somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট গল্পঃ ডাবের পানি

১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১)
রশিদের শরীরটা আজ অন্যান্য দিনের থেকেও অনেক খারাপ যাচ্ছে। কাশতে কাশতে মনে হচ্ছে জানটাই বের হয়ে যাবে।
একছেলে, বউ আর বয়স্ক মাকে নিয়ে সংসার তার। ভালোই যাচ্ছিল দিনকাল। রিকশা চালিয়ে যা আয় করত, তা দিয়ে খুব ভালোভাবে না হলেও খারাপ ছিল না। তারপর গত দুই বছর থেকে শুরু হল বুকের ব্যথা আর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। কখনো কিছুটা ভালো থাকে, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই খারাপ যায়। তখন দুনিয়াটাকে অসহ্য মনে হয়। বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারলে কি কিছু ভালো লাগে। আশেপাশে মানুষজন দেখলেই,কথা বার্তা শুনলেই বিরক্ত লাগে। কোন কিছু খেতেও পারে না ঠিকমত। জাউভাত আর ভাতের ফেন আর কত। শক্ত কিছু খেলেই বুকের মাঝে ঘা দিয়ে উঠে।

সালেহা ভয়ে ভয়ে রশিদের দিকে তাকিয়ে আছে। সকাল থেকেই কাশির শব্দ শুনে বুঝতে পারছে রশিদের শ্বাসকষ্টটা আজ আবার বেড়েছে। তার মানে আজ আবার অশান্তির সৃষ্টি হবে। আর ভালো লাগে না সালেহার। মেয়ে মানুষ হয়ে একটা সংসারকে আর কত টানা যায়। মানুষের বাড়িতে কাজ করে, এটা ওটা করে দিনানিপাত করছিল। এত কিছুর পরেও দুইবেলা ভাত খাওয়ার উপায় কোন না কোনভাবে হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এবারের মঙ্গায় সব কিছু উলটপালট হয়ে গেল। অবস্থাসম্পন্ন অনেক বাড়িতেই হাহাকার শুরু হয়ে গেল। এর মধ্যে সালেহাকে কাজ দিবে কে। মাটি কেটে, লতা পাতা দিয়ে খেয়ে দিন যাচ্ছিল। তারপরও যদি একটু সুখ পেত। কারণে অকারনে চিৎকার চ্যাঁচামেচি, আর চুন থেকে পান কষলেই মার খাওয়া তো আছেই। বাচ্ছা ছেলেটা কতদিন পেট ভরে একবেলা ভাত খায় না। এসব ভাবতে ভাবতে সালেহা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

২)
-মানিকের মা, ও মানিকের মা
-কি বলেন?
-ঘরে কিছু খাওয়ার মত আছে?
-এই সকাল বেলা খাওন কই পাব? মুড়ি ছিল, কালকে শেষ হয়ে গেছে।
-তোর কাছে মুড়ি খাইবার চাইছে কে? তুই তো জানছ আমি এইগুলা খাইতে পারি না।
-তো আমি সকাল বেলা আপনার জন্য পোলাও কোরমা কই থেকে জোগাড় করমু?

বিরক্তিতে রশিদের মনটা তেতে উঠে। মনে হয় মাগীটাকে লাথি দিয়ে মেরে ফেলে। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই, ওই সংসারটাকে ঠিকিয়ে রেখেছে।
-বউ রাগ করছ কেন, আজ বুকের ব্যথাটা বড্ড বেড়েছে। কি করব বল? কিচ্ছু ভালো লাগছে না। বেশি দিন মনে হয় বাচব না রে। আজ খুব ডাবের পানি খেতে ইচ্ছে করছে।

স্বামীর করুন মুখের দিকে তাকিয়ে সালেহার মনটা হুহু করে উঠে। শত হোক রশিদ তার স্বামী। সামর্থ্য যখন ছিল সে তাকে খাইয়েছে, পড়িয়েছে। এখন অথর্ব হয়ে গেছে, তার কি ই বা করার আছে।

সালেহা কিছু না বলে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়।

৩)

কালাদিঘি গ্রামের এক মাত্র অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তি চেয়ারম্যান শরীফ মিয়া তার বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন। অবশ্য তার কিছু করারও নেই। বউ, ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়িতে গেছে। ঘরটা কেমন খা খা করছে।
তিনি এক দৃষ্টিতে তার বাড়ির সামনের সারি সারি নারিকেল গাছের দিকে তাকিয়ে আছেন। প্রতিদিন সকাল বেলা নিয়ম করে তিনি গাছগুলোকে গুনেন। আজ কেন জানি ইচ্ছে করছিল না। তার মা বড় যত্ন করে গাছগুলোকে লাগিয়েছিলেন। অনেক ডাব হয়েছে, দেখতেই ভালো লাগছে।
এমন সময় তিনি খেয়াল করলেন উঠানের কোণে পুব বাড়ির রশিদের বউ সালেহা, কামলা মতির সাথে কি নিয়ে জানি কথা বলছে।
-কি রে মতি, কি হইছে?
-চাচা, সালেহা ওর জামাইয়ের জন্য একটা ডাব দিতে কয়। দিমু নাকি?
-ওরে এই দিকে আইতে ক

সালেহা মেয়েটার জন্য শরীফ মিয়ার মনে অন্যরকম মমতা কাজ করে। এত সুন্দর একটা মাইয়া অথর্ব একটা জামাই এর জন্য জীবনটারে পানি করে দিল। এই মেয়ের জায়গা এইখানে না। উনার কেবলি আফসোস হতে থাকে।
-কি রে সালেহা, কেমন আছিস?
-এইত আল্লাহ যেমন রাখছে।
-তুই তো আমার বাড়িতে আসিস ই না, তা আজ কি মনে করে?
- মানিকের বাপ ডাবের পানি খাইতে চাইছে। জানেন ই তো উনি কিছুই খেতে পারে না। বেচারা এত আশা নিয়া খাইতে চাইছে, তাই আপনার কাছে আসলাম। আপনার গাছে তো অনেক ডাব, একটা দেন না । কিনে যে খাওয়াবো তারও তো কোন উপায় নাই। জানেন ই তো আমাদের অবস্থা।

শরীফ মিয়া ভালো করে সালেহার দিকে তাকালেন। যৌবনে ভরপুর, এক দেবী যেন। সৃষ্টিকর্তা ওকে দুহাত ভরে দিয়েছেন, কিন্তু তা অপচয় হচ্ছে ভুল জায়গায় থেকে থেকে।

-কি বলছিস এসব? আমি থাকতে তুই কিনে খাবি কেন? শুধু ডাব কেন, তোকে আরও অনেক কিছুই দেব। রাতে আসিস কথা দিচ্ছি শুধু ডাব নয়, তোর দুই হাত ভরে দিব। শুধু তুই আমাকে একটু আনন্দ দিবি। ভয় পাওয়ার কিছু নাই, মালেকের মা বাপের বাড়ি গেছে, কেউ কিচ্ছু জানতে পারবে না।

সালেহা অবিশ্বাস আর অসহায় চোখে শরীফ মিয়ার লোভাতুর দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে।

৪)
‘কত্ত বড় সাহস, আমার দিকে কু নজর দেয়, আমাকে কু প্রস্তাব দেয়। হারামি, তোর উপর আল্লাহর গজব পরে না কেন’ রাগে গজ গজ করতে করতে সালেহা বাড়িতে ঢুকে।
রশিদ সালেহার চিৎকার শুনে ভেতরের ঘর থেকে সামনের ঘরে এল
-কি রে, কি হইছে তোর?
-কি আর হইব, সব আমার পুড়া কপাল
-কি হইছে কছ না কেন?
-চেয়ারম্যান হারামিটা আমারে কু প্রস্তাব দেয়, তার বাড়িতে রাতের বেলা একলা যাইতে কয়, বলে শুধু ডাব না আরও অনেক কিছুই দিয়া দিব। কত্ত বড় খারাপ মানুষ চিন্তা কর

জীবন যেখানে প্রতিক্ষণ মৃত্যুর হাতছানি শুনতে পায়, যেখানে প্রতিদিন বেছে থাকাটাই এক রহস্য সেখানে মান সম্মান খুব ঠুনকো ব্যাপার হয়ে যায়।
রশিদ খুব আশা করে ছিল বউ তার ইচ্ছে পুরন করতে পারবে, কিন্তু যে মানুষ জীবনের প্রতিটা ধাপে ব্যর্থ হয়ে আসছে, সেখানে নতুন ব্যর্থতা তার কাছে অসহনীয় এক বোঝা বলেই মনে হয়।
সালেহার এহেন কথা শুনে তার মনটা বিষিয়ে উঠে।
-এহ, আসছে আমার সতী-সাবিত্তি। মাগী তুই প্রতিদিন বাইরে গিয়ে কি করিস আমি জানি না মনে হয়, আজ জামাই একটা জিনিস চাইল আর আজি উনার সতী সাজতে লাগল।
সালেহা সব কষ্ট সহ্য করে নিতে রাজি ছিল একটুকুন সুখের আশায়। কিন্তু যার কাছে এতটুকুন সুখ চেয়েছিল, যার কাছে অল্প একটু ভালবাসার আশায় নিজের জীবন দিয়ে দিতে রাজি ছিল তার মুখে এমন কথা সুনে ধৈরযের সব বাধ ভেঙ্গে চিৎকার করে উঠে
-কমর ভাঙ্গা ব্যাটা তোর জন্য আমি কি করিনি। দুই মুঠো ভাত দিতে পারে না আবার বড় বড় কথা। পারলে দশটা টাকা আমার হাতে এনে দে না, দেখি কত মুরোদ তোর

পুরুষত্তের উপর এমন আঘাত রশিদ সইতে পারে না। একটানে সালেহার পরনের কাপড় খুলে ফেলে। তারপর হাতের কাছে একটা লাঠি ছিল তা দিয়ে বেদম মারতে থাকে।

৫)

মানিক তার দাদির কোলে শুয়ে আছে। চারিদিকে এত মানুষ, এত চিৎকার চেঁচামেচি ১১ বছরের বালক মানিকের মন স্পর্শ করতে পারছে না। সে চেয়ে আছে তার মায়ের দিকে। মা টা কেমন জানি অদ্ভুতভাবে গাছের সাথে ঝুলে আছে। জিহ্বাটাও কেমন জানি বের হয়ে আছে। ওর ভয় লাগার কথা। কিন্তু কোন এক আশ্চর্য কারণে ভয় করছে না। ওর কেন জানি মনে হচ্ছে ওর মা ওকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে। দাদি ওকে বারবার বলছেন ‘ও মানিক, ও দাদা, তোর মা মইরা গেছে, তুই একটু কান্দিস না কেন, দাদা একটু কান’
মানিকের কেন জানি কান্না আসছে না। ওর ইচ্ছে করছে মায়ের হাত টা একটু ধরতে, মুখের ভেতর থেকে গড়িয়ে পড়া লালা মুঝে দিতে। অপলক মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবছে কেউ ওর মাকে নামাচ্ছে না কেন?

দাদি মানিকে মুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেন। মানিকের এখন অপলক চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশটাকে কেন জানি খুব বিষণ্ণ মনে হচ্ছে। বিষণ্ণ আকাশের বুকে উকি দিচ্ছে সারি সারি নারিকেল গাছ। নারিকেল গাছে অনেক ডাব হয়েছে। কি অদ্ভুত লাগছে দেখতে।

৬)
১৯ বছর পরঃ

শরীফ মিয়ার মাথাটা ঝিম ঝিম করছে। চারিদিকে কেমন জানি অসুখ অসুখ একটা গন্ধ। একটা মাছি অনেকক্ষণ থেকে তার নাকের কাছে ভনভন করছে। হাত দিয়ে যে তাড়াবেন তাও ইচ্ছে করছে না।
-ও, মালেক, মালেক
-জ্বি, বাবা
-হাসপাতালে কেমন জানি জানি মরা মরা গন্ধ রে, আর তো ভালো লাগে না রে
-আপনাকে তো বললাম ই কোনও ক্লিনিকে নিয়ে যাই, আপনি তো রাজি হলেন না
-ক্লিনিকে তো এক গাদি টাকা লাগে
-আপনার কি টাকার অভাব আছে? এত টাকা দিয়ে করবেন টা কি?
-ছাগলের বাচ্ছা, আমি জানি আমি কি কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেছি, তুই কি বুঝবি টাকার মায়া
-হুম
-তা, হাসপাতালে এলাম কতদিন হল রে?
-তা বাবা, এক মাসের মত তো হয়েই গেল
-হুম, হার্টের অসুখটা মনে হয় আর এই যাত্রায় ভালো হবে না রে। এইবার আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে
-কি বলেন বাবা, ডাক্তার তো বলেছে আপনার অবস্থা এখন আগের থেকে ভালো। আর কিছু দিন থাকলে আপনাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারব
-আর বাড়ি যাওয়া.........
তিনি আরও কিছু বলতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু খেয়াল করলেন পাশের চেয়ারে কে জানি বসে আছে
-এটা কে রে, কে বসে আছে ওখানে?
-বাবা, আমাদের গ্রামের, রশিদ চাচার ছেলে, মানিক
-কি চায়? টাকা পয়সা-টয়সা দিতে পারব না
মানিক এবার কথা বলে উঠল
-চাচা টাকার জন্য আসিনি, আমি আপনাকে দেখতে এসেছি।কেমন আছেন?
-আর থাকা, কখন যে উপর থেকে ডাক আসে তার অপেক্ষায় আছি।
-চাচা, আমি আপনার জন্য ডাব নিয়ে এসেছি, আপনাদের গাছের ডাব, আপনি তো খুব পছন্দ করেন।
-ডাব দিয়ে কি করব, কিছুই খেতে পারি না, ভালো লাগে না। যাই হোক, তোমাকে দেখে খুব ভালো লাগল, বাবা।
আরও কিছুক্ষন কথা বলে মানিক চলে গেল।
-মালেক, ও মালেক
-জ্বি, বাবা
-অনেক দিন, ভালো কিছু খাই না রে, সারাদিন তো স্যালাইন এর উপর ই আছি, ছেলেটা আমাদের গাছের ডাব নিয়ে এসেছে, দে তো দেখি কেটে, খাই
-কিন্তু, বাবা, ডাক্তার তো বাইরের কিছু খেতে নিষেধ করেছে।
-আরে ডাক্তাররা অইসব বলেই, সব কিছু শুনতে হবে নাকি
-কিন্তু বাবা.........
-দে না রে বাবা, খুব খেতে ইচ্ছে করছে
মালেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হল


৭)
৫ দিন পরঃ

সালেহা বেগমের কবরের চারপাশটা কেমন জানি জঙ্গলা মত হয়ে গিয়েছে, বুনো লতাপাতা আর ঘাসে এমন ভাবে ছেয়ে গেছে যে ভালো ভাবে খেয়াল না করলে বোঝাই যায় না যে এখানে একটা মানুষের কবর আছে।

এর কিছু দূরেই আরেকটা কবর। এটা নতুন। শরীফ মিয়ার কবর।

মানিক তার মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে খুব হালকা হালকা লাগছে। অনেক দিনের বোঝা মন থেকে নেমে গেছে।
মানিক বিড় বিড় করে বলল ‘মা, আমি তোর মৃত্যুর শোধ নিয়েছি’

আজ আকাশটাকে খুব নীল দেখাচ্ছে, তার বুক ছিঁড়ে উঁকি দিচ্ছে এক সারি নারিকেল গাছ। নারিকেল গাছে অনেক ডাব ধরেছে, কেমন অদ্ভুত দেখাচ্ছে।

৮)

এর ২৩ দিন আগেঃ

বি আর টিসির বাসে এত ভিড় যে মানিক দরদর করছে ঘামছে। কেমন জানি বোটকা গন্ধ হচ্ছে। অনেকক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পা টাও কেমন জানি চিন চিন করে ব্যথা করছে। সারাদিন অফিস করে এখন এই বাসের মধ্যে এই অবস্থায় খুব কাহিল লাগছে। কখন যে মেসে যেতে পারবে তাই চিন্তা করছে। এর মধ্যে তার পাশের সিটে দুইটা ছেলে বসেছে, সেই তখন থেকে বক বক করছে। মাথাটা ভন ভন করছে, কষে একটা থাপ্পড় দিতে পারলে আরাম পাওয়া যেত।
-দোস্ত, আজ এভিনিং এ ওয়ার্ডে ক্লাস করে বেশ মজাই পেলাম
-দূর, আমি না গিয়ে মনে হয় ভুল করলাম, মাথাটা এত ব্যথা করছিল যে ক্লাসে যেতে ইচ্ছে করল না।
-নরমালি রাতের ক্লাস ভাল হয় না, আজ প্রনব স্যার ভালোই নিল, অনেক মজার মজার কথাও বলল
-কি রকম?
-মেডিসিন ওয়ার্ডে তুই দেখবি অনেক রুগীই ভর্তি হয় হার্টের সমস্যা নিয়ে, তো তাদের কে দেখতে অনেক আত্মীয় স্বজন আসে, সাথে করে নিয়ে আসে ফলমূল, জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি। রুগী খেতে পারে না বা খেতে চায় না, কিন্তু ওরা জোর করে খাওয়াবেই, মজার ব্যাপার হচ্ছে এতে করে রুগীর উপকারের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়।
-কি রকম?
-ডাবের পানিতে পটাসিয়াম থাকে, একটা হার্ট ফেইলরের রুগীকে যদি ডাবের পানি খাওয়ানো হয়, তাহলে তার কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি থাকে।
-তাই নাকি, হাহা


মানিক এতক্ষন ধরে ওদের কথা বার্তা শুনছিল। সব কিছু বুঝতে না পারলেও যা বুঝল, তাতে ওর ঠোঠের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল।

********************
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×