লক্ষ্য প্রাণের রক্ত মেখে
দেশটা সেদিন স্বাধীন হলো
এই ভাবণায় রক্ত মেখেও; প্রাণ হারিয়েও
আমার দেশের বীর সেনারা শান্তি পেলো
দেশের মানুষ নিরাপদে বাঁচবে বলে
রাস্তা ধরে নির্ভয় তে হাটবে বলে
মনের কথা অকাতরে ইচ্ছে মতো বলবে বলে
তাদের সে মন, দেহের ব্যথাও ভুলতে পেলো
তাদের বড় স্বপ্ন ছিল
নিজের দেশের এই আকাশে
লাল-সবুজের এক পতাকা উড়ার দৃশ্য দেখবে বলে
স্বাধীন হয়ে দেশের মানুষ অন্যায়কে রুখবে বলে
তাদের বড় স্বপ্ন ছিল শান্তিপ্রিয় এই বাঙালী
শান্তি মেখে, নির্ভয়তে বাঁচবে বলে
রাত কি বা দিন নির্ভয়তে পথ ধরিয়া হাটবে বলে
দেশটা বটে স্বাধীন হলো
লক্ষ্য নারীর আর্তনাদও স্তব্ধ হলো
কয়েক কালের বিভীষিকাও আস্তে আস্তে ঝাপসা হলো
দেশের মানুষ শান্তি মেখে বেশ কটা গভীর ঘুমে
ঘুমিয়ে গেল
ভয় কি বা দুখ অল্প দিনেই সুখের স্রোতে তলিয়ে গেল
তারপর ঠিক অল্প দিনেই;
তাদের সে ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে
দেশটা আবার পিশাচ দিয়ে ভর্তি হলো
দিকে দিকে ধর্ষণ আর খুনের হলি ছড়িয়ে গেল
পাঁক সেনাদের আত্মা যেন
বাঙালীর এই আত্মাটাকে চুপিসারে বশ করিল
পুরোন সেসব গল্পকথা নতুন করে, নতুন হাতে
দেশের মাটি, দেশের আকাশ দখল নিলো
সেদিন যেমন
পাঁক সেনাদের ছত্র ছায়ায়
লালন হওয়া পিশাচ গুলো নারীর দেহ ছিবলে খাওয়ার
নিকৃষ্ট গল্পকথা অশ্রুভরে বলতে হতো
আজও তেমন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নেতার ছত্র ছায়ায়
লালন হওয়া পিশাচগুলো তেমন সকল গল্পকথা
তৈরি করতে, ভীষন রকম থাকছে ব্রত
সেসব দিনে রাস্তা ধরে হাটতে গেলে
এক টুকরো গুলির ছোয়ায় জীবন প্রদীপ অক্কা পেতো
আজকে বটে তেমনটা নেই
আজকে শুধু বাসের চাপায় পিষ্ট হবার ভয়
বিচার চাইলে অর্থ মেলে, বিচার পাবার নয়
৭১ এর বীরাঙ্গনার বিচারটা বেশ হয়
বর্তমানের তাবৎ বিচার ফাইল বন্দীই রয়
স্বাধীনতার স্বাধীনতাও ধর্ষীত আজ দেশে
মুক্তি সেনার আত্মারা আজ কাঁদছে বসে বসে।