প্রতিটা মেয়েই কুৎসিত স্পর্শের সাথে পরিচিত..... এই স্পর্শ গুলো মাঝে মাঝে চোখে ভেসে উঠে ..... কখনো খুব কাছের মানুষ থেকে পাওয়া ... একটা শিশুর মন দুর্বল করে দেয়ার প্রথম ধাপ ... মনে করিয়ে দেয়া "তুমি মেয়ে, তোমার শরীর আছে "
আমাদের সমাজের ছুট্টো শিশুদের সাথে এই বীভৎসতার পরিচয় করায় দেয়া হয় না ... লজ্জা !!!!! চরম লজ্জ !!!! ঠিক এইকারণে ভয়ে লজ্জায় বাচ্চামতী মন বলতে পারে না .... রাতে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে .... মেয়ে হউক ছেলে হউক বাচ্চাদের বুঝিয়ে দেয়া উচিৎ কুৎসিত স্পর্শ কি ..... মেয়েরা হয়তো বেঁচে যাবে আর ছেলেরা হয়তো বেরিয়ে আসবে ( এই ক্ষেত্রে সব ছেলে বা মেয়ের কথা বলছি না )
আমার বয়েস হয়তো তখন ছয় বা সাত ... আম্মার দাদার বাড়ী ঘুরতে যাওয়া..... রাতের অন্ধকার ... আমি মনেহয় কাউরো সাথে খেলা করছিলাম ... হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলো ... অমনি উৎ পেতে থাকা হায়েনার কামড় ..... আমি সেই কি চিৎকার মা দৌড়ে আসলো হাতে কামড়ের লাল দাগ ..... সেইদিন বুঝি নাই কেন কামড় দিলো .... মাও আর কিছু বলল না .... তারপর থেকে ওই বয়েসী লোক দেখলে ভয় লাগতো যদি আবার কেউ এমন করে ....
বয়েস যখন নয় কি দশ ... শরীরটা একটু একটু বলছে তুমি মেয়ে হয়ে যাচ্ছ .... আমার এক মামা শরীরটাতে কেমন জানি করে হাত বুলাচ্ছিল..... বুঝতে পারছিলাম খারাপ কিছু .... কেন জানি মুখে থুথু দিয়ে দৌড় দি ..... তখনও অজানা
বয়েস যখন ১১ কি ১২ ....... আবার অনাকাঙ্ঘিত স্পর্শ .... স্কুল থেকে বাসায় এসে সেই কি কান্না ..... লজ্জা তুমার না মেয়ে লজ্জা তাদের ....... ধিক ধিক!!!!!!
আমি যখন ১৬ ..... তারপর থেকে একটাকেও ছেড়ে দেইনি ..... স্পর্শ তো দূরের কথা .... রাস্তায় কেউ কিছু বললেই মুখের সামনে প্রতিবাদ .... একদিন ছাত্র ইউনিয়ন অফিস থেকে কি যেন কাজে বের হচ্ছিলাম সাথে প্রীতম, কল্লোল, রিপন ,শশী ... এক লোক শশীকে ধাক্কা দিতেই কলার চেপে ধরলাম .... কল্লোল যে কি মাইরটা দিলো .... সেই থেকে অনেকদিন নিউ মার্কেটের আশেপাশে মেয়েরা ধাক্কাধাক্কির অত্যাচার থেকে বেঁচে ছিল ( মাইরেরে ভুতেও ডরায় ,ছাত্র ইউনিয়নে পুলাপাইল দেখলে খবর আছে)
চিৎকার করো মেয়ে .... দেখি গলা কদ্দূর যায় .....
লজ্জা তোমার নয় .... লজ্জা তাদের .....
অ্যান্টিবাইওটিক
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৩৩