ধর্মের দোহাই দিয়ে কেন? শান্তি নামের অাত্মঘাতী,
ক্ষুধায় যখন দগ্ঘ উদর, কোথায় থাকে জাত-বেজাতি?
অগ্নি চোখে মুমিন তুমি, হিংসায় জ্বলা পুরোহিত,
জল কখনো পানি হয়ে পাল্টেছে তার অাপন দিক?
রুষ্ট চোখে মিথ্যাচারে বিদ্বেষ যখন দাও ছড়িয়ে,
চন্দ্র কি তবে চাঁদটি হয়ে, কিরণ ছড়ায় মরুর বুকে?
মুর্খ তুমি মৌলবাদী, ধর্ম না তোমার পিতার গদি,
ধর্ম ডাকাত হয়ে তবে, লুটছো কেন শান্তি নদী?
অট্টালিকায় গা এলিয়ে ভাবছো তুমি অাপন মনে?
কত বেজাতির ঘামের গন্ধ লুকিয়ে অাছে ইটের ভাঁজে।
ধর্ম তখন কোথায় থাকে? লজ্জা পেয়ে খিড়কি খোজে?
ধর্ম বুঝি ভীষণ দুঃখী? জাত গেলো জাত গেলো বুঝি।
বেজাতিরা সবল বুঝি? একটু ছুঁলেই ধর্ম অসতী,
এ কেমন ধর্ম তোমার? দূর্বল নাকি ভীষণ ত্যাগী?
চাইনা এমন ধর্ম অামি, লোভী অার স্বার্থান্বেষী,
মানুষে মানুষে বিভেদ গড়ে ঈর্ষা যার এতই বেশী।
সত্যি প্রভু? ভিন্ন তুমি? ভেবেছিনু অভিন্ন তোমায়,
জাত-পাত নির্বিশেষে কেন দিলে এক রক্ত সবায়?
মিথ্যাচার অার অহংকারে তোমার সৃষ্টি ধ্বংসদ্বারে,
বাঁচাও বাঁচাও অার্তনাদে অামার অাকুল প্রাণ।
কবে তবে মুক্তি পাবো? জাত-পাত ভুলে বুকে জড়াবো,
শাস্তি নয় অার, শান্তির বর্ষন অাদেশ করো হে দয়াময়।।।
বিঃদ্রঃ কোন ধর্মকে ছোট করা কবিতার মুল উদ্দেশ্য নয়। চাই অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।