একটি জাতীর উন্নতির জন্য অবশ্যই শিক্ষার ভূমিকা অনিস্বীকার্য। এইকথা অামরা সকলে জানি এবং স্বীকার করি। দেশে এতো কিছুর পরেও ১০বছরের উপর স্বাক্ষরতার হার ৫১ পার্সেন্ট। এখনো বিশেষ করে অনেক দরিদ্র ছেলে স্কুলে যাচ্ছেনা। কারণ যতোই হোক দেশের প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ। তবুও অনেকের ইনকাম সোর্স ভালোনা। বিশেষ করে মধ্যবৃত্ত পরিবার
কষ্টে অাছে। দ্রব্যমূল্য যতোই হোক তাদের দ্বারা দিন মজুর খাটা অসম্ভব। কারন দেশের অধিকাংশ কৃষি পরিবার মধ্যবৃত্ত পরিবার।
শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকার অবদান একটু পর্যালোচনা করি।
★ বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় অবদান বিনামূল্যে বই বিতরণ।
★গরিব ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান।
★ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান।
এখন বাস্তব অবস্থা একটু দেখার চেষ্টা করিঃ
*পূর্বে অনেক স্কুলে ভর্তি ফি নেওয়া হতো না। এখন সকল মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি ফি নেওয়া হয় (২০০-৬০০ অনেক স্কুলে এর বেশিও নেওয়া হয়)।
*গরিব ছাত্রদের জন্য যে বৃত্তি দেওয়া হয় তা অনেক মধ্যবৃত্ত পরিবার অাবেদন না করাই তারা বৃত্তি পায়না। এতে মাসিক ৬০- ১০০ টাকা বেতন দেওয়া লাগে। অাবার দেখা যায় বাবা মা দুজনই চাকুরি করে অাবার ছেলেও দরিদ্রতা দেখিয়ে বৃত্তি পাই।
* অাগে এক ব্যাকরণ দিয়েই ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়া যেতো।এখন প্রতি ক্লাসেই নতুন ব্যকরন না কিনলে ছাত্র ছাত্রীরা পড়তে পারছেনা। এটা কেও দেখে না।
*টিউশনী সমস্যার হলোনা কোন সমাধান।১০০০-৫০০০ টাকা করে মাসিক প্রাইভেট টিউটরকে দেওয়া লাগে। স্কুলে ক্লাস হোক বা না হোক অাসতে হবে। পড়তে হলে প্রাইভেটে অাসতে হবে। অধিকাংশ হাইস্কুলের এই অবস্থা।
* সৃজনশীল হওয়ার কারনে অনেক শিক্ষক এটা না বুঝেই ক্লাস নেন এতে ছাত্রদের বিশেষ করে মেধাবিদের হয়েছে সমস্যা। অাগে যেখানে ৩০০-৫০০ টাকার নোট বা গাইড কিনলেই চলতো। অনেক গরিবছাত্ররা,পুরাতন নোট ম্যানেজ করে পড়তো। এখন ১০০০-৩০০০ টাকাই ও নোট গাইড কম্পিলিট হয়না। অাবার প্রতিবছর নতুন নতুন বই কেনাই লাগবে।কারণ বিভিন্ন, প্রকাশনি শিক্ষকদের দিয়ে অাসে মোটা অংকের টাকা। তাই প্রতি বছর সিলেবাস ও বই পরিবর্তন হয়।
* সৃজনশীলের কারনে অনেকে কম পড়েও ভালো করছে। কারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে নাম্বার দেওয়া ছক দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লিখলেই নাম্বার। মেধার মূল্যাইওন হচ্ছে না। তাই দেখা যাই A+ পাওয়ার পর বলে ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় শোক দিবস।
কেও ভালো খেললে তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এগিয়ে অাসছে বিভিন্ন কম্পানি ও সরকার।
কিন্তু এই কথা শুধু অাজ মুখের বুলিতে পরিণত হয়েছে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্পো নেই। বাস্তবে এর যথাযথ কোন প্রয়োগ নেই। কেও ভালো ফলাফল করলেও তার মেধার কোন মূল্যায়ন নেই। নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়। তখন চলে অাসে বিভিন্ন শর্ত।।
এটাই অন্যদেশ অার অামাদের দেশের পার্থক্য। তাই অামাদের দেশের অনেক মেধাবীকে অন্যদেশে চলে যেতে দেখা যায়।
জাতীর স্বার্থে শিক্ষার দিকে যথাযথ গুরুত্ত্ব দিতে হবে। নয়তো দেশ ও জাতি পিছিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩১