অনামিকা,
মহাকাল আবদ্ধ আজ বাসন্তী দিন, ঈশিকার হাওয়ার অনুরাগ তোমার দীপ্ত নিঃশ্বাস
আর প্রশ্বাসের শব্দের মতনই গভীর ব্যাঞ্জনায় প্রাচীন হৃদয়ে সাধছে একটি না গাওয়া
গান, একটি না মেলা সুর। একটি না দেখা সুখ অনেক দিনের মতন, ঈশানের কোণে
ছায়াছবি; পেয়ালায় কিছু আরো আসক্ত চুমুক গোনা ব্যর্থতার আহাজারি আজও
এই জগতের বিবাগী নদীর তীরে নিশ্ছন্দ পায়চারি করে ফেরে; মোহনার দ্বিখণ্ডিত বাঁকে
কিছু অতীত দ্বিধার স্মৃতি মুহূর্তেই আততায়ী আজও; দিগন্ত সান্দ্রতায় আর্দ্রতার নির্জলা
মিথ্যে মল্লার বুলি সর্বস্ব সাদা কালো মেঘে কৃষ্ণচূড়ার ভ্রান্ত রঙের প্রলেপন, বড্ড অপচয়
মনে হয়। তবু কৃষ্ণচূড়ারা অক্লান্ত, তা হোক। রাত্রি অন্ধকারে সব রঙই তো কাজলের কালো।
শুধু স্থবির অবসরে একা বলাকার চোখ তীরবর্তী বালুকায় আরো দু’টি কল্পিত পদচিহ্ন দেখে,
পদচিহ্ন পালকে রূপ নিয়ে তার ঘরে ফেরে না, ফেরে রোজকার মত ধূসরিত সন্ধ্যা আলো।
তবুও সে কি তোমার মত ? অনামিকা, তুমি কেমন আছো?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩১