''বাংলাদেশে ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ আর এই ইসলামের প্রবর্তক হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান" এইচ টি ইমাম এখানে কোন্ ইসলামের কথা বলেছেন ? এটি কি নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইসলাম নাকি 'মুসলিম' বিসর্জন দিয়ে আওয়ামী লীগ গঠনের ইসলাম? অবশ্য আওয়ামী লীগের আচরণে মনে হয়,তারা নবী মুহাম্মদের ইসলামের ধারধারে না। যদি তারা সত্যিকারার্থেই মদীনার ইসলামে বিশ্বাসী হতো তাহলে রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠান কুরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে রবীন্দ্র সঙ্গীত দিয়ে শুরু করা হতো না। (রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার ২০০৯ প্রদান অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।) যদি তারা প্রকৃত ইসলামের অনুসারী হতো তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করতো না। ( বিস্তারিত ) তারা যদি ইসলামের ধারক-বাহক হতো তাহলে আজান চলাকালে বক্তৃতা অব্যাহত রাখতে পারতো না। (১ এপ্রিল পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল হক হানিফ যখন মাইকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন আসরের আজান শুরু হয়। আজান শোনার পরও বক্তৃতা বন্ধ না করে তিনি বক্তব্য চালিয়ে যান। ) শুধু আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের সমর্থক কথিত বুদ্ধিজীবীই কেন –গত ১২ মার্চ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার কারণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) এশার আজান ৪০ মিনিট দেরিতে প্রচার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সংসদে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বক্তৃতা করেন। তার এ বক্তৃতা বিটিভি সরাসরি প্রচার করছিল। বিটিভির সময়সূচি অনুযায়ী গতকাল রাত সাড়ে ৭টায় এশার আজানের নির্ধারিত সময় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পর বিটিভি এ আজান প্রচার করে।
এছাড়া গত ২১ মার্চ আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, " লাখ লাখ কোটি কোটি বছর পর আল্লাহ যদি আমাদের বিচার করতে পারেন তবে আমরা এখন এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে পারব না কেন?" এ কথা বলে তিনি নিজেদেরকে আল্লাহর সাথে তুলনা করেছেন।
কেবল এবারই নয়, মুজিব ও হাসিনার প্রথম সরকারের আমলেও দেশ থেকে ইসলামকে ঝেটিয়ে বিদায় করার মহোৎসব চলেছে। তারপরও একমাত্র তারাই দেশে ইসলামকে রক্ষা (!) করে চলেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩২