“ আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে / বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে।” ছোট বেলায় কবিতাটি পড়তে পড়তে আমরা নিজের চোখে দেখা নদীটির সাথে মিল খুঁজে পেতাম । আবার যাদের গাঁয়ের পাশ দিয়ে ছুটে চলা ছোট নদী ছিলো না কিংবা কোন নদী দেখার সৌভাগ্য হয়নি তারা কবির সহজ সরল রচনায় কল্পনা করে নদীর সাথে তার মিল খুঁজে নিতাম। শিশু মন নিয়ে রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতিকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে প্রকৃতি নবীন, চঞ্চল, সুন্দর ও পরিপূর্ণ। আজ আপনাদেরকে নিয়ে যাবো কবির সেই ছোট নদীর কাছে---
নাগর নদী (Nagar River) বাংলাদেশে দুটি নাগর নদী রয়েছে: একটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের কাছে করতোয়া নদী থেকে বের হয়ে প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এবং পরে দক্ষিণে বাঁক নিয়ে নাটোর জেলার সিংড়া-তে আত্রাই নদীতে পড়েছে।
● এই সেই নাগর নদী। যার রূপে মুগ্ধ হয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন চমৎকার কবিতা ‘আমাদের ছোট নদী’। ●
‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে-বাঁকে /
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে…’
নাগরের একটি উপনদী উত্তরভাগের উঁচুভূমি থেকে উত্থিত হয়ে নাগরের সঙ্গে মিলেছে, বস্ত্তত এটাই নাগরের উৎস। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১০৫ কিমি। চলার পথে নদীটি দুপচাঁচিয়া-কাহালু (বগুরা), আদমদীঘি-নন্দিগ্রাম (বগুরা), রানীনগর (নওগাঁ)-নন্দিগ্রাম (বগুড়া) ইত্যাদি উপজেলাগুলির মধ্যে সীমা নির্দেশ করে।
অপরটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা এবং পশ্চিমবঙ্গ-এর সীমানার মিলনস্থলের প্রায় কাছাকাছি আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এটিকে অনেকে সীমান্ত নাগর নামেও চিহ্নিত করে থাকে। পঞ্চগড় থেকে প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পরে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে ঠাকুরগাঁও-এর হরিপুরের কাছে নদীটি পুনরায় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। নদীটির গতিপথ অধিকাংশ সময়ই ভারত-বাংলাদেশের সীমানা নির্দেশ করেছে। বাংলাদেশ অংশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৫ কিমি।
কিছুটা আকস্মিক বন্যা প্রবণতা রয়েছে, তবে তেমন একটা ক্ষয়-ক্ষতি করে না। শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না, তবে কৃষকরা বর্ষা মৌসুমের পানিকে বাঁধ দিয়ে আটকে রেখে সেচের জন্য ব্যবহার করে থাকে।
রাজশাহীর অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল
পতিসর রবীন্দ্র কুঠি বাড়ী
সুনতানী স্থাপত্যের রত্ন !
পুঠিয়ার প্রাচীিন গোবিন্দ মন্দির
এশিয়ার বৃহত্তম কানসাট আম বাজার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (রাবি)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১২