আইসিসি সভাপতি নির্বাচিত হওয়া এবং এই পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দেশে ফিরে আ.হ.ম মোস্তফা কামালের একটা উক্তি আমার খুব মনে পড়ে তিনি বলে “ক্রিকেট বোর্ডকে চাচা ভাতিজার কবল থেকে রক্ষা করতে হবে।”
তার এই উক্তি বিসিবির আচরণ বিধি লঙ্ঘন কিনা? এটাতো খতিয়ে দেখা দরকার।
তবে এই মূহুর্তে তার চেয়ে বেশি দেখার বিষয়, তাহলে কি চাচা ভাতিজার কবল থেকে ক্রিকেটকে রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান বলি হলেন কিনা?
যদি তা নাই হয়, তা হলে বাঙ্গালির মরিচ তোলার অভ্যাস যে, সবসময় তা আবারো প্রমাণ হলো। ড্রেসিংরুমে সাকিবের অশোভন আচরণ, ড্রেসিংরূমে দর্শকদের মারধর করা, দেশের বাহিরে অনাপত্তি পত্র ছাড়া খেলতে যাওয়া, এই সকল বিষয়ে সাকিবের দোষে ত্রুটি তো রয়েছে তা অস্বীকার করার কিছুই নেই।
তবে এখানে যে বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে তা হলো ড্রেসিং রুমের অশোভন আচরণ করার জন্য তাকে বিসিবি দণ্ড দিয়েছে, আর দর্শক মারধরের বিষয়টি তে সাকিব যতটুকু না দোষী তার পাশাপাশি বিসিবি ও তার দায় এড়াতে পারেনা। কারণ সাকিব বিষয়টি সেখানে উপস্থিত বিসিবি কর্মকর্তাদের জানালে তারা প্রথম ঐ দর্শকদের ধরে নিয়ে আসছে এবং মারধর করেছে সাকিব সেখানে অংশগ্রহন করেছে মাত্র।
বিসিবি যেখানে একজন খেলওয়ারের ব্যাপারে ইমোশন হয়ে দর্শকদের আইন উপেক্ষা করে মারধর করে সেখানে ঐ খেলওয়ার তো এই ব্যাপারে একটু উৎসাহবোধ করে অংশগ্রহন করবেই এটাই স্বাভাবিক।
তারপর তার অনাপত্তি নিয়ে সৃষ্ট বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তকে সে গ্রহণ করে দেশেও ফিরে এসেছে কিন্তু বিপত্তি টা ঘটেছে কোচের সাথে তার অশোভন আচরণ।
যদি তাই হয় তাহলে আমার মনে হয়, বিসিবির সভাপতি জনাব পাপন যে, এই শৃঙ্খলা আইনে ঝামেলা পড়বে না তা কিভাবে বলা যায়?
যিনি একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, যদিও তিনি জীবনে কোন দিন ক্রিকেট খেলেছেন কিনা এই বিষয়টি আমার জানা না থাকলেও আপনাদের অনুমান করতে কষ্ট হবে না। তিনি অনরেকোর্ডে সাকিবের বিষয়ে শুধুমাত্র একপক্ষ থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কতটুকু শৃঙ্খলার প্রকাশ ঘটিয়েছে তাও বিবেচনার বিষয়। সাকিবের কাছ থেকে কোন প্রকার বক্তব্য না পেয়ে তার এই বক্তব্য কি আইসিসি সভাপতি মোস্তাফা কামালের চাচা ভাতিজা নিধনের সাথে সাকিবকে নিধনের কোন ইঙ্গিত বহন করে কিনা তা যদি গবেষণার বিষয় কিন্তু তার চোখে মুখে ফুটা অভিব্যক্তি দেখে আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই যে, কোন একটি চক্রান্তের স্বীকার সাকিব আল হাসান।
বিষয়টি পরিস্কার: চাচা ভাতিজা নিধনের জন্য যিনি আইসিসির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি তার উত্তরসূরীকে রেখে গেছেন সাকিব কে নিধন করার জন্য।