৩য় পব`:- ইসরাইল ছেড়ে যীষূ কোথায় যেতে পারে?
যীষূখৃস্ট যদি ক্রুসে মারা না গিয়ে থাকেন তবে তার জন্য ইসরাইলে থাকা অবশ্যই নিরাপদ না। এবং তিনি রোমান সম্রাজ্যের থেকে দুরে কোথায় যাবার চিন্তা করবেন।
উপরের লাল অংশ তখনকার রোমান সম্রাজ্যের.... তাই তিনি অবশ্যই পশ্চিমে না গিয়ে পূব` দিকেই যাবেন... তখন সিল্কি রুটে আফগানস্তান>>পাকিস্তান>>>ভারত হয়ে চীন পযন্ত যাতায়াত ছিলো...
অথবা সাগর পথে স্পাইসরুটে ভারতে যাতায়াত করা খবই সহজ ছিলো...
যীষূখৃস্ট এই দুই পথে ভারতে যেতে পারেন...
ঈহুদীদের ইতিহাসে মুসা এর সময়ে ১০ ইহুদী গোত্র ইসারাইল ছেড়ে চলে গিয়েছিলো এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো.. যাদের লস্ট ট্রাইবস অফ ইসরাইল বলা হয়ে থাকে.. ইহুদী মাসায়া এই হারানো গোত্রকে একত্র করবেে....যীষুও তার অনুসারীদের এই কথা বলেছিলেন.. (john 10-10)
তাই যখন নিজেদের দেশের স্বজাতীর দারা আক্রান্ত হয়েছিলো তিনি সেই হারানো ১০ গোত্রের কাছে যেতে পারেন...
নিউটেস্টিমেন্টে আছে যে তিনি যখন ম্যারীর সাথে দেখা করেন তিনি ছদ্দবেশে ছিলেন (জন:- ২০: ১৪-১৬)..
যদি যীষূখৃস্ট মৃতু থেকে স্বীগয় আত্না হিসেবে আসতেন তবে তার ছদ্দবেশের দরকার ছিলোনা... এটা প্রমান হয় যে তিনি আত্নগোপন করতে চেয়েছিলেন যাতে তিনি ধরা না পরেন।
তেমন এক গোত্রের খোজ পাওয়া যায়... ভারতের কাস্মীরে...
আফগাস্তানের পোসতু, পাঠানেরা নিজেদের ইসরাইলী বনী ইসরাইলী বলে দাবি করে থাকে... তাদের রীতি নিতি, সমাজ ব্যবস্হা এখনো ভারতীয়দের থেকে অনেক আলাদা...কিন্তু তাদের সাথে ইসরালীদের ডিএ্নএর মিল পাওয়া যায়..
কাস্মীরে শ্রীনগরের কাছে Yuz Asaf এর কবর আছে.. কাস্মীরি ইতিহাসে বলা হয়ে থাকে... Yuz Asaf ১ সালের দিকে কাস্মীরে এসেছিলেন... তিনি ইসরাইল থেকে এসেছিলেন... তিনি ৮০ সালের দিকে মারা যান এবং তার তাকে ঈহুদীদের মতন উত্তর দক্ষিনে কবর দেওয়া হয়েছিলো..
তার পাশেই আরেক মুসলীম পীরের কবর দেওয়া আছে... সেটা ইসলামী নিয়মেই দেওয়া...
কবরের পাশে একটা পায়ের ছাপ বানানো আছে.. ( বত`মানে এটা ঢেকে রাখা হয়) যাতে দুটি পায়ের ছাপ আছে যাতে দুই পায়ের নখের পরে ক্ষত দেখা যায়... ক্ষতদুটি এক স্হানে না কিন্তু সেটা ক্রুসে যেইভাবে পা রেখে পেরেক মারা হয় তার মতন...
টেলিগ্রাফ পত্রিকায় করা রিপোটের ছবি..
ইউসা সাফ এর কবর নিয়েে বিবিসির ডকুমেন্টরিীর অংশ
ভবিষ্যপুরানায় যীষূখৃস্টের বন`না:- ভারতের কাস্মীরের রাজা সালিবাহানা ১সালের দিকে এক বিদেশীর সাথে দেখা হয়... যে নিজেকে খোদার পুত্র>> কুমারী মায়ের সন্তান..>>এবং তাকে তার এলাকার মানুষ হত্যায় চেস্টা করায় তিনি খোদার বানী প্রচারে এখানে এসেছেন এবং তার নাম ঈসা বলে পরিচয় দেন...
পুরানার অংশ>> যদি কেউ পড়তে পারেন তবে যদি অনুবাদ করতেন তবে ভাল হইতো..( নেট থেকে নেওয়া)
ভবিষ্যপুরানা ২য় শতাব্দীতে লেখা... এবং সেখানে রাজা সালিবাহানার যীষূর সাথে পরিচিত হবার কাহিনি অবশ্যই গুরত্বপূন ...
আরেকটা বিষয় দেখা যায় পাকিস্তানে মারী স্হানে মরিয়ম আ: এর কবরের দাবি নিয়ে.. অনেকে মনে করে মরিয়ম আ: এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন...
যদি যীষূ সিল্করুট থকে ভারতের কাস্মিীরে এসে থাকেন তবে পথে মরিয়ম আ: কবর আরো একটি প্রশ্ন তৌরি করে..
পৃথিবির সবচেয়ে আলোচিত মানুষ যীষুখৃস্ট যার সম্পকে ইতিহাসে তেমন কিছুই নেই.. কিন্তু তার নামে প্রচারিত ধমের অনুসারী পৃথিবির ৩১% মানুষ... এই ব্লগে আর জীবনী সম্পকিত যেই তথ্য আলোচনা করা হয়েছে তা সত্যি হলে তা হবে খৃস্টান ধমের জন্য এক বিরাট ধাক্কা...
দুনিয়াতে এই রকমের অনেক জিনিসই আছে যা আমাদের পক্ষে তার সত্যতা জাচাই করা কস্টকর...
একটা একটা জিনিস আমি বিশ্বাস করি..Truth is stranger than fiction
এই বিষয়ে আরো জানতে দেখতে পারেন নিচের ডকুমেন্টরি গুলি..
বিবিসির ডকুমেন্টরী.. লেখার বড় অংশ এই এখান থেকে নেওয়া..
ভারতের ডকুমেন্টরী
আগের দুই পব`:-
১>> যীষখৃস্ট স্বগে` আছেন না কি ভারতের কাশ্মীর শ্বায়িত আছেন? _ ইতিহাসের চরম এক রহস্য... পব` -০১
২>> যীষখৃস্ট স্বগে` আছেন না কি ভারতের কাশ্মীর শ্বায়িত আছেন? _ ইতিহাসের চরম এক রহস্য... পব` -০২