অামাদের প্রতিবেশি দেশ মাত্র ২টা। বলাচলে ভারতের পেটের মধ্যে অামাদের বাস। অাজকে একটু অামাদের অান্তর্যাতিক সম্পর্ক ও অবস্থার কথা অালোচনার কথা চেষ্টা করছিঃ
প্রতিবেশি দেশ একটা দেশের জন্য খুবগুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়। যদি রাষ্ট্রটি হয় ছোট বা দরিদ্র।
প্রতিবেশি মানেই সিমান্ত।অার সিমান্ত মানেই বিভিন্ন সমস্যা- সম্ভাবনা, উদারতা, বন্ধুত্ত্ব অথবা খবরদারি বা প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি।
ভারত দাবি করে তারা অামাদের বন্ধু রাষ্ট্র। বন্ধু হিসেবে ভারত অামাদের কি কি প্রদান করেছে একটু দেখার চেষ্টা করিঃ
১) সিমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, নিয়মিত হত্যা করেই চলেছে।
২)২০০৭ সালের ঝড়ে ভারত অামাদের যে চাউল দিয়েছিলো তা ছিলো খাবারের অনুপযোগী।
৩) রেল ক্রয়ঃ কিছুদিন অাগে বাংলাদেশ সরকার ভারতের নিকোট থেকে ৪টা রেল ইন্জিন ক্রয় করে। যার ২টা ইন্জিন পুরাতন বলে পত্রিকায় অভিযোগ অাসে।
৪) বাংলাদেশ ভারতকে স্থল পথ ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। বিনিময়ে ভারত হয়ে ভুটানে ব্যবসা করার যথাযথো সুযোগ এখনো পায়নাই।
৫) ভারতের সমস্দ টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে চলছে কিন্তু বাংলাদেশের কোন চ্যানেল ভারতে চলে না।
৬)ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য তেমন কোন বৃহত্তর বিনিয়োগ করে নি। যা বিনিয়োগ বা অনুদান প্রদান করেছে তা অনেক কঠিন ও অলাভ জনক শর্তেঃ
ক) বিদ্যুৎ যা অনেক বেশি দামে ভারত থেকে কিনছে সরকার।
খ)রাস্তা উন্নয়নের জন্য যে টাকা ঋণ দিয়েছে ভারত সরকার, তার শর্তও অনেক হাস্যকর। রাস্তা করবে বাংলাদের, পরিকল্পোনা ভারতের, সুদ বিশ্বের অন্য সকল ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক বেশি
গ) অারো অনেক বিষয় যা বাংলাদেশকে ন্যয্য কর বা ফি দেওয়া হচ্ছে না
অপর দিকে প্রতিবেশি হিসেবে চীন মায়ানমার ও চীন পাকিস্থান এর মধ্যকার বিষয় একটু দোখিঃ
#মায়ানমার বা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ননে চীন বিশেষ ভুমিকা রাখছে।
#সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে চীন মায়ানমারকে অনেক ভারিভারি অস্ত্র বিক্রয় বা সামরিক উন্নত প্রশিক্ষণ বিনিময় করেছে। যা উদাহরণ হিসেবে মায়ানমার ও চীনের সেনা বাহীনির দিকে লক্ষ্য করলে বুঝা যাবে। দেনিতে পারেন তাদের সামরিক ক্ষাত ও অবস্থা।
সর্বপরি, এসব দেশে সুযোগসুবিধা বিনিময় করছে দুদেশ। অপর দিকে বাংলদেশের পররাষ্ট্রনীতি দুর্বল হওয়ার কারণে বালাদেশ তেমন কিছুই অাদায় করতে পারেনি বিদেশি দাতা ও প্রতিবেশি ২দেশ থেকে।
একজন সামরিক বিশেষজ্ঞের লেখা একটা বই পড়েছিলাম। তাতে লেখা ছিলো প্রতিবেশি দেশের সমিহ পেতে হলে এবং নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনীর কোন বিকল্পো নেই। অামাদের সেনা বাহীনির কি অবস্থা তা অাপনারা ভালোই জানেন।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে যা প্রয়োজন তার মাঝে অন্যতম হলো জাতীয় ঐক্য। ধারাবাহিক উন্নয়ন। দেশপ্রেমিক নাগরিক। দূর্নীতি মুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা। এখন উপরিউক্ত বিষয় গুলো যদি লক্ষ করা হয় তবে সবই অামাদের দেশ ও জনগণের মাঝে অাছে তবে সেটা খাতা কলমে। যদি অামাদের দেশপ্রেম থাকতো তবে একরাস্তা মাসে ১বার সংস্কার করা লাগতোনা। যদি অামরা দূর্নীতিমুক্ত হতে পারতাম তবে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো। লাগতোনা সুইপার ও ঝাড়ুদারের চাকুরিতে ৮লক্ষ টাকা অরো অনেক কথা এভাবে উল্লেখ করা যাবে।
সমস্যা হচ্ছে, অামাদের যা উন্নয়ন হচ্ছে তাতেও দূর্নীতি হচ্ছে। ফলে ক্ষয় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
ভারতের দিকে একটু তাকায়ঃ ভারতে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশ হলেও অনেক নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো দুইনাম্বারি করেনা। দেশের সার্বিক ক্ষেত্রে সবাই সচেতন। এক কথায় দক্ষিণ এশিয়ার একটা মডেল রাষ্ট্র।
মায়ানমারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সামরিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে মায়ানমার। সহায়তা পাচ্ছে চীন ও রাশিয়ার।
বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। যার মধ্যে আছে ফাইটার, গ্রাউন্ড অ্যাটাক ও ট্রান্সপোর্ট, ট্যাঙ্ক, আরমার্ড মোটরযান, নৌবহর ও এয়ার মিসাইল। চীন মিয়ানমারে পাকা রাস্তা, রেললাইন স্থাপন করে দিয়েছে ও বিনিময়ে মিয়ানমারে তাদের মিলিটারি ট্রুপসের প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রত্রিকার সূত্র মতে, চীন মিয়ানমারের কোকো দ্বীপে একটি ইলেকট্রনিক নজরদারি কেন্দ্র স্থাপন করেছে ও ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমার হচ্ছে চীনের ভাষায় ‘মুক্তার মালা’। মালাক্কা প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে মোকাবেলা করার জন্য কৌশলগতভাবে মিয়ানমারকে চীনের প্রয়োজন। উপরন্তু মিয়ানমার, কী উপকূলবর্তী অংশ কী উপকূল দূরবর্তী অংশ, জ্বালানি-খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ।
উপরের বিষয় গুলি যদি বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার সাথে তুলোনা করা হয় তবে খুব সহজেয় দেশের বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে। "
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬