somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধ্যবিত্তের অযোগ্য ভালোবাসা,নিয়তির দোষ!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমনকি হয়েছে? আপনার পাশেই যে সারাক্ষন,জানেন সে অন্য কাউকে ভালবাসে, তারপরও হঠাৎ কোন এক রহস্যময় ক্ষনে আপনি তার প্রেমে পড়ে গেছেন? যখন আপনার অতীত থেকে পাওয়া কষ্ট টুকু সবে আপনি ভুলতে শুরু করছেন ঠিক তখনি এই খুব কাছের মানুশটাকে ভালোবেসে ফেলেছেন? যাকে ভালবাসার কথা ৪-৫ বছরে কখনো ঘুনাক্ষুরেও মনে আসে নি! তবুও তাকে ভালোবেসে ফেলেছেন, না চাইতেও। হাজার বার অস্বীকার করে নিজের মনকে তবুও বুঝ দিতে পারেন নি যে হয়তো এটা ভালোবাসা না, হয়তো এটা সাময়িক আবেগ কিন্তু আপনার ভেতরটা জানে আপনি তাকে ঠিকই ভালোবেসে ফেলেছেন, আপনি যতই এখন নিজের সাথে মিথ্যা বলেন না কেন! এই কষ্টটা নিয়ে প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়া কি খুব সহজ???

আর সীমাহীন ভালোবেসেও যদি আপনাকে নিশ্চুপ থাকতে হয়,যখন তাকে বলতে না পারেন নিজের মনের লুক্কায়িত আবেগের কথা গুলো। জানেন বললেই হয়তো যা আছে তা নিরানব্বই ভাগ হারানোর ভয় কিংবা সবটুকু? এই অব্যক্ত কষ্ট নিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে যখন আবিষ্কার করেন আপনি বেঁচে আছেন, তখন কি সত্যি সেটাকে বেঁচে থাকা বলে???

আপনআকে তারপরও নীরব থাকতে হয় মনের আর্তনাদকে চেপে ধরে, যখন আপনি ভালোবাসার মানুশটাকে পাশে পান, তারপরও হাসতে হয় মুখে মেকি হাসি নিয়ে। সুখি হতে হয় এই ভেবে মানুষটা তো আমার পাশে এসে একটু হলেও হাসি ফিরিয়ে দিচ্ছে! এই টুকুই বা এই জীবনে কম কিসে! জানেন সে হয়ে যাবে অন্যের,হয়তো হবে অন্যের ঘরণী! তারপরও আপনাকে হাসিমুখে তার সুখের দিনে বন্ধুত্বের দায়িত্ব পালন করে যাবেন নিজের বুকের কষ্ট এক পাশে রেখে! তারপরও কখনো অভিমানি হবেন না, খোদার কাছে বার বার চাইবেন সে যেন সুখি থাকে! কেউ যেন আপনার চাইতেও দ্বিগুণ ভালোবাসে তাকে!

জানেন আপনাকে কাটাতে সারাজীবন এই ক্ষত বুকে নিয়ে, হয়তো জাহান্নাম বাসীরাও এতটুকু যন্ত্রনা সহ্য করেনা! হয়তো চেপে রাখা কষ্ট চোখের নোনা জল বাসাবে সবার অগোচরে, হয়তো কাউকে বুঝতে দিবেন না। বলবেন এই তো আমি সুখি মানুষ, কিসের দুঃখ আমার!

অভিনয়ে কেটে যাবে হয়তো জীবন, তারপরও বুঝতে দেওয়া যাবে না! নিজের থেকে মাত্রাতিরিক্ত যখন কাউকে ভালোবাসা হয় তখন কি তাকে সত্যি ভোলা যায়। হ্যা মানুশজন বলে, সময় অনেক কিছুই ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু সব ক্ষত্রে, সবার ক্ষেত্রে কি এটা সত্যি হয়???

তারপরও আপনি কখনো সে মানুশটাকে বলতে পারবেন না তাকে আপনি কতটুকু ভালোবাসেন, এই যে ব্যাথা সেটা কি সহজে ভুলা যায়?? কিন্তু তখনি বাস্তবতা আপনাকে মাটিতে নিয়ে আসে! তোমার মত মধ্যবিত্ত ছেলের ভালোবাসার কি কোন সুযোগ আছে??? যেখানে তোমার পরিবারের দায়িত্ব তোমার কাঁধে, সেই মেয়েটিই বা কোন দুঃখে তোমাকে গ্রহন করে নেবে?? তুমি তো এমন কেউ আহামরি না! নিজের দাম জানতে শেখো ছেলে! অতঃপর সব কিছু ছেলেটাকে বোবা করে দেয়।

কিন্তু ভালোবাসা তো কোন ফর্মুলা মেনে হয় নি... ভালোবাসা তো হয়ে যায়, কোন এক অদৃষ্টের পরিহাসে হয়তো কিংবা বিধাতার খেয়ালে...ছেলেটিও না চাইতেও ভালোবেসে ফেলেছে! ছেলেটি কি বুঝে নাই এই ভাগ্যটাই তাদের মত পরিবারের ছেলেদের সাথে থাকে না .........বড্ড দোষ করে ফেলেছে ছেলেটি, ভাগ্যের দোষ! এটাই ছেলের নিয়তি সে কি জানতো?!

ছেলেটি জানে সে কতটুকু ভালোবাসে তাকে, কতটুকু ভালবাসলে এই সব শব্দ গুলোয় কীবোর্ডে নোনা জল পরে! কতটুকু ভালোবাসলে নোনা জলের দাপটে এই লেখায় হাত থেমে যায়! তারপরও হাসিমুখে বাইরের মেকি আমিটা ধরে রেখে মেয়েটিকে হয়তো বলবে, কোন সমস্যায় আমি তো আছি! হয়তো মেয়েটি বুঝবে না এই কথাটুকুর আড়ালে কত টুকু ভালবাসা মিশে আছে! তারপরও ছেলেটি ভালোবেসে যাবে ভালোবাসার মানুশটির ভালো প্রার্থনা করে, নিজের প্রতি রাতের কষ্ট গুলো এক পাশে জমিয়ে রেখে সে হয়তো সারা জীবন ঘুমানোর চেষ্টা করে যাবে!

যার যোগ্য হয়েই উঠতে পারলাম না তার দিকে তাকানোর বা তাকে নিজের জীবনে চাওয়ারই কিংবা তাকে ভালোবাসি সেটা বলার শক্তি আমার নেই......তার যোগ্য যদি হতাম,ভাগ্য যদি আজ আমার সাথে থাকত মেয়েটিকে বলতাম তার হাসি মাখা মুখ দেখতে খুব বেশী ভালবাসি আমি।এই ভাগ্যটাই যদি আজ আমার সাথে থাকত মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে কেঁদে বলতাম "বিশ্বাস কর খুব বেশী ভালবাসি, খুব...............খুব বেশী"

কিন্তু এই ভাগ্যটাই আমাদের মত পরিবারের ছেলেদের সাথে থাকে না ......!

তাদের বুকের পাশে আজীবনের ক্ষতই নিয়তি......!!!

তারপরও চাই আমার ভালোবাসা থাকুক ভালোবাসার বেড়াজালে সব সময়, কোন কষ্ট যেন থাকে ছুঁতে না পারে। আমি না হলাম, অন্য কাউকে সে ভালবাসুক, যে মানুষটা তার সব দুঃখ কষ্টে তাকে আগলে রাখবে।

আমার হাজার রাত্রি যাক নির্ঘুম ভালোবাসাহীন তারপরও আমার ভালোবাসার মানুশটি সুখে থাকুক, ভালো থাকুক......

ফেসবুক/নিশনামা
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×