somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা! (দ্বিতীয় পর্ব)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আগের পর্ব পড়ে আসুন গল্প: ভৌতিক কাহিনী - পরী সাধনা (প্রথম পর্ব)



সাত
হাশিমের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে কান খাড়া করে কিছু একটা শুনার চেস্টা করছে মোহনরাজ। বাসার চৌহদ্দিতে এখনও পা দেয়নি ও। বাসাটার চারপাশে কেমন যেন অস্বাভাবিক শীতল একটা পরিবেশ! একটু দূর থেকে তিনটা কুকুর অদ্ভুত স্বরে ডাকছে। দৈব্য শক্তির উৎস শিবকে দুই হাত তুলে প্রণাম করে মন্ত্র পড়তে পড়তে ঘরের দিকে এগিয়ে গেল মোহনরাজ........।

হাশিমের বাবা একটু দূর থেকে ঘরটা দেখিয়ে দিয়ে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দরজার দিকে।
-আজকে সারাদিন এই দরজা কেউ খুলতে পারেনি। দরজায় হাত দিলেই পুরো ঘর থরথর করে কাঁপতে থাকে। ভিতর থেকে কে যেন ভয়ংকর স্বরে ঐখান থেকে চলে যেতে বলে।
- আমি ঘরের ভিতরে ঢুকার পর কেউ আশেপাশে থাকবি না। কিচ্ছু শুনার চেস্টা করবি না। আর যা কিছু দেখবি সেটা কোনদিন কাউরে বলবি না। যা, তোরা চলে যা এখান থেকে....

দুই হাত তুলে স্বয়ং মহাকালীকে প্রণাম করে মোহনরাজ জোরে জোরে মন্ত্র পড়া শুরু করল। "ওঁং হ্রিং হ্রিং রিং রিং কালী কালী স্বর্বশক্তি মহাকালী করাল বদলি কুরু কুরু স্বাহা"। একই মন্ত্র বারবার বলতে বলতে দরজায় হাত দিল ও। দরজা হুট করে খুলে গেল আর সাথে সাথেই শুনতে পেল এক অপার্থিব ভয়ংকরী গুরুগম্ভীর নিনাদ.....

মোহনরাজ ঘরে ঢুকে প্রথমেই সারাঘর বন্ধক দেয়া শুরু করল। কাঁধের ঝোলা থেকে মন্ত্রপড়া মোমবাতির প্যাকেট খুলে ঘরের চারকোনায় চার রং এর চারটা মোমবাতি মেঝেতে রেখে জ্বালিয়ে দিল। মোমবাতির হালকা আলোতে ঘরের গুমোট অন্ধকার কিছুটা দূর হলো। ঘরের মধ্যে একটা তীব্র বোটকা গন্ধ আর একটা আবছা অবয়ব যেন চকিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে সব জায়গায়!

সেই গুরুগম্ভীর নিনাদ প্রতিনিয়ত অনুরণিত হচ্ছে সারা ঘরে। যেন ছোট্ট এই ঘরে এই নিনাদটুকুই একমাত্র সত্য। নেই কোন আলো, নেই কোন অবয়ব, শুধুই গলিত অন্ধকারের মাঝে একমাত্র সত্য এই গভীর অপার্থিব নিনাদ। মোহনরাজ দিব্য চোখে তাকিয়ে দেখল, সেই অপার্থিব নিনাদের মধ্য থেকে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে ওর খুব পরিচিত একটা মুখ!

খাটের খুব কাছে যেয়ে হাশিমের দিকে তাকাল মোহনরাজ। দুইহাত মোটা রশি দিয়ে খাটের সাথে বাঁধা ওর শিষ্য হাশিম এখন প্রায় জীবন্মৃত। এক ভয়ংকর অতিপ্রাকৃত শক্তির কাছে ওর দেহ ও আত্মা দুইটাই গচ্ছিত! সংগমের ফলে হাশিমের পুরো শরীরের উপরই অধিকার পেয়ে গেছে এই অপশক্তি! এর সাথে যুদ্ধ করতে হলে ওর এখন দরকার অপার্থিব শক্তি। সেই শক্তির সাধনাই আগে করতে হবে ওর....

খাটের পাশেই মেঝেতে বীরাসনে বসে মোহনরাজ হাতের তিনটা আঙ্গুল দিয়ে নিজের চোখ ঢেকে, তর্জনী ভ্রুর উপর রেখে, বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি দিয়ে কানের ফুঁটো চেপে অদ্ভুত একটা কাঁপা কাঁপা স্বরে তান্ত্রিক মন্ত্র পড়া শুরু করল। গুরুগম্ভীর সেই নিনাদ কমতে কমতে বিলীন হয়ে গেল আর সারা ঘর তীব্র নীলাভ রঙে আলোকিত হয়ে উঠতে লাগল। বিমূঢ় অচেনা এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে হাশিম ওর দিকে। কিন্তু হাশিমের চোখ দুটো জ্বলছে, কিসের এক অদ্ভুত অভিব্যক্তিতে সেটা মোহনরাজ বুঝতে পারল না। কোন কিছুই না বলে হঠাৎ এগিয়ে এসে মোহনরাজের গলা টিপে ধরল হাশিম ডান হাত দিয়ে। হতভম্ব হয়ে গেল কাপালিক। এই মাত্রই তো ও দেখল দুই হাতই বাঁধা খাটের সাথে। হাশিমের কপালে হঠাৎ এই কাটা দাগটা কোথা থেকে আসল? দেখতে অনেকটা তৃতীয় নয়নের মত? কি কঠিন মুষ্টি! মাত্র পাঁচটা আঙ্গুল যেন ওর কণ্ঠনালীতে চেপে বসে ওর সমস্ত প্রাণবায়ু শুষে নিচ্ছে। এখনই বাঁধা দিতে হবে ওর, সময় বেশি পাবে না ও। দ্রুত মন্ত্র পড়ে তিনবার তালি দিল ও। হাশিমের হাতের মুষ্ঠি নরম হয়ে এলে ও হাশিমের ডানহাতটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।

অনেক প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে, এবার আসল কাজ শুরু করল ও। খাটের উপর হাশিমের সামনে বসে তান্ত্রিক মন্ত্র পড়ে হাশিমের দুই হাতের দুই কনিষ্ঠ আঙ্গুল নিজের দুই বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি দিয়ে চেপে ধরল ও আর সাথে সাথে অপশক্তি দূর করার খুব গোপন একটা তান্ত্রিক মন্ত্র জোরে জোরে পড়া শুরু করল। হাশিম প্রথমে পাগলের মতো কিছুক্ষন ছটফট করলেও খুব তাড়াতাড়ি আগের অবস্থায় ফিরে আসলো আর সুর করে অচেনা ভাষায় হাশিম কি যেন পড়া শুরু করল মৃদু স্বরে....

মন্ত্র পড়তে পড়তেই কষে একটা ধমক দিয়ে অপশক্তিটাকে হাশিমকে ছেড়ে এখান থেকে চলে যেতে বলল কাপালিক।
ক্রুর হাসি মুখে নিয়ে হাশিমের উপর ভর করা অপশক্তি অপার্থিব এক কন্ঠে বলল-
- একে তুই আর ফিরত পাবি না। এ শুধুই আমার। আমি নিজে আসি নাই, এই আমারে ডাইক্যা আনছে। আমারে এর ভিতরে নিজেই জায়গা দিছে। এর সাথে আমার মিলন হইছে।
- তুই ওরে ছাইড়া এইখান থেইক্যা একক্ষন চইল্যা যা কইলাম!
- আমারে ভয় দেখাস? তুই আমারে কিছুই করতে পারবি নারে মোহনরাজ! তোর পিতলের থালা কই? তোর নাড়ীনক্ষত্র সবই জানি আমি। তোর শক্তি কতখানি সবই জানি!
হতভম্ব হয়ে গেল কাপালিক। ওর পিতলের থালা হারিয়ে সর্বনাশ করেছে হাশিম। এক ঝাটকায় দুইহাত ছুটিয়ে নিয়ে ভয়ংকর স্বরে হা হা করে হেসে উঠল হাশিম। ডান হাত তুলে খোলা দরজা দেখিয়ে বলল-
- যা, এইখান থেইক্যা ভাগ। আর কিন্তু কমু না। এরপর তোর কল্লা মটকাইয়া তোর আস্তানার সামনের ঝিলন বিলে গাইরা দিয়া আসুম। ভাগ!
- তুই আমারে ভয় দেখাস! কাপালিক মোহনরাজরে ভয় দেখাস তুই? এত্তবড় সাহস তোর?

তীব্র ক্রোধে মোহনরাজ মন্ত্র পড়ে দুই হাত দিয়ে হাশিমের মাথা চেপে ধরে জোরে হাশিমের সারা শরীরে ফুঁ দিল। এই বাতাস লাগলে এর আর হাশিমের ভিতরে থাকা সম্ভব না। কিন্তু ও অবাক হয়ে দেখল সবকয়টা মোমবাতি হুট করে নিভে গেল আর কে যেন ওকে প্রচন্ড শক্তিতে ধাক্কা দিয়ে ঘরের শেষ মাথায় দেয়ালের উপর ফেলে দিল। প্রচন্ড ব্যথা পাবার পরও আবার উঠে দাড়াল কাপালিক। শক্তির রক্ষা কবচ হিসাবে ওর গলায় ঝুলান পিতলের মাদুলীটা বাম হাতে চেপে ধরে আবার মন্ত্র পড়ে ডান হাতে খুব প্রাচীন এক নকশা আঁকতে আঁকতে সামনে আগাল মোহনরাজ। আজ পর্যন্ত এত শক্তিশালী কোন অপশক্তি মুখামুখি হয়নি ও, কপালে বেশ কয়েকটা ভাঁজ পড়ল ওর। কিন্তু কিছুদুর যাবার পর খাটের কাছে কিছুতেই যেতে পারছে না ও। একটা অদৃশ্য বর্ম যেন ঘিরে রেখেছ খাট টাকে! সর্বশক্তি প্রয়োগ করার পরও একচুল পরিমানও এগুতে পারল না ও।

অবাক হয়ে কে এই অপশক্তি জানতে চাইল কাপালিক!
- আমি ঈষানসূয়া। দশ সহস্র পরীর রানী আমি। আর এ হলো আমার, শুধুই আমার। আমি খুন্নাস চাই! খুন্নাস! কেউ আমারে ঠেকাতে পারবে না। যা তুই, আমারে আর বিরক্ত করিস না।
হঠাৎ করে মোহনরাজের মনে হলো কে যেন ওর ঘাড় ধরে শুন্যে ভাসিয়ে দরজার বাইরে নিয়ে যেয়ে উঠানে ফেলে দিল। একটু পরে ওর ঝোলাটাও ওর পাশে এসে পড়ল। ভয়ে সারা শরীর প্রচন্ড ঘাম দিয়ে উঠল, থরথর করে কাঁপছে ও। এই জীবনে এতবড় ভয় আর কোনদিনও পায়নি ও! একটু দূরে দাড়ান সবাই হতভম্ব হয়ে কাপালিকের দিকে তাকিয়ে আছে। মাথা নীচু করে মোহনরাজ হাশিমের বাসা থেকে বের হয়ে আসল......

আট
প্রতিবারের মতো এইবারেও হাশিম ঘোরলাগা দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে দেখল, ওর সেই অপরূপা পরী সম্পুর্ন নগ্নদেহে এগিয়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরল। অপুর্ব সুন্দরী স্বাস্থ্যবতী প্রান চাঞ্চল্যে ভরপুর এক প্রেয়সী নারী। যে নারী ওকে সারা দিনরাত দেয় চরম স্বর্গসুখের অনুভূতি। দুই জোড়া ঠোঁট মিশে যেতেই হাশিম অনুভব করল অদ্ভুত একটা ভালোলাগা আর সুতীব্র কামনা। আস্তে আস্তে পরীর শরীর চেপে বসছে ওর উপরে, মিশে যাচ্ছে ওর সঙ্গে, একাকার হয়ে যাচ্ছে দুটি অতৃপ্ত শরীর। হুট করে হাশিমের দুই হাতের বাঁধন খুলে গেল। হাশিমের চেতনার যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, তাও যেন এক লহমায় মিলিয়ে গেল এক তীব্র আকাঙ্ক্ষার মধুর ক্ষীয়মান অনুরণনে। কম্পিত শরীর আর বুবুক্ষু হৃদয়ে হাশিম যেন বিলীন হয়ে গেল সেই পরীর শরীরের সাথে......

নয়
প্রায় এক সপ্তাহ পরে…

নিশুতি অমাবস্যার মধ্যরাত। ঘোর অমানিশায় চারিদিকে শুনশান নিরবতা। হঠাৎ নূপুরের আওয়াজে হাশিমের বাবা'র ঘুম ভেঙ্গে গেল! খুব মিষ্টি আওয়াজ, অদ্ভুত বিষন্ন কিন্তু মাদকতায় পূর্ণ তাল। বিছানা থেকে উঠে উনি জানালা দিয়ে চারপাশে তাকালেন। কিন্তু কিছুই দেখতে পেলেন না। একটা মেয়েলি মিষ্টি গানের গলাও শুনলেন। মনে হলো হাশিমের ঘর থেকে ভেসে আসছে। হাশিমের ঘরের পাশে দাড়ান কৃষ্ণচূড়া গাছটার দিকে তাকিয়ে উনি অবাক হয়ে গেলেন। এই মধ্যরাতেও কি উজ্জল লাগছে এর ফুলগুলিকে! হাশিমের ঘরের দিকে তাকিয়ে উনি আরও অবাক হলেন। সারাঘর একটা স্নিগ্ধ আর মিষ্টি উজ্জ্বল আলোতে চকমক করছে। জানালা দিয়ে সেই আলো বাইরে বের হয়ে এসে সারা উঠান আলোকিত করে রেখেছে। হাশিমকে আছর করার পর থেকে গত একমাসে আজ পর্যন্ত এই অদ্ভুত কান্ড উনি দেখেন নি। সাথে সাথেই মনের ভিতরে কু ডাক দেয়া শুরু হলো। বিছানা থেকে নেমে হাশিমের ঘরের দিকে রওনা দিলেন উনি…..

হাশিমের ঘরের দরজার সামনে এসে দাড়াতেই উনার মনে হলো, ঘরের ভিতর একটা নয়, বেশ কয়েকটা কন্ঠ গান গাইছে আর নাচছে, অনেকগুলি নূপুরের নিক্কন একসাথে শুনা যাচ্ছে। মনের ভিতরে আগের কু এবার বেশ জোরেশোরেই ডাকা শুরু করল। জানালা দিকে উঁকি দিতেই, উনি অবাক হয়ে গেলেন! বিছানায় অনিন্দ্য সুন্দরী একটা মেয়ে চোখ ঝলসিয়ে দেয়া ঝলমলে পোষাক পরা হাশিমের হাত ধরে বসে আছে। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন! পূর্ণিমার চাঁদের মতো ফর্সা মুখ, মুখের গড়ন এতই সুন্দর, কিন্তু একটা মেয়ে এত সুন্দর হয় কিভাবে? লজ্জা রাঙ্গা হাসি মুখে সামনে তাকিয়ে আছে। হাশিমও একই রকম ঝলমলে পোষাক পড়ে হাসিমুখে মেয়েটার সাথে কথা বলছে। হাশিমকে এতই সুন্দর লাগছে যে, নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। কি শীতল একটা বাতাস বইছে সারা ঘরে! প্রাণটা যেন জুড়িয়ে যায়! অজানা এক মিষ্টি মধুর ঘ্রানে সারা ঘর মৌ মৌ করছে। আর ঘরের মাঝখানে সাদা জরীর পোষাক পড়া তিনটা মেয়ে গুনগুন করে অজানা ভাষায় গান গাইছে আর নাচছে! মোহনরাজের বলা কথাগুলি খুব করে মনে পড়ল হাশিমের বাবা'র। উনাকে বলেছিল যদি এদের খুব পছন্দ হয়ে যায়, পরীরা অনেকক্ষেত্রে আছর করা ব্যক্তিকে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করে ফেলে আর যদি বিয়ে করেই ফেলে তখন একে কখনই ফেরত আনা সম্ভব না। আজকে কি এই ঘটনা ঘটেছে? হাশিমের বাবা'র চোখের সামনেই এরা দুইজন বিছানা থেকে উঠে দাড়াল। মুহূর্তের লহমায় নৃত্যরত তিনটা মেয়ে উধাও হয়ে গেল! ঘরের উজ্জ্বল আলো ক্রমশ হালকা হয়ে যাচ্ছে! ঘরটা পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যাবার আগেই উনি দেখলেন, অনিন্দ্য সুন্দরী মেয়েটা হাশিমের হাত ধরে মেঝে থেকে উপরে উঠে যাচ্ছে। উনি দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকলেন, কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেল! ঘরে কেউ নেই আর ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখলেন মাঝখানে বেশ বড় একটা গর্ত! সেই গর্ত দিয়ে উপরে তাকাতেই দেখলেন, অনেক উপরে বিন্দুর মতো কিছু একটা একবার দেখা গেল, তারপর আর কিছু নেই…………

দশ
জঙ্গলের ভিতরে সেই মাটির ঘরে অমাবস্যা আর পূর্ণিমাতে গভীর রাতে অদ্ভুত নীলাভ আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায়! অচেনা কেউ যেন ভুল করে সেখানে না যেতে পারে, সেজন্য ঐ গ্রামের লোকজন বেশ কয়েকবার ঘরটা ভেঙ্গে ফেলার চেস্টা করেছে। কিন্তু ঘরের খুব কাছে যাবার পর সবারই একই অবস্থা হয়। প্রচন্ড আতংকে হঠাৎ করেই ছুটে চলে আসে ঘরের কাছ থেকে……

পাদটীকাঃ জ্বীন ও ইনসানের যৌনমিলন সম্ভব। জ্বীন চাইলেই মানুষের বেশে মানুষের সাথে যৌনমিলন করতে পারে। এর ফলে জন্ম নেয়া সন্তানকে বলা হয় খুন্নাস।

উৎসর্গঃ প্রিয় ব্লগার মাইদুল ভাই আমাকে ভৌতিক একটা গল্প লেখার অনুরোধ করেছিলেন। উনার অনুরোধে প্রেক্ষিতেই এটা লেখা হয়েছে। আর এই দুই পর্ব গল্পের অনিন্দ্য সুন্দরী পরীকে আমি ব্লগার আর্কিওপটেরিক্স ভাই জন্য উৎর্সগ করলাম।

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
৪১টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপব্লগার "জটিল ভাই"-এর সাক্ষাৎকার

লিখেছেন জটিল ভাই, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৭

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জয় বাংলা - জাতীয় শ্লোগান হিশেবে বাতিল: ঐতিহ্যবিরোধী এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

লিখেছেন কিরকুট, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০



বাংলাদেশের ইতিহাসে "জয় বাংলা" শ্লোগান শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়; এটি একটি জাতির আবেগ, চেতনা এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শ্লোগান ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির প্রেরণা। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ.......

জীবনে কিছু সময়, কিছু দিনের কথা আমৃত্যু মনে থাকে তেমন বেশ কয়েকটি দিন তারিখ আমার জীবনেও খোদাই হয়ে আছে....মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরের ১ম সাব-সেক্টর হেড কোয়ার্টারে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ উন্নয়নের মূল অন্তরায়

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১


উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রকে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে কথাটি বলেছিলেন অত্যাধুনিক সিংগাপুরের উন্নয়নের কারিগর লি কুয়ান। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরের প্রধান মন্ত্রি হন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাবির ভাই বেরাদার (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার কি বালটা ফালাচ্ছে বলতে পারবেন?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

১) সরকারী কোন অফিসে নূন্যতম কোন লুটপাট বন্ধ হয়েছে?
২) জায়গায় চাঁদাবাজী বন্ধ হয়েছে?
৩) আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নুন্যতম কোন বিচার তারা করতে পেরেছে? বা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে পেরেছে?
৪। আইন শৃঙ্খলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×