মানচিত্র দেখছি। মানচিত্রটির ৩টি অংশ চোখের সামনে। ১৯৪৭, ১৯৬৮ এবং ২০১৪ সাল। ক্রমেই ছোট হয়ে সবুজাভ অংশটা কিছু ক্ষুদ্র ডটে পরিণত হয়েছে। হ্যা, ধরতে পেরেছেন। ম্যাপটি ফিলিস্তিন নামক ভূখন্ডের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ ও তার মিত্ররা ঘোষণা দিয়েছিল ইহুদীদের জন্য একটি নিজস্ব ভূখণ্ড দিবেন( Balfour Declaration of 1917)। তিনি, তারা কথা রেখেছেন। আদিকাল থেকে যাযাবর হয়ে থাকা অভিশপ্ত জাতিটাকে পবিত্রভূমিতে স্থান দিতে হল ফিলিস্তিনকে। ইসরায়েল নামক একটি দেশের 'উৎফোড়ন' হল পৃথিবীতে।
এরপরের ইতিহাস ফিলিস্তিনের রক্তগঙ্গার কাহিনী। তাদের প্রিয় ঘর, প্রিয় মাটি দখল করে তাদের নির্মম উৎপীড়নের ইতিহাস। ওদের অপরাধ ওরা এই কুটিল জাতিটাকে জায়গা দিয়েছে। ওদের অপরাধ ওরা মুসলিম। আর একচোখা মিডিয়ার কল্যাণে (বিশ্বের প্রায় ৭০ ভাগের মত মিডিয়া কন্ট্রোল করে ইহুদিরা) মুসলিমদের টেররিস্ট হিসেবে আখ্যায়িত করতে পেরেছে, খুব ভালোভাবেই। ফিলিস্তিনের প্রতিটি শিশু ভূমিষ্ঠ হয় ইসরায়েলের সৈন্যদের গুলিতে নিহত হওয়ার জন্যে হয়ত।
এই ইহুদীজাতির রয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী আমেরিকান লবিং সিস্টেম ; রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা (মোসাদ) ; রয়েছে নিখুঁত ষড়যন্ত্র করার প্রাচীন ইতিহাস! হিটলার তার আত্মজীবনী Mein Kamph- এ কিছুটা বিধৃত করেছে এই ইহুদি সম্প্রদায়ের ঘৃণ্য বিষয়গুলো (এখানে আমি জাস্ট ন্যারেট করছি। কেউ যুক্তি দিয়েন না আবার হিটলারের পাশবিকতার কোন গুণকীর্তন গায়ছি। )।
একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। হিটলার শৈশব থেকেই লক্ষ্য করতেন এই গোষ্ঠির প্রধান পেশাই ছিল সুদ প্রদান করা আর যে অঞ্চলেই যেত সুদের মাধ্যমে কারবার শুরু করে ঐ অঞ্চলে একটা প্যাচ লাগিয়ে দেওয়া! শেক্সপিয়ারের The Merchant of Venice -এও আমরা শাইলককে সুদের মাধ্যমে একই গর্হিত, কুটিল প্যাচ লাগাতে দেখি। এখনও পর্যন্ত প্যাচ লাগানোতে সেরা এই জাতি!
ইউরোপ আমেরিকায় থাকা অনেক বড় ভাইয়ের বয়ান অনুযায়ী ওখানকার বেশিরভাগ সাধারণ জনগণের রয়েছে এই অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের প্রতি চাপা ক্ষোভ। কিন্তু তারা ভুলেও এদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে বা করতে পারে না। Antisemitism এর দুয়ো তুলে তাদের ধূর্ততা, তাদের ভন্ডামির প্রতিবাদে বাঁধা দেয়া হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের The Holocaust এর নির্মম স্বীকার হয়ে অস্তিত্ব বিপন্ন হতে থাকা এই জাতিটা; বিশ্ববিবেকের সহানুভূতি পেয়ে আসা এই ইহুদিরা এখন ফিলিস্তিনে আরেক হলোকস্ট চালাচ্ছে আর বিশ্বমিডিয়া আশ্চর্য নির্লিপ্ততায় এই গণহত্যাকে সায় দিচ্ছে!
নিস্পাপ বাচ্চাগুলোর মৃত ছবিগুলোর দিকে চোখ রাখা যায় না। ঢলা পাকিয়ে আসতে চাওয়া কান্নাগুলোকে এই বলে বুঝ দিই আল্লাহ্ তায়ালা ভন্ডে ভরা এই পৃথিবী থেকে তাদেরকে আগেভাগে নিয়ে গিয়ে পৃথিবীর কদর্যরূপ থেকে হয়তো রক্ষা করছে। অনন্ত ঘুমে ভাল থাকুক এই সুইট এঞ্জেলস আর পরীরা।
(আরো অনেককিছু লেখা যেত। সময় কাভার করতে পারছি না। ভুল-ত্রুটি আর অগোছালোময়তা মার্জনীয়)