নিয়মের প্রাচীরে অাবদ্ধ জীবন নিয়ে,
কালের হাত ধরে মহাকালের দিকে হাটছি।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেবে গড়মিল অাজীবন।
কখনো ক্লান্ত-শ্রান্ত ঘর্মাক্ত দেহের অপারগতা,
কখনোবা কান্ডজ্ঞানহীন কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা।
তবুও বয়ে চলি গুটি পায়ে কালের মহাস্রোতে,
পিছু ফেরার নেই যেন কোন অবকাশ।
প্রতিযোগিতার ধরনীতে শুধুই ছুটে চলা।
তবুও থমকে যাই অামি বারে বার...
তোমার অপলক ম্লান দৃষ্টি অামাকে থামিয়ে দেয়।
তোমার সৌন্দর্য্যে অামি বিমোহিত হই বারে বার,
পুবের অাকাশে রক্তিম সিদুরে রবির সোনামাখা রোদ
শিশিরসিক্ত ভোর, নির্মল বায়ু অার পাখির কলকাকলী
চিরযৌবনা খলখলা নদীর কুলু-কুলু ধ্বনি,
নাগরিক পাখি কাকের কর্কষ সুরও যেন সুমধুর।
পলে পলেই অামি সম্মোহিত হই তোমাতে
মনে হয়, মহাকালকে খানিক বিলম্ব করিয়ে
নিয়মের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকি হাজার বছর।
তবে নিয়ম যে বড্ড রুঢ়...
পৃথিবী কেবল সফেদ কাফনে মোড়া লাশের ডাকবাক্স,
সমস্ত সৌন্দর্য্যের মাঝে লুকিয়ে অাছে রুঢ় বাস্তবতা,
সে অামায় হাতছানি দিয়ে ডেকে ডেকে কাছে টানছে।
সমস্ত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি অার হতাশার ব্যাথ সাঙ্গ করে,
কালনিদ্রায় যাবো একদিন নিয়মের বাহুডোরে,
নির্মল বায়ু তখন অামাকে স্পর্শ করবেনা,
সবুজের গন্ধ এসে অামার নাকে সুরসুরি দেবেনা
খুব মিস করবো ধরণী তোমায়।
তবে তুমি ভালো থাকো, ভালো থাকা হয় যেন।