)। উপর অসামান্য দক্ষতায় সে একাজ করে গেছে।
১০। সামিন(ভলানটেয়ার)। তার একটিভিটি চোখে না পড়লেও অন্যতম একটিভ মেম্বার ছিল সে ই। জামা নেয়ার জন্য বাচ্চাদের লাইন করানো বা জামা নেয়ার পর তাদের ছবি তোলার জন্য এক জায়াগায় অর্গানাইজ করা খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা নয়।
আর আমাদের পরিকল্পনা আছে একটা অর্গানাইজেশন ফর্ম করানোর। কারন আমাদের বেশ কিছু সমস্যা পোহাতে হোয়েছে কোন অর্গানাইজেশনের ব্যানার না থাকায়। বর্তমানে আমরা এর সুবিধা-অসুবিধা ভেবে দেখছি। এমন কিছু হলে সবাইকে জানিয়ে দিব ইনশাল্লাহ।
সবশেষে আবারো সবাইকে ধন্যবাদ। যারা যেকোনভাবে সাহায্য করেছেন আমাদের, আশা রাখি ভবিষ্যতেও তারা এমনই উতসাহ ও সাহায্য ক্রে যাবেন। সবাই দোয়া করবেন যাতে এমন আরও কার্যক্রম সফল্ভাবে শেষ করতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭