একান্নবর্তী পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়েটার প্রাপ্ত অনাদরের মত
উড়ে যাচ্ছিল তোমার আমার ফানুস।
তার ছোট হতে থাকা স্বপ্নের খাঁচাটির ওপর
কয়েকদফা কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়া হলো যখন,
তখন তুমি-আমি আমাদের চামড়া কেটে ছেঁড়া ফানুসটি মেরামত করছিলাম।
ধমনী ছিঁড়ে সুতা বানালে তুমি,
আর আমাদের বিশ্বাসের খুঁটিটি চোখা করে কেটে বানানো হলো সুঁই।
অম্যাবশ্যার সেইরাতে তোমার নরম বিছানায়
হৃদয়ের যতটুকু আগুন বন্দী করে রেখেছিলাম শ্বাসনালীতে,
আজ সেই মজুদ দিয়েই জ্বলছে আমাদের ফানুসটা।
উড়ল যখন,
যখন মুক্তির নিশ্বাস শুনতে পাচ্ছিলাম পেটমোটা হলুদ আলোয় ভরা ফানুসটির,
যখন শহরের কালো সাপের মত বৈদ্যুতিক তারগুলোকে লাথি মেরে উড়ে গেল ফানুসটা।
তখন তোমাকে খুব অন্যরকম দেখাচ্ছিল।
আমার মধ্যবিত্ত বাবা পাশের বাসার আমিন সাহেবের সাথে
শেয়ারে যে গর্বিত এককেজি ইলিশ মাছটি কিনে আনেন
ঠিক সেটার মত আলো ঠিকরে বের হচ্ছিল তোমার চোখ থেকে।
নারী, তোমার পোড়াকয়লার চোখের মণি থেকে।
২৩/০৭/১৩