ধম` সব সময়েই রহস্যাবৃত আর বিশ্বাস হচ্ছে ধমের প্রধান ভিক্তি। সম্প্রতি নতুন কিছু তথ্য খৃস্টান ধমের প্রধান যীষুখৃস্টের জীবনের নতুন দিক তুলে ধরেছে যেটা সত্য প্রমান হলে পুরো ধমের ভীত নাড়িয়ে দিবে...
সংক্ষেপে বাইবেল অনুসারে যীষুখৃস্টের কাহিনি :- বত`মান বিশ্বে খ্রিস্টান ধমালম্বী ৩১% মানুষ, যার শুরু ২০০০ বছর আগে। Jesus of Nazareth খুস্টপূব ২ -৭ সালে রোমান সম্রাজ্যের বেতেলহামে জন্ম গ্রহন করেন। যা বত`মানে নেটেভিটি চাচ` নামে পরিচিত। কুমারী মেরী সন্তান সম্ভবা হলে যোসেফ তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন তিনি সন্তানের দায়িত্ব নেন এবং মেরীকে নিয়ে বেতেলহ্যামের এক খামারে যীষুখৃস্টের জন্ম দেন। জন্মের সময়ে ৩ মেজাই আকাশের ১টা তারাকে অনুসরন করে উপহার নিয়ে আসে।
শিল্পীর তুলিতে..
যীষুখৃস্টের শৈশবের তেমন কোন কাহিনি বাইবেলে পাওয়া যায়না। বালক যীষু যখন ১২ বছরের তখন তাকে মন্দিরে হীব্রু বাইবেল নিয়ে পুরুহিতদের সাথে কথা বলার কাহিনি আছে।( Luke 2:41-52)
তারপরে তার কোন কায`কলাপ বাইবেলে নেই। ( এটা অবশ্যই একটা রহস্য যার আশানুরুপ উত্তর ভ্যাটিকানও দেয়নি )
তারপরে তাকে দেখা যায় ২৯-৩০ বছরের যুবক হিসেবে জন দি ব্যাপটিস্টের সাথে দেখা করেন তার সংগীদের নিয়ে জ`দান নদীর পাড়ে দেখা করেন এবং সেখানে তার ব্যাপটিজম সম্পন` হয়। (Luke 3:23)
তারপরে তিনি যখন তার মতবাদ প্রচারের জন্য জেরুযালেম যান এবং সেখাতে ততকালীন ইহুদী পাদ্রীদের রোষানলে রোমান অথ`রিটি তাকে ক্রুসে গেথে মৃত্যু নিশ্চিত করে তার দেহ Joseph of Arimathea এর কাছে হস্তান্তর করে তারা কাপড়ে মুড়িয়ে একটি গুহায় সমাহিত করে। (Matthew 27:62–66)
তিন দিন পরে যীষুখৃস্টের সমাধির মুখ খোলা পাওয়া যায় এবং তার দেহ যেই কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিলো তা পরে থাকতে দেখা যায়। তারপরে অনেকেই তাকে দেখতে পায়। পরবত`তে সৃস্টিকতা` তাকে তার কাছে নিয়ে যায়।
৪টা গসপেল এবং খৃস্টান ধ`মের অনুসারিরা এই কাহিনি বিশ্বাস করেন....
কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে জেসাস ১৪-২৯ বছর কোথায় ছিলেন? বাইবেল এবং অন্য কোন কাহিনিতে এই সময়ে তার কোন উল্লেখ নাই।
অবশ্যই মনে জিঙ্গাসা জাগে কেন? তিনি ঐ সময়ে কোথায় ছিলেন?
তিনি কি সেই সময়ে বিশ্ব ভ্রমনে বের হয়েছিলেন?
বালক যীষূর সেই সময় কোথায় ছিলেন এবং কি করছিলেন তা নিয়ে কিছু কাহিনি আছে এবং তা নিয়েই এই ব্লগের আয়োজন।
14th of October: 1887 নিকোলাস নটভিচ ততকালীন সভিয়েত রাশিয়ার প`যটক, প্রত্নতত্ববীদ এবং লেখক ভারতের উত্তরের লাদাখে ভ্রমনের সময়ে দূঘটনায় আক্রন্ত হয়ে হিমিসের বৌদ্ধদের মনিস্ট্রিতে চিকিতসার জন্য কিছুদিন ছিলেন।
তিনি সেই সময়ের বুদ্ধ লামার কাছে তিনি জানতে পারেন যে এইখানে কিছু পুরানো (২০০০ বছর) লেখা আছে যাতে ইসা নামের বালক ১৪ বছর বয়সে থেকে ইসরাইল ভারতে এসে ছিলো।
তিনি নেপাল, ভারতের বিভিন্ন হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে অবস্হান করেন এবং বৌদ্ধ ও হিন্দু ধমের উপরে শিক্ষলাভ করেন। তিনি ২৯ বছরে আবার মাতৃভুমি ইসরাইলের উদ্দেশে ভারত ত্যাগ করেন।
হিমিস বৌদ্ধমনিস্টি ১৯৪৯ সালের ছবি..
নিকোলাস নটভিচ তার ১৮৮৭ সালের
The Unknown Life of Jesus Christ The Original Textof Nicolas Notovitch's 1887 Discovery বইয়ে হিমিসের কাহিনি এবং ২৪৪ টা অনুবাদ করা প্যারাগ্রাফ উল্ল্যেখ করেন।
যেটা পস্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে খৃস্টানদের মাঝে বিরাট ঝড় তুলেছিলো এবং তাকে তাকে ভুল প্রমানের অনেক চেস্টা করে অনেক লেখা এবং ডকুমেন্টরী তৌরি হয়েছে।
নিকোলাস নটভিচ এর কাহিনিতে বালক ঈসা( যীষু) ১৪ বছর বয়সে বেনারসের Djagguernat, মন্দিরে ৬ বছর হিন্দু ধমের শিক্ষা নেন। সেখানে তিনি নিচু বণের হিন্দুদের সাথে সময় কাটাতেন তাদের শিক্ষার জন্য চেস্টা করতেন। সেটা ব্রাক্ষমনেরা ভাল চোখে দেখতোনা। তখন তারা ঈসাকে হত্যার চেস্টা করেছিলো, কিন্তু সেটা টের পেয়ে তিনি সেখান থেকে গৌতমিদেশ রাজ্যে বৌদ্ধদের সাথে বসবাস করেন এবং পালি ভাষা শেখেন এবং ৬বছর পুরানো স্ক্রোলে লেখা পুরানো সুত্রা শেখায় মননিবেষ করেন....তার পরে তিনি ভারত, নেপাল, তিব্বতের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধার বানী প্রচার করেন... ২৯ বছর বয়সে তিনি জন্মভূমি ইসরাইলে ফিরে যান।
নিকোলাস নচভিসের এই কাহিনির প্রমান এখনো সম্ভব হয়নি। আমার মনে হয় বৌদ্ধরা কোন ঝামেলায় যেতে চাইবেনা তাই এটা নিয়ে গবেষনার জন্য তারা সাহাজ্য করবেনা।
যদি আমরা দুজনের জীবনী পড়ি তবে যীষুখৃস্ট আর গৌতমবুদ্ধের জীবনের কাহিনিতে অনেক মিল পাওয়ায়।
* দুইজনের জন্মে মা অলৌকিক ভাবে গভ`বতি হয়েছিলো।
* দুজনের জন্মের সময়ে ৩জন মেজাই তারা দেখে উপস্থিত হয়েছিলো।
* দুজনই পানির উপরে হেটেছিলেন।
* গৌতমবুদ্ধের পানের অযোগ্য পানিকে পানের উপযোগী আর যীষুখৃস্ট মদ কে পানি বানিয়েছিলেন।
* দুজনই অল্প খাবার আর পানীয় দিয়ে অনেক মানুষকে খাইয়েছিলেন।
* দুজনই মৃত মানুষকে জীবিত করেছিলেন।
যীষুখৃস্ট যেই বানী প্রচার করছিলো সেগুলি কিন্তু ততকালীন পশ্চিমা ধ`মের থেকে আলাদা ছিলো এবং অনেক কথা গৌতম বুদ্ধের ফিলোসফির সাথে মিলে।
---------------- কাহিনির অন্য টুইস্ট----------------------
অন্য আরেক কাহিনি আছে যাতে যীষূখৃস্ট ক্রুসে মারা যান নাই। তিনি ক্রুসে হত্যার চেস্টা থেকে বেচে গেলে ভারতে চলে এসেছিলেন। তিনি কাস্মীরে বাকি জীবন কাটান এবং ৮০ সালের দিকে মারা যান।
এই মাজার হজরত ইউসা আসিফের যাকে স্থানীয়রা হজরত ঈসা আ: এর মাজার বলে দাবি করেন।
তবে কি যীষূখৃস্ট ভারতে সমাহিত আছেন???
বিস্তারিত ২য় পবে`