মহাকাল সীমান্তে রাত্রি নিবিড়
স্থবিরতায় ডোবা জমাট পাথর কিছু
আবেগহীন প্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে,
নীলাচল আবৃত অন্ধ মায়াজালে,
ঘোর সঙ্কটে কোন সিদ্ধ ধ্যানীর মত
মোচন প্রত্যাশে চক্ষু বুজেছে যেন।
মেঘালয় নিঃসৃত ধূসর আঠালো জল
কালকূট আবরণে
নগরে জমেছে এসে
ছড়িয়েছে কোণে কোণে,
গ্রাম্য পালং-এর শরীর অবশে
মিশে ছেয়ে গেছে ভীত সন্ত্রাসে,
রুদ্ধ দেয়াল পিঠে
সোনালী-রুপোলীর আলোক মত রেখা যত
সব ‘লীন হয়ে গেছে
কপাটবদ্ধ প্রতিবাদে মৃদু আন্দোলনে
সময়ের প্রাণহীন লোকালয়ে এক
চোখ হীন ইঁদুর ছানা শুধু অল্প একটু কাঁপে।
এরই মাঝে একদিন শালের বনে
বৃদ্ধ বৃক্ষেরা উত্তরে নুয়ে পড়ে ভাঁজে;
ঘন গুল্মলতাদের ফাঁক-
ফোঁকরে ঝড়া শুকনো পাতা যত তছনছ করে দিয়ে ফুটেছে
আগমনী সুদিনের লালচে প্রদীপ জ্বেলে
কী এক নীলাভ ছোট্ট তারার ফুল,
কালকূট বিষে তার উজ্জ্বল আহ্বান
ম্লান হয়নি তো এক বিন্দু বরং কিশলয়পুরে
উঠেছে নতুন শিহরণ, বাতাসের দিক ভোলা আবর্তনে
মাঠে-ঘাটে জীবনেরই সুসংবাদ বাটে।
আজ তাই শেষমেশ, জগতের যত ছিল কালি অবশেষ
প্রকৃতির লাল-নীলে ধুয়ে মুছে নিয়ে চলে গেছে।
একটি © মেহেদী রবিন রচনা।
ছবি সংগ্রহঃ গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৬