দুই দিন আগে আমার নানুর (মায়ের চাচা) হঠাৎ প্রয়ানের কারণে মা বাবার অনুপস্থিতি, ভাইয়া ভাবির উপেক্ষা, সব চাইতে বড় কথা একজনের ও শুভেচ্ছা জানানোর মতো সময় আমাকে হয়নি।
দুইটা মেসেজ পেয়েছি। একটা শুভ জন্মদিন লেখা আমার মামাতো ছোটো বোনের, আর একটা মেসেজ আমার বাবার। সেটা শুভ জন্মদিন টাইপের নয়, লিখা ছিল, আজকে বাসায় আসার সময় একটা কেক কিনে এনো।
বাবার মেসেজ টা পড়ার পর একদিকে যেমন মনটা খুব খারাপ হল, অন্যদিকে কিছুটা ভালো লেগেছিল। সবচেয়ে বেশি যেই অনুভূতি টা হয়েছিলো তা ছিল রাগ।
মনটা খুব খারাপ হয়েছিলো এই কারণে যে, বাবা মেসেজ টা এমনভাবে লিখেছিল যে মনে হচ্ছিল সে বাসায় উপস্থিত। কিন্তু সেতো সেই দূরে রাজশাহীতে।
যেই মানুষজনদের বাসায় উপস্থিতি সহ্য করতে পারিনা, তাদের ই উপস্থিতি যখন সেখানে বিদ্যমান থাকে, তখন রাগে মনে হয় কিবোর্ড ভেঙ্গেই ফেলি। কিন্তু সেটা করলে আমি তো একটাও শুভেচ্ছা পাবনা।
এই আমার প্রথম জন্মদিন যেখানে আমি আজ সম্পূর্ণ একা। একদম বিপরীত পরিবেশ। মৃত্যু মানুষকে অসহায় করে দেয়। এটা আমি বুঝতে শিখেছি। তাই কেউ কারোর নয়।
নিজেকেই নিজে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এটা ছাড়া সত্যি আমার আর কিছু করার নেই। খুব অসহায় আমি, খুব একা।
শুভ জন্মদিন ঋফায।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৮