তিন বেডের বিশাল এক এপার্টমেন্ট। শুধুমাত্র আমার জন্য। সে এক বিশাল আয়োজন, ফুল ফার্নিসড, সুইমিং পুল, জিম কি নেই সেই বাসায়। এলাকাটাও ভয়াবহয় সুন্দর। আটলান্টিক আমার বাসাথেকে ১ মিনিটের হাটাপথ, তাছাড়া এলাকাটা খুবই সুরক্ষিত। চাকুরীর সুবাদে মোটা মাইনের পাশাপাশি অনেক কিছুই দিয়েছে কম্পানী।কিন্তু হায় কপাল! এতকিছু থাকার পরেও অনেক কিছুই যেন নেই।
যেমন ঘর আছে ঘরওয়ালী নেই (দেশেও নেই)। খিদা আছে কিন্তু খাবার নেই। শামুক, ঝিনুক অক্টপাশের পাশাপাশি এরা মুরগি, গরু ছাগল যাই রান্না করুক না কেন আমি একেবারেই গলধকরন করতে পারিনা। বাংগালী জ্বিবাহ মনে হয় বাংগালী খাবারের প্রতি খুবই লয়াল। তাই আফ্রিকান খাবার সাথে কিছুতেই মানাতে পারলামনা। সুতরং খাবার-দাবার নিয়ে সবসময় একটা টেনশন লেগেই থাকে। উইকেন্ডে আবার হাউস কীপার আসে না। শুধু রান্নাবান্না করেই নিস্তার নেই, ধোয়াপালাও করতে হয় এই দুইদিন। উইকেন্ডে আমার প্লান হল যতপার দেরীতে ওঠো যাতে সকালে নাস্তা অন্তত না করতে হয়। আজকেও উঠলাম ১২টার দিকে। কিছুমিছু খেয়ে টিভি দেখে, সামুতে ঢু মেরে আরো ৩ ঘন্টা কাটিয়ে দিলাম। এবার রন্না করার পালা কারন পেটে আমার বাংলাদেশী ক্ষুধা ভাত ছাড়া কিছুতেই যাবেনা। সাধারনত অনেক কিছু রান্না করার প্লান করলেও ঘুরেফিরে ওই আলুভর্তা আর ডালই শেষমেষ রান্না হয়। আজকেও তার ব্যাতিক্রম হলনা। দেশ থেকে আনা মসুর ডাল আর সরিষার তেলের আলুভর্তা, মাত্র খেয়ে আসলাম। আহা.................. যতবারই খাই মনে হয় অমৃত।
যে যাই বলেন বিদেশে ভাই আলুভর্তা আর ডালের উপরে কিছুনাই।
তবে আর এক ত্যাগী প্রানীর কথা না বললে একেবারে অধর্ম হয়ে যাবে। সে হল মুরগী। এই আফ্রাকাতে আমি একক ভাবে মুরগীর উপরে সবচেয়ে বেশি ঋনী।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:১২