স্থানঃ ভ্যাংকুভার এয়ারপোর্ট।
এখন এখানে দুপুর বেলা। আকাশ বেজায় মেঘলা, তাই ঘড়ি না দেখে সময় বোঝা মুশকিল। কিছুক্ষণ আগেই এখানে এসে পৌছেছি, এবারে বড় অংশটুকু উড়তে হবে। এখানে থেকে সোজা হংকং। তেরঘন্টার মামলা।
দুশ্চিন্তা হচ্ছে। প্লেনের সবগুলো সিট ভর্তি। হাত-পা ছড়িয়ে বসার গুড়ে বালি। কি আর করা? কপালে যা আছে, তাই মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় কি?
চাইনিজ (মানে হংকং আর কি) কোম্পানীর বিমান। তাই সংগত কারণেই বোঁচা পাবলিকের আনাগোনা বেশী। আমি সে সব নিয়ে মাথা ঘামাইনে।প্লেনের খাওয়াটা বেশী বাজে না হলেই আমি খুশী।
হাতের কাছে একগাদা পরীক্ষার খাতা। সেগুলো দেখতে দেখতে যাবো। তেত্রিশ হাজার ফিট উপরে গিয়েও মাস্টারের মাপ নেই।
গতরাতে মাত্র দুঘন্টা ঘুমিয়েছি। কাজের চাপে না, ইচ্ছে করেই। কেননা একজন বুদ্ধি দিয়েছে যে এতে করে নাকি প্লেনে ঘুমটা ভালই হয়। দেখা যাক, এই টোটকা পদ্ধতিতে কোন কাজ হয় কিনা। কতরকম ফন্দি যে আছে এই দুনিয়ায়। হিসেব করে দেখেছি যে ৬-৭ ঘন্টা যদি কোনভাবে ঘুমানো যায়, তাহলেই আমার দুশ্চিন্তা কমে।
যাকগে- থাকুক এটুকুই। প্লেনের লোকেরা ডাকাডাকি শুরু করবে একটু পরেই। খামাখা ওদের চটিয়ে লাভ কি?