আচ্ছা বলুনতোঃ- দূর্নীতির সাথে কারা জড়িত?
ঋণ খেলাপীর সাথে কারা জড়ীত?
টেন্ডারবাজির সাথে কারা জড়িত?
এভাবে আরও অনেক কথা বলা যাবে। আপনিও বলতে পারবেন। উত্তরটা যদি হয় শিক্ষিত মানুষ। সচেতন নাগরিক।
তাহলে আমার আরেকটি প্রশ্ন আছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তাহলে ব্যার্থ?
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করলে সে চাকুরী ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না। পারে না দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে। আবার, বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নেই নৈতিক শিক্ষার বালায়।
একদিকে শিক্ষিত সমাজ ঘুষ দূর্নীতি, ব্যাক ডাকাতি ইত্যাদি বড় বড় দূর্নীতির সাথে জড়িত। অপরদিকে যারা শুধু মাত্র একাডেমি শিক্ষা ও মুখস্থ পড়ালেখায় অভ্যস্ত, তারা চাকুরী পেলে দূর্নীতি করছে। আর চাকুরি না পেলে বাবা মায়ের বেকার সন্তান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের সাথে।
তাহলে, শিক্ষা প্রদান ও অর্জনের মাধ্যমে আমাদের দেশ ও জাতির উপকারিতা কি? ট্যাক্সের টাকা খরচ করে কি লাভ হচ্ছে?
সর্বপরি, আমরা আমাদের সন্তানের জন্য তাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছি?
নৈতিকতা নেই, সমাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবধ নেই। দেশ প্রেম নেই। নেই বাস্তব কর্ম জ্ঞান।
একটা দেশ ও জাতির ধ্বংসের জন্য অপরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থায় যথেষ্ট।
আজ আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সনদ বিতরণের কাজে ব্যস্ত। এতো শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষার অভিনয়ের কি দরকার ছিলো।
কি দরকার ছিলো জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচের?
তাই, শিক্ষা সনদের জন্য নয় মননের হোক
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭