Click This Link
নুসরাতের কল রাখার পরপরই বুঝলাম মেজাজটা অতিরিক্ত রকম খারাপ হয়ে গেছে।নুসরাত একটা অপরাধবোধে ভুগছে তাও বুঝতে পারি।ও নিজেকে নিয়ে একটু সময় কাটাক-আমি ভাবি।
মা-র কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।বললাম কাল একবার ডিপার্টমেন্টে যাব।মা আমার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা আঁচ করল।মানা করল না। বলল,
-গাড়িকে আসতে বল তাহলে।আর কে কে আসবে?
-মনির আর আজাদকে আসতে বলেছি।
-আড্ডা দিবি তিনজনে?
হাসলাম আমি।
-ঠিক আছে।
মা বলল।
মনির আর আজাদ-আমার দুই জানে জিগার দোস্ত। মনিরের সাথে আমার চিন্তাভাবনা মিলে বেশি। আর আজাদের সাথে আমার বেয়াই-বেয়াইনের সম্পর্ক।জ্ঞান হবার পর শাওয়ারের পানি ছাড়া যে অল্প ক'জন আমাকে কাঁদতে দেখেছে তাদের ভেতর এই মনির আর আজাদ দুইজন।
তিনজনে অনেক মাস্তি করি আমরা।নুসরাতকে এর ভেতর টানি না।মনির আর আজাদের সাথে আড্ডা দেবার একটা সুবিধা হল যে কোন বিষয় নিয়েই আড্ডা দেয়া যায়।ছেলে-মেয়ে কোন ম্যাটার থাকে না।আবার তিনজনই আমরা আমাদের লিমিট জানি।অদ্ভুত কম্বিনেশন!
দুজনকেই ফোন করলাম,সময় জানালাম কখন যাব।
-দোস্ত!তোর জন্যই ওয়েট করছিলাম।এবার দাদাবাড়ি গিয়ে যে অ্যাকসিডেন্টের ভেতরে তুই পড়েছিলি,তারপর আমরাও চাইছিলাম তোর সাথে একটু সময় কাটাতে,তাতে যদি তোর একটু ভাল লাগে।
ওরা বলল।আমিও সায় জানালাম।
পরদিন সকালে ডিপার্টমেন্টে গেলাম। গিয়ে দেখি দুই চিড়িয়ার একটাও আসে নাই!সারাজীবন শুইনা আসছি মেয়েরা অলটাইম লেইট,এদের বেলায় সবসময় দেখি পুরা উল্টা!মেজাজ তিড়িং-বিড়িং মার্কা হয়ে গেল। পার্সোনাল নম্বর থেকে আজাদরে কল দিলাম।
-কি বেয়াই,কদ্দূর?
-আইসা পড়ছস?বেশি না বেয়াইন ১০ মিনিট লাগবে। আইজকাও তোর লগে পারলাম না।যাহ!
লাইন কাইটা দিলাম।গাড়িকে চলে যেতে বললাম।
তারপর কি আর করা! ডিপার্টমেন্টের করিডোরে দুইহাতে দুই চিড়িয়ার জন্য দুই প্যাকেট আম নিয়া ওয়েট করতে লাগলাম।
......(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০০৮ রাত ১০:০১