১
শহীদ মিনারের পূর্ব পাশে খুব সুন্দর একটা জায়গা আছে।। এই জায়গাটার একটা বিশেষত্ব হচ্ছে এখান থেকে পুরো আশপাশটা পরিষ্কার দেখা যায় কিন্ত খুব ভাল করে খেয়াল না করলে এখানে যে কেউ বসে আছে এটা বুঝা যাবে না।
২
ক্লাস শেষ হয়ে গেছে বেশ আগে। তিন তালার বারান্দা থেকে নিচের বাগানটাকে দেখতে নীল এর খুব ভাল লাগে। রোজকার মত আজকেও এই কাজটি করতে গিয়ে বাধলো বিপত্তি। হঠাৎ করে চোখ থেকে চশমাটা নিচে পড়ে গেল। চশমা ছাড়া নীল বলতে গেলে অচল। দুই হাত সামনের জিনিসও ঠিক মত দেখে না।
এত লজ্জা লাগছিল, কাউকে যে বলবে তারও সাহস পাচ্ছিল না। অদ্ভুত এক অসহায়ত্ত্ব নিয়ে সামনের নিম গাছটার দিকে তাকিয়ে ছিল।
-আমি দুইটা কাজ করতে পারি।
আচমকা কারো কথার আওয়াজে নীল চমকে ঘুরে দাঁড়ালো। কিন্তু, মানুষটিকে সে চিনতে পারছে না। ঝাপসা লাগছে। খুব সম্ভবত ইচ্ছে করেই দূরে দাঁড়িয়েছে যাতে করে নীল তাকে চিনতে না পারে। ও শুধু বলল
-কে?
-আমি
-আমি কে?
-হিহিহিহি, তুমি নীল, যার চশমাটা একটু আগেই টুক করে ধরনিপাত হয়েছে ।
নীল, বুঝতে পারছে তাকে নিয়ে কেউ মজা করছে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে।
-যা বলছিলাম, আমি দুইটা কাজ করতে পারি। এক- নিচ থেকে তোমার চশমাটা এনে দিতে পারি। দুই-তোমাকে আমি হাত ধরে ধরে নিচে নিয়ে যেতে পারি। প্রথম কাজটি করতে ইচ্ছে করছে না। দ্বিতীয়টি করা যায়। কিন্তু তুমি একজন তরুণীর হাত ধরে হাটবে কিন্তু এর বিনিময়ে কিছুই দিবে না তা তো হয় না। পৃথিবীর কোন কিছু এমনি এমনি পাওয়া যায় না,মিস্টার। আমাকে ঝালমুড়ি খাওয়াতে হবে। রাজি?
নীল একটু করে হাসল। এই ছিল অহনার সাথে নীলের প্রথম সামনা সামনি কথা বলার ঘটনা।
নীল খুব একটা মিশুক নয়। তার প্রতিদিনের রুটিন হচ্ছে সে ভার্সিটিতে যাবে, ক্লাস করবে, ক্লাশ শেষে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করবে তার পর বাসায় চলে আসবে। ভার্সিটির আড্ডা, ঘোরাঘুরি এইসব ওর ভালো লাগে না। কেন জানি ও সবার সাথে সহজ হতে পারে না। ফলস্বরূপ, তিন বছর ভার্সিটিতে পড়ার পরও ওর অইরকম কোন বন্ধু নেই।
কিন্তু, ওর রুটিনে বাঁধা, একাকী জগতটাকে এক মুহূর্তে অন্যরকম করে দিয়েছে অহনা। অহনার সাথে ওর যে ভালবাসাবাসির সম্পর্ক আছে তা বলা যাবে না। অন্তত অহনাকে দেখলে তাই মনে হবে। কেউ কেউ থাকে না, যারা খুব সহজেই সবার সাথে মিশতে পারে, সহজেই সবাইকে আপন করে নেয়, অহনা ওইরকম। কিন্তু, নীলের খুব ইচ্ছে করে অহনাকে ছুঁয়ে দেখতে, ওর নাকে জমা হওয়া বিন্দু বিন্দু ঘামগুলোকে অনুভব করতে, একটু পাশাপাশি হাঁটতে। নীল জানে অহনাকে এগুলা বললেই হাসতে হাসতে বলবে সমস্যা কি হাত ধর। চল আজ আমরা সারাদিন হাত ধরে বসে থাকি। আজ হচ্ছে তোমার আর আমার হাত ধরা দিবস। আর নাকের ঘাম, ঠিক আছে তুমি একটা বোতল নিয়ে এস তারপর আমার ঘাম তার ভিতর বন্দী করে রাখ। বোতলের নাম হবে ঘর্ম বোতল। তবে সেটা মনে হয় ঠিক হবে না, ঘামে কিন্তু অনেক গন্ধ হয়। আর পাশাপাশি হাঁটতে চাইলে তাও করা যায়। চল আমরা আজ হেঁটে হেঁটে ভার্সিটি থেকে এয়ারপোর্ট যাব, আবার অইখান থেকে ভার্সিটি আসব। আজ একই সাথে হাত কচলাকচলি এবং হন্ট দিবস। হিহিহি।
নীল একরাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবল, অহনার মত মেয়েরা কখনো বাঁধনে আটকা পড়ে না, এরা হয় মুক্ত বিহঙ্গের মত।
ওর রুটিন মনে হয় একটু, না একটু বেশিই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। ও এখন নিয়ম করে রোজ বিকেলে অহনাদের বাসার সামনের চায়ের দোকানটাতে বসে থাকে। চায়ের সাথে সিগারেটও মনে হয় ধরেছে। ভার্সিটিও মনে হয় যাওয়া হয় না প্রতিদিন।
সময়, কেটে যাচ্ছিল তার নিয়মে।
অহনা ভালোই আছে, তার ভার্সিটি, ক্লাস, আড্ডা নিয়ে। নীল, সেও ভালোই ছিল। আশা,হতাশা আর অপেক্ষাকে সঙ্গী করে। কিছু অপেক্ষা কখনই শেষ হয় না। বয়ে চলে অনন্ত কাল ধরে।
কিন্তু নীলের অপেক্ষা শেষ হয়েছে।
কিছুদিন পর কোন এক ঘোরলাগা দুপুরে নীলের ফোন বেজে উঠে
-এই ছেলে, তুমি কি আমাকে ভালো টালো বেসে ফেলেছ নাকি? কি অদ্ভুত ব্যাপার। সিগারেট টিগারেট খেয়েতো পরিবেশের একদম বারটা বাজিয়ে দিচ্ছ। বাংলাদেশ পানির নিচে তলিয়ে গেলে আমি কিন্তু ক্যাক করে তোমাকেই ধরব। বাদ দাও। এখন কাজের কথায় আসি। সামনের ১৪ তারিখ, ঐ যে ভালোবাসা দিবস না কি জানি আছে না ঐ দিন, একটা খুব দামি এবং খুব সুন্দর হলুদ শাড়ি কিনবে, তারপর খুব সুন্দর করে প্যাকেট করবে। তারপর, প্যাকেটের উপরে স্কচট্যাপ দিয়ে সুন্দর একটা গোলাপ লাগিয়ে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে থাকবে, ইচ্ছে করলে বসেও থাকতে পারো। হিহিহি
অহনা এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেল। নীল কিছুই বলতে পারেনি। শুধু একবার বলেছিল
-তুমি কি অহনা?
-হিহিহিহিহিহি
৩
অন্তু খুব হাপিয়ে গেছে। কপাল বেয়ে ঘাম পড়ছে। আজিমপুর থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে শাহবাগ আসা সহজ কথা না। বুকে মনে হয় দ্রিম দ্রিম করে কেউ ঢোল পেঠাচ্ছে। পা টাও খুব ব্যথা করছে। রিকসা করে আসা যেত, কিন্তু অনেক খুজেও ১২ টাকার বেশি খুঁজে পেল না।
-ভাই, এই ফুলটার দাম কত?
-৩০ টাকা
অন্তু অবাক হয়ে গেল।
-একটা গোলাপ ফুলের দাম এত টাকা?
-ভাই, আজকে একটা ইস্পেশাল দিন না? ভালবাসা দিবস না আইজ? ভালবাসার জিনিসের দাম একটু বেশিই হয়।
কথা সত্য। আরও সত্যি হল সবার তা কিনার সাধ্য থাকে না।
-ভাই, ১০ টাকা হয়?
দোকানদার কথাই বলল না, কেমন তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে থাকাল।
পা টা খুব টনটন করছে। ছোটবেলায় ট্রাক দুর্ঘটনায় পা টা ভেঙ্গে গিয়েছিল। পা টা শক্ত করে চেপে ধরে অন্তু ভাবল
-আমি এমনি হত ভাগা প্রিয় মানুষটাকে একটা ফুল দিব তারও কোন সাধ্য নাই। জীবন কাউকে মুঠো ভরে দেয়, কারো কাছ থেকে মুঠো ভরে কেড়ে নেয়।
হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে, অনিচ্ছা সত্বেও তাই বসল। হঠাৎ খেয়াল করল পাশেই রাস্তার উপর একটা গোলাপ বড্ড অবহেলায় পড়ে আছে। অন্তুর ঠোঠের কোণায় এক টুকরো হাসির রেখা ফুটে উঠল।
৪
রেহানা খাতুনের মনটা খুব খারাপ। তার উপর মাথাটা খুব ধরেছে। তিনি চুপচাপ বিছানায় শুয়ে আছেন। সকালের কথা মনে হতেই কেমন জানি কান্না পাচ্ছে। তিনি আর ছেলে মিলে ছোট্ট একটা সংসার। আর আছে তাদেরকে টুকটাক সাহায্য করার জন্য একটা কাজের ছেলে। পেটেভাতে থাকে। রেহানা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর অমানুষিক পরিশ্রম করে ছেলেটাকে মানুষ করছেন। ছেলেকে কখনো বাবার অভাব বুঝতে দেননি। সংসারের ঝড় ঝাপটা থেকে ছেলেকে আগলে রেখেছেন। আজ সকালে উনার কাছে ৩০০০টাকা চাইতে এসে ছিল। উনার কাছে এত টাকা ছিল না। ১৫০০ টাকা দিতে পেরেছিলেন। ছেলেটা চিৎকার করে উঠল। এতে নাকি হবে না। তার আরও নাকি টাকা লাগবে। তিনি যতই বুঝানোর চেষ্টা করেন ছেলে ততই রাগ করে। শেষে রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেল। ছেলে তার কখনো এমন করে না। নিশ্চয়ই তার অনেক দরকারি কোন কাজে টাকা লাগত। তিনি তার ছেলেটার আবদার মেটাতে পারেননি। তিনি ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন।
৫
অহনার কথা মত নীল অপেক্ষা করছে। অপেক্ষা করতে তার খারাপ লাগছে বলা যাবে না। ওর খারাপ লাগছে মায়ের কথা ভেবে। ও মায়ের সাথে কখনো খারাপ আচরন করে না। কিন্তু আজ কি যে হল। একটা ভালো শড়ির দাম অন্তত ৩০০০-৩৫০০ টাকা। মাকে বলল দিতে, দিতে পারল না। জানে মায়ের কাছে নেই, থাকলে অবশ্যই দিত কিন্তু তবু কি যে হয়ে গেল খারাপ ব্যবহার করে ফেলল।
অহনার জন্য ও সব কিছু করতে পারে, সব। শেষ পর্যন্ত ২০০০ টাকার মত জোগাড় করতে পেরেছে। তাই দিয়েই সুন্দর একটা শাড়ি কিনেছে,প্যাকেট করেছে, তার উপর সুন্দর করে লাগিয়ে রেখেছে গোলাপ, ঠিক যেমন অহনা বলেছিল।
নীল অপেক্ষা করছে অহনার জন্য। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই হয়ত ও এসে পড়বে।
না, অহনা আসেনি। অহনারা কখনো আসে না। তার পরিবর্তে নীলের ফোনে একটা এস এম এস এসেছে। হয়ত তাতে মিশে আছে উপেক্ষা, অবহেলা, ঘৃনা অথবা কে বলবে হয়ত অসহায় ভালোবাসা।
‘’নীল, আমি জানি তুমি আমার জন্য হলুদ শাড়ি আর গোলাপ হাতে বসে আছ।
আমি জানি তুমি আমার জন্য অসীম ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করছ। কিন্তু সবাই
ভালবাসার মূল্য দিতে জানে না। আমিও হয়ত না। তুমি যখন আমার এস এম
এস পড়ছ আমি তখন কবুল বলছি। তুমি কি জানো তোমার হাতে
যে শাড়িটি আছে, তার থেকে অনেক বেশি মূল্যের শাড়ি পড়ে আছে আমার
বাসার কাজের মেয়েটি। খুব কষ্ট হল? আমি তোমাকে বাস্তবতা বুঝিয়ে দিচ্ছি।
নীল,আমার ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি, যিনি আমার বাবা হন, আমার আশে
পাশের অসংখ্য কোট টাই পরিহিত মানুষগুলো, আমাদের সমাজটি খুব নিষ্ঠুর। এরা
তোমার হাতের শাড়ির দাম খুঁজবে, ভালবাসাটুকুন নয়। আমি সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে আসতে পারতাম। আসিনি। এটা তোমার পরবর্তী জীবনের জন্য আমার উপহার। তুমি হয়ত এখন এটা বুঝবে না, কিন্তু একসময় বুঝতে পারবে। নীল, ভালবাসার ছোট্ট একটা নীল দেয়ালের ঘরগুলো শুধুমাত্র গল্পের বইতেই পাওয়া যায়, বাস্তবে নয়। নীল দেয়ালের স্বপ্নগুলো না হয় অন্য কোন জনমের জন্য তোলা থাক, যখন ভালোবাসার বিশালত্ব থেকে শাড়ির মূল্য বেশি হবে না। ক্যালিফোরনিয়া চলে যাচ্ছি, অনেক অনেক ভালো থেকো সবসময়।“
৬
অন্তু ঘরের পর্দা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। রেহানা খাতুন হঠাৎ অন্তুকে দেখে চমকে উঠলেন।
-কি রে অন্তু?
অন্তু আস্তে করে এসে রেহানা খাতুনের পায়ের কাছে বসল।
-খালাম্মা, আমি আপনাকে একটা গল্প বলব।
-গল্প?
-হ্যাঁ, একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালবাসত। একদিন মেয়েটা ছেলেটাকে বলল, তুমি আমার জন্য কি করতে পারবে? ছেলেটি বলল, তুমি যা বলবে তাই করতে পারব। মেয়েটি বলল, যা বলব তাই করতে পারবে? ছেলেটি বলল, হ্যাঁ। তারপর অনেকক্ষণ চিন্তা করে মেয়েটি বলল, আমি তোমার মায়ের হৃদপিণ্ডটা চাই। ছেলেটি কিছুক্ষন অবাক হয়ে কিছুটা অবিশ্বাস নিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকল। তারপর একসময় মায়ের খুঁজে বের হল। মায়ের কাছে গিয়ে বলল, মা আমার সুখের জন্য তোমার হৃদপিণ্ডটা চাই। মা কিন্তু একটু বিচলিত হলেন না। বললেন, আমার হৃদপিণ্ডই যদি তোমায় সুখ এনে দিতে পারে তবে এই নাও। এরপর তিনি বুক ছিঁড়ে হৃদপিণ্ডটি ছেলের হাতে ধরিয়ে দিলেন। ছেলে ছুটছে মায়ের হৃদপিণ্ড নিয়ে। পথে একসময় ছেলে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। হৃদপিণ্ডটি বলে উঠল, বাবা ব্যথা পেয়েছিল?
অন্তু আবার বলতে শুরু করল
-এমন মায়ের আদর আমি কখনো পাইনি খালাম্মা। জন্মের সময় মা কে হারিয়েছি। মা কি জিনিস কখনো বুঝিনি।
অন্তু কাঁদছে, রাবেয়া খাতুনেরও চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।
-খালাম্মা, মনে আছে আমি প্রথম যখন এই বাসায় এলাম আপনাকে মা বলে ডাকতাম। আপনি একদিন আমাকে ডেকে নিয়ে বললেন মা না ডাকতে, খালাম্মা ডাকতে। আমার এত কষ্ট লাগল। এরপর থেকে আমি সারাদিন আপনাকে যতবার খালাম্মা ডাকতাম তার হিসেব রাখতাম। তারপর রাতের বেলা আপনাকে উদ্দেশ্য করে ঠিক তত বার মা বলে ডাকতাম। আজকে সবাই সবার ভালবাসার মানুষের জন্য ফুল কিনে, আমি আমার মায়ের জন্য ফুল কিনতে গেলাম, কিন্তু আমি এমনই হতভাগা তা কিনবারও ভাগ্য আমার হল না। পরে এই ফুলটা নিয়ে এলাম। খালাম্মা আমাকে নীল ভাইয়ার মত খাইয়ে দিতে হবে না, চুল আচড়িয়ে দিতে হবে না,গোসল করিয়ে দিতে হবে না। আমাকে একটা বার মাথায় হাত বুলিয়ে দিন, একটা বার মা ডাকার অনুমতি দিন।
অন্তু হাউ মাউ করে কাঁদছে। রাহেলা খাতুন অন্তুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। তার চোখ থেকে টপ টপ করে পানি অন্তুর মাথায় পড়ছে। রাহেলা খাতুনের অন্তুকে এখন ঠিক তার ছেলে নীলের মত মনে হচ্ছে।
৭
নীলের খুব অভিমান হচ্ছে। সে জানে না অভিমানটা ঠিক কার উপর। নিজের উপর, অহনার উপর নাকি পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার উপর। চোখটা বার বার পানিতে ভরে যাচ্ছে, অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারছে না। তার শুধুই মনে হচ্ছে চারিদিকে এত আনন্দ, এত ভালোবাসা কই কেউতো তাকে একটু ভালোবাসা নিয়ে জিজ্ঞেস করছে না, ‘তুমি কাঁদছ কেন?’
অন্তুও কাঁদছে। তবে এ কান্না হারানোর নয়, এ কান্না পূর্ণতার, এ কান্না প্রাপ্তির।
*******************
ভালবাসার কোন নির্দিষ্ট রূপ নেই, কোন গণ্ডি নেই, কোন নিয়ম নেই, কোন নির্দিষ্ট দিবস নেই। প্রকৃতি তার প্রতিটি সৃষ্টির চারপাশে ভালবাসার নানা ক্ষেত্র সাজিয়ে রেখেছে। তাকে খুঁজে নিতে হয়। সবাই তা পারে না, কেউ কেউ পারে।