বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের প্রথম আশ্রয়দাতা আর তার কন্যা শেখ হাসিনা দ্বিতীয় আশ্রয়দাতা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন । এখন যুদ্ধাপরাধের তালিকায় যাদের নাম এসেছে ১৯৯১-৯৬ সালে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুসম্পর্ক ছিল। তাহলে এখন কাদের বিচার হওয়া উচিত তা দেশের জনগণই ভাল বুঝবে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ বলেছেন, সরকার মিথ্যের ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধাপরাধের যে বিচার করতে চাইছে, তা মোটেও কোন গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়।
শেখ মুজিব পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে কি ভুল করেছিলেন ? আমার তো তা মনে হয় না। তিনি ভুল করলে হাসিনা তা শুধরে নেয়ার কথা। কিন্তু তিনি তো পাকিস্তানীদের বিচারের কথা বলছেন না! তারমানে তিনি তার বাবার সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চান না। কিন্তু তার বাবাও তো দালাল আইন বাতিল করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামীদের ক্ষমা করেছিলেন। তাহলে শেখ হাসিনা কাদের বিচার করতে চান? বলা হচ্ছে, মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করবেন তিনি। কিন্তু যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে-তাদের কেউ কি মুজিব আমলে মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিচারের সম্মুখীন হয়েছিল?
শেখ মুজিব যে সব যুদ্ধাপরাধীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা যাদেরকে মন্ত্রীসভায় নিয়েছেন, যাদের সাথে শেখ পরিবারের লোকজন আত্মীয়তা করেছে তাদের বিচার হবে কি?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪১