উসাইন বোল্ট রেকর্ড গড়ার জন্য দৌড়ায়। সবসময় কি আর রেকর্ড গড়া যায়? আমরা বাস ট্রেন ধরার জন্য দোড়াই। ধরতে পারি ঠিকই।
মাইকেল ফেলপস, সোনা জেতার জন্য সাঁতার দেয়। সবসময় সোনা জিততে পারে না। নৌকা ডুবলে আমরা জীবন বাঁচানোর তাগিদে সাঁতার দেই। নিজের জীবন বাঁচিয়ে মাঝে মাঝে অপরকেও বাঁচাই।
ওরা গোলক ছুড়ে চাকতি ছুড়ে। আমাদের হরতালকারীরা ইট ছুড়ে। ওদেরটা কতটুকু দূরে যায় জানি না, তবে আমাদের ছুড়া ইট পাটকেল অনেক দূরে যায়।
ওরা লাল দাগ লক্ষ করে গুলি ছূড়ে। আমাদের পুলিশ হরতালের সময় মানুষের বুক লক্ষ করে গুলি ছুড়ে।
নেইমার বলে লাথি মারে, আমাদের এমপি সাংবাদিককে লাথি মারে। লাথি তো মারছে!!
ওরা লোহার ডান্ডার দুই মাথায় ভারী চাকতি লাগায়া খিচ্ছা উপরে তুলে। এটা নাকি ভারোত্তোলন। আরে আমাদের সিনেমার নায়কেরা সেই কবে থেকেই হাতি হাতি নায়িকাকে অনায়াসে পাঁজাকোলা করে তুলে নেয়। হুহ। কুস্তি কিংবা মার্শাল আর্টেও ওরা জবরদস্ত।
ওরা দুইটা ডান্ডা ধরে ঝুলাঝুলি করে। তাও কিছু সময়ের জন্য। আমরা ঈদের সময় ট্রেনের সামান্য একটা হাতল ধরে ঝুলে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা।
অলিম্পিকে অংশ নেয়ার জন্য প্রায় সকল ক্যাটাগরির লোকই দেখা যায় আমাদের আছে। দরকার শুধু একটু সিস্টেমের ভেতর নিয়ে আসার। কিন্তু এবারের অলিম্পিক তো শেষ??
আচ্ছাহ, সামনের বার দেখবো নে
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫২