হোমিওপ্যাথি শুরু করেন স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ..১৭৯৬ সালে... যা আজও সারা বিশ্বের অনেক মানুষের কাছে একটি নিরাপদ চিকিৎসা হিসেবে বিশ্বাস যোগ্য এবং অনেকেই ব্যবহার করেথাকেন . আমাদের দেশেও নিরাপদ পাশ`প্রতিকৃয়াহীন চিকিৎসা হিসেবে এর গ্রহনযোগ্যতা ব্যপক....
কিন্তু যখন দেখি হোমিওপ্যাথি ডায়াবেটিকস, হেপাটাইটিস বি, সি ক্যন্সারের মতন রোগের চিকিৎসা করছে তখন মনে খটকা লাগে আসলেই হোমিওপ্যাথি র এই দাবি কতটুকু সত্যি হতে পারে?
হোমিওপ্যাথির ঔষুধ কিভাবে তৌরি হয়? : হোমিওপ্যাথির তৌরির একটা প্রকৃয়া হইলো Dilutions ...
এখানে যেই জিনিসটা রোগের উপশম করবে... তাকে ১ পরিমানকে ১০০ পরিমান এলকোহল বা বিশুদ্ধ পানির সাথে মিশিয়ে তাকে ১০ বার ঝাকানো হয়....
তার পরে ঐ খান থেকে ১ পরিমান নিয়ে ১০০ পরিমানের সাথে মিশিয়ে ১০বার ঝাকানো হয়... তাহলে পরবত` পাওয়ারের দ্রবন পাওয়া যায়...
X Scale C Scale
1X — 1:10
2X 1C 1:100
6X 3C 10−6
8X 4C 10−8
12X 6C 10−12
24X 12C 10−24
26X 13C 10−26
60X 30C 10−60 ৩০ সি দ্রবন এর উপরের ক্ষমতা হ্যানিম্যন চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতেন... এবং ব`তমানের হোমিও ডাক্তারা ব্যবহ র ক ে থাক..
এইখানে যত বেশি দ্রবভিত করা হবে ওষুধের তত ক্ষমতা বাড়বে>>>
কিন্তু গন্ডগোল বাধে এইখানেই.... যত বেশি পানির সাথে মিশানো হবে... মুল দ্রবনের অনুর সংখ্যা ততই কমতে থাকবে.... যখন ১৩ সি এর উপরে যাওয়া যায়... তখন ঐ দ্রবনে মুল দ্রবনের ১টা অনুর উপস্থিতি থাকার কোন সম্ভাবনা থাকে না...
১৩সি বানাতে মুল দ্রবন কে সারা পৃথিবার সব পানিতে মিশিয়ে ১০বার ঝাকাতে হবে... ঐ দ্রবনথেকে ১ ফোটা হলো ১৩সি দ্রবন
তাই ১৩সি দ্রবনের উপরে গেলে আসল জিনিসের ১ অনুও তাতে থাকতে পারে না...
কিন্তু বাজারে ২০০সি মানের হোমিও ওষুধ পাওয়া যায়... Oscillococcinum নামের ঔষুধ influenza-লক্ষনের জন্য বাজারে পাওয়া যায়... যা তৌরি হয় Muscovy হাসের লিভার ও হাট` থেকে.... ২০০সি মানের ঔষুধ বানাতে উপরের ছবির Dilutions ২০০ বার দ্রবভীত করা হয়.... যাতে ঐ হাটে`র ১ মৌল তাতে পাবার কোন সম্ভাবনা নেই...
তাহলে কিভাবে মানুষের কাজ হয় :- মানুষের মনের বিশ্বাসে অনেক সময় সে ভাল বোধ করে.... আর্ একজন হোমিও ডাক্তার মনদিয়ে রোগীর কথা শোনেন.... তাতে রোগীর বিশ্বাস জন্মে এবং তার শরিরের প্রতিরোধ ক্ষমতাই তাকে সারিয়ে তোলে.... একে বলে Placebo ইফেক্ট....
ব্লগার রিপেনডিল নিচে কমেন্টে খুবই সুন্দর ভাবে হোমিও কিভাবে কাজ করে তার কিছু্ব্যক্ষ্যা করেছেন...
--------------------------রিপেনডিল---------------------------------
এবার দেখুন হোমিও খাইলে কিভাবে রোগ ভালো হয়ঃ
প্লাসিবু ইফেক্ট- অর্থাৎ মনের বিশ্বাস থেকে নিরাময়, বিশ্বাস থাকলে পানি খেলেও রোগ ভালো হতে পারে, উদাহরন উপরে দিয়েছি।
বয়ান- বেশিরভাগ হোমিও ডাক্তার দেখবেন খুব অমায়িক, ধার্মিক, দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পরা সৌম্য চেহারার বয়স্ক একজন। কথা মন দিয়ে শোনেন, সময় নিয়ে বোঝান, রোগ ছাড়াও আশেপাশের বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইত্যাদি কারনে ডাক্তারের উপরে এমনিতেই ভক্তি চলে আসে আর বিশ্বাসটা আসে সেখান থেকেই।
প্রাকৃতিক নিরাময়- মানুষের শরীর এমনই এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র যা নিজেই নিজেকে সুস্থ করতে পারে। রোগের পাচটি পর্যায় আছে যার একটি হল নিরাময় পর্যায় যা এমনিতেই ঘটতে পারে। কবিরাজ, ঝাড়ফুক, তাবিজ, মাদুলিওয়ালারা এই পর্যায়ের উসিলাতেই বেচে আছে। ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে এই আর কি।
ব্যাতিক্রমি উপদেশ- অনেক সময়েই হোমিওবিদেরা দেন, যেমন আপনার ধরুন জয় বাংলা রোগ অর্থাৎ চোখ উঠেছে, তিনি দাওয়াই দিলেন আর বললেন আপনি কলা খাবেন না একদন, অথবা প্রতিদিন সকালে একটা কলার তিন ভাগের একভাগ পানিতে ভিজিয়ে ৫ দিন খাবেন!!! এই যে ব্যাতিক্রমি একটি উপদেশ পেলেন এটা একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করবে আপনার মনে তথা শরীরেও!
রোগের পর্যায়- দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন, নানা রকম ডাক্তার দেখিয়েছেন, টেস্ট করে করে আর এলোপ্যাথি খেয়ে ক্লান্ত (এলোপ্যাথি কেন কাজ করেনা সেটা পরের কমেন্টে বলব) এমন অবস্থাতেই সাধারনত হোমিওপ্যাথির কাছে যায় মানুষ। আর এখানেই ঝড়ে বক পড়ে। আগেই বলেছি রোগের একটা প্রাকৃতিক চক্র আছে, ৫ ধাপের এই চক্রের শেষ দুটি ধাপে নিরাময় হয় প্রাকৃতিক ভাবেই (সব রোগ বা সব ক্ষেত্রে নয়)।
রোগ আর রুগীর ধরন অনুযায়ী এসব ধাপের সময়কাল এক এক রকম। রোগের অবস্থা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার কিছু পরেই নিরাময় পর্যায় শুরু হয়। কিন্তু ওই সর্বোচ্চ অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়, এই ক্ষেত্রে নিরাময় পর্যায়ের আগে যে ব্যাটা হোক সে কবিরাজ কিংবা হোমিও কিংবা মাদুলী ওয়ালা সেই কেরামতি দেখিয়ে ফেলতে পারে।
খিচুড়ী চিকিতসা- অনেকে হোমিও এর সাথে এলোপ্যাথিও চালান, কবিরাজীও চালান। ভাল হলে স্বভাবতই পুরষ্কার যায় হোমিও এর ঘরে! আসলে যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভালো হয়েছে তার কেচ্ছা আড়ালেই থেকে যায়।
বন্ধ- হোমিওরা বলেন এলোপ্যাথি যা খাচ্ছেন বন্ধ করেন, সার্জারি করবেন না, ইঞ্জেকশোন নেবেন না। এতে একটা লাভ আছে। এলোপ্যাথি ওষুধ গুলো হোমিও এর পুরিয়া এর মত মিষ্টি নয় আর এগুলো যেহেতু আসলেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রস্তুতকৃত কার্যক্ষম ওষুধ তাই অনেক সময় অনেকেদের দেহে এগুলো সহনীয় হয় না, আর সার্জারির ভয় তো আছেই। তাই হোমিওবিদ এগুলো বাদ দিতে বলায় রোগীর অবচেতন মন (যা আগে থেকেই এগুলো বাদ দিতে বলছিল) উতফুল্ল হয় এবং উপশম ঘটায়, তবে প্রকৃত রোগ আড়ালেই থেকে যায় এবং রোগীর মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায়।
জীবন পদ্ধতি- মোটামুটি সব হোমিওবিদেরা জীবন যাত্রা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন যেগুলো আসলেই কাজের যেমন নিয়মিত হাটাচলা করা, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, বেশি করে ফলমূল খাওয়া, শাকশবজি খাওয়া, গোস্ত কম খাওয়া, কম ঘুমানো ইত্যাদি। রোগ এতে ভাল হবে নিশ্চয়ই।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
--------------------------রিপেনডিল---------------------------------
কিন্তু আপনদের কি মতামত হোমিওপ্যথি সম্পকে??? এটা ঔষুধ না ফাকি?
আগামিতে আসবে হোমিওপ্যথির উপরে চালানো কিছু গবেষনার কথা...
জেমস রান্ডির ১মিলিওন ডলার পুরুস্কারের কথা... .
পানির মনে রাখার ক্ষমতার কথা>>
এই বিষয়ে আপনাদের মতামত এবং অভিঙ্গতার কথা লিখুন...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:০১