ঝিটকা পর্যন্ত শিহাব এবং নিরুর ছোট ভাই তমাল সাথে এলো। বাসে উঠিয়ে দিয়ে তমাল নিচে দাঁড়িয়ে বোনের সাথে কথা বলছিল। নিশাত নিচে দাঁড়িয়ে শিহাবের সাথে কথা বলছিল
এবারে কতদিন থাকবি?
নারে, বেশিদিন থাকা যাবে না, যাবার টিকেট দিয়ে দিয়েছে সাথে। জানুয়ারির ২৬ তারিখে চলে যাব।
কথা বলতে বলতে বাস ছেড়ে দিল। বুদ্ধি পরামর্শ বা চিন্তা ভাবনা যা করার তা গত রাতে আর আজকে ঝিটকা আসার পথেই নিশাত ভেবে নিয়েছে। বাস মানিকগঞ্জের কাছে আসার পর পাশে বসা নিরুকে জানিয়ে দিয়েছে পরবর্তীতে কি হতে যাচ্ছে। নিরুকে শুধু জিজ্ঞেস করেছিল
কাল যদি বিয়ে হয় তোমার আপত্তি আছে?
নিরু চুপচাপ। কোন উত্তর নেই
কি হলো কিছু বলছ না
কি বলব?
কি করবে তাই বল নয়ত যা বলেছি তার উত্তর দাও
আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন তবে কোন পাগলামি করবেন না
পাগলামি কিসের? আমি বুঝতে পারছি না, ব্যপারটাতো আর একদিনের ঘটনা নয়, গত প্রায় সাতটা বছর ধরে চলছে এইটুক মনে পরছে তবে এর আগে কতদিন ছিল তা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। কেউ জানে না বলে কি তুমিও জান না? বাজে কথা রেখে যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দাও!
বললামতো আপনার যা ইচ্ছে তাই করেন!
নিরু জানালার বাইরে মুখ ঘুড়িয়ে বসে রইল। বাসে আর কোন কথা হয়নি। সোবহান বাগ নেমে বীণা আপার বাড়িতে নিরুকে পৌঁছে দিয়ে বাইরে থেকেই চলে এসেছিল। নিজের বাসায় না গিয়ে সেন্ট্রাল রোডে মেঝ মামার বাসায় এসে মামাকে খুঁজছিল। মামা বাসায় নেই। মামির সাথে আলাপ করছিল। মামি জিজ্ঞেস করল হঠাৎ করে চলে এসেছিস, কি ব্যাপার? ইত্যাদি নানা কিছু। অনেকক্ষণ পরে মামা বসায় ফিরেই দেখে নিশাত বসে আছে।
কিরে ব্যাটা কি খবর, কবে এসেছিস?
মামা একটা জরুরী কাজে চলে আসতে হলো তবে আবার সামনের জানুয়ারিতে চলে যাব।
কি এমন জরুরী কাজ?
বাসায় চলেন, মাকে বলেন তার বৌ নিয়ে আসার জন্য
কি বলছিস?
কাজলের কথা থেকে শুরু করে নিরুর কথা সব খুলে বলল মামাকে। বলল মামা আপনি আর মা কাল নিরুর বোনের বাড়িতে যেয়ে নিরুকে দেখবেন এবং ওর দুলাভাইকে বা অন্য কাউকে বাড়ি পাঠাবেন যেন চাচা চাচীকে নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় তাদের মেয়ের বিয়ে হবে
দাড়া দাড়া! কি বলছিস তুই, আমি কি স্বপ্নে দেখছি? একটু খুলে বল!
নিরুর সাথের সমস্ত ঘটনা খুলে বলল এমনকি আজকের ওর দুবাই থেকে এখানে আসার কারণটাও যে নিরু সে কথাও খুলে বলল।
সব শুনে মামা বলল আচ্ছা সবই বুঝলাম কিন্তু একটু সময় দে, এখন রাত বাজে নয়টা এই সময়ের মধ্যে কি করব?
না মামা আপনাকে কিছু করতেই হবে। না হলে এইযে দেখেন আমার পকেটে টিকেট আমি জানুয়ারি মাসে লন্ডন চলে যাব আর কোন দিন ফিরব না! ভেবে দেখেন কি করবেন! বলেই পকেট থেকে টিকেট বের করে মামার সামনে মেলে ধরল।
মামি পাশেই ছিল। মামি নিশাতকে সমর্থন করে বলল তুমি যাও, আপার ওখানে খেয়ে দেয়ে আপা দুলাভাইকে বুঝিয়ে বলে রাজী করিয়ে ছেলে যেমন বলছে তেমন ব্যবস্থা করে আস।
আচ্ছা আপা দুলাভাইকে না হয় রাজী করালাম কিন্তু মেয়ের বাবাকে কে রাজী করাবে?
দুলাভাই যদি প্রস্তাব পাঠায় তাহলে ওরা কেউ অরাজি হবে না! এটা আমার বিশ্বাস। একই গ্রামের ছেলে মেয়ে। তাছাড়া ওদের কি একটা আত্মীয়তাও আছে। কাজেই বাছ বিচারের কি আছে? তাছাড়া তুমি ওই মেয়েকে দেখনি? নিরু! দুই জনে খুব মানাবে, যেমন আমাদের ছেলে তেমন মেয়েটা। কি লক্ষ্মী মেয়ে! দেখতে যেমন সুন্দর তেমন লেখাপড়া, বাধা কোথায়? তুমি এক্ষণি ওকে নিয়ে যাও।
শুধু এক পক্ষ দেখলেইতো হবে না!
আমাদের ছেলে কম কিসে?
দেখি বেটা চল
ড্রাইভার চলে গিয়েছিল বলে মামা নিজেই ড্রাইভ করে মতিঝিলে পৌঁছল। বাসায় যেয়ে এদিকে নিশাত পোশাক বদলাচ্ছিল ওদিকে মামা তার আপার কাছে খাবার চাহিদা জানাল।
কিরে জামিল তুই নিশাতকে কোথায় পেলি?
নাতো কোথাও পাইনি, এইতো তোমাদের সিঁড়িতে দেখা।
ও আচ্ছা,
একটু পরেই নিশাত চলে আসল। টেবিলে ভাত নিয়ে মা অপেক্ষা করছিল। মামা বলল, আপা একটা কথা বলি?
বল
নিশাত যখন এবার এসেছে তাহলে একটা বৌ নিয়ে আস!
হ্যাঁ আমিও বলছিলাম কাল সকালে
কি বলছিলে? মেয়ে দেখেছ? কে?
ওই যে রায়হান ভাইয়ের মেয়ে কাজলের কথা!
না আপা, আমার মনে হয় সোবহান বাগে থাকে তোমাদের ভাতিজি বীণা, ওর বোন আছে না একজন, কি যেন নাম!
কে! নিরুর কথা বলছিস?
হ্যাঁ হ্যাঁ নিরু, আমার মনে হয় নিরুকে মানাবে ভাল তাছাড়া ওরাতো একই এলাকার একই গ্রামের
না, তা কি করে হয়! এত দিন ধরে জানাজানি চলছে যদিও কথা দেয়া নেয়া হয়নি কিন্তু ভাবে সাবে এটা পরিষ্কার যে কাজলই এ বাড়ির বৌ হবে। এমন একটা অলিখিত কথা দুই সংসারে সবাই জানে এমন সময় হুট করে কি কিছু করা উচিত হবে?
দুলাভাইয়ের কি মত?
সে জানে, তারও একই মত
ছেলে কিছু বলেছে কখনও?
ও আবার কি বলবে? আমরা যা বলব তাই ওর কথা!
না আপা, এটা হয় না। আজকাল এ কথা তুমি বলতেই পার না। আজকাল সবারই নিজস্ব কোন মতামত অবশ্যই থাকতে পারে আর তোমাদের তা নিয়ে ভাবতেও হবে! সে যুগ আর নেই।
ওকে জিজ্ঞেস করে দেখ, কি বলে!
আপা, তোমরা রায়হান ভাইদের কিছু বলেছ?
না, আনুষ্ঠানিক ভাবে এমন কিছু বলা হয়নি তবে ঈদে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজলকে কাপড় চোপর দেয়া বা তেমন করে আদর আহ্লাদ করা যা এত কাল চলে এসেছে সেসব কি ইচ্ছে করলেই বাদ দেয়া যায়? নারে জামিল আমার কেমন যেন লাগছে! তুই হঠাৎ করে নিরুর কথা বলছিস কেমন করে তুইতো ওকে ভাল করে চিনিস না, তাহলে?
কে বলেছে চিনি না? খুব ভাল করেই চিনি! সিরাজ বেয়াইর মেয়ে, ওই যে মুন্নির বিয়েতে এসেছিল সেই মেয়ে, ওকে সেই ছোট বেলা থেকেই চিনি না? বড় হবার পর মুন্নির বিয়েতে দেখলাম, সেদিন দেখেই আমি নিশাতের কথা ভেবে রেখেছি। হ্যাঁ কাজলও ভাল মেয়ে আমি অস্বীকার করছি না কিন্তু নিশাতের জন্য ওর চেয়ে নিরুকেই মানায় ভাল। আমার যতদূর ধারনা মানে ওদের দেখে যা মনে হয়েছে তাতে মনে হয় ওরা উভয়েই উভয়কে পছন্দ করে!
তুই কেমনে জানলি?
আচ্ছা আপা বলতো আমার বয়স কি কম হয়েছে?
ঠিক আছে কিন্তু কাজলের কি হবে? ওর মা বাবার কাছে মুখ দেখাব কেমন করে?
বা রে! তোমরা কেউ কাওকে কোন কথা দাওনি, কারও সাথে এ ব্যাপারে কোন আলাপ হয়নি অথচ তোমরা ভেবে অস্থির হচ্ছ কেন বুঝতে পারছি না!
কি জানি দেখ তোর দুলাভাইয়ের সাথে আলাপ করে
সারারাত ধরেই জাহিদের মামা আর মা বাবার সাথে এই নিয়ে কথা কাটা কাটি চলল। এক সময় মসজিদে আজানের সুর ভেসে এলো। শেষ পর্যন্ত মেঝ মামাই জয়ী হলো।
আমি এত কিছু পারব না। আমি এখন নিশাতকে নিয়ে ওদের বাড়ি যাচ্ছি এবং বৌ নিয়ে আসব যা করার আপনারা করে রাখবেন বলে মামা বের হয়ে গেল যাবার আগে দুলাভাইকে বলে গেল আমি এখনই আসছি আপনারা রেডি হয়ে থাকেন।
সকালে ঠিক সাতটায় মামা এসে হাজির। নিচে গাড়ি রেখে উপরে এসে হৈ চৈ। কি ব্যাপার দুলাভাই আপা আপনারা রেডি হননি কেন? তাড়াতাড়ি করুন। দশ মিনিটের মধ্যে রেডি হবেন।
অগত্যা মা বাবা নিম রাজি হয়েই মেঝ মামার সাথে গাড়িতে উঠে বসল। সবাইকে নিয়ে বীণা আপার বাড়ি। কবির দুলাভাই সাত সকালে এদের দেখে বেশ অবাক!
ও! মামা! কি ব্যাপার আপনারা এই সকাল বেলা!
বুঝবে বুঝবে একটু পরেই বুঝবে। বীণা কোথায় ওকে বল নাশতা বানাতে আমরা কেউ বাসা থেকে খেয়ে আসিনি।
সে হবে, এ তো ভাল কথা! বীণা দেখ কারা এসেছেন! নাস্তা রেডি কর।
নিশাতের মা ভিতরে যেয়ে হাতে আটা মাখা হাত ধরে নিরুকে বসার ঘরে এনে সোফার মাঝখানে বসিয়ে নিজে তার পাশে বসল। পিছনে বীণা আপাও আসল। মামা বলল আপা দুলাভাই আপনারা মেয়ে দেখেন। বীণা আপা এবং কবির দুলাভাই হতভম্বের মত তাকিয়েই আছে! হচ্ছে কি এসব!
মামা বলল, কবির শোন, মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়েছে তুমি বাড়িতে কাউকে পাঠিয়ে দাও তোমার শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে আসবে।
মামা কি বলছেন আমি বুঝতে পারছি না
বুঝবে একটু পরেই বুঝবে, তোমার শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে আস তারপরে সব বুঝবে। আমাদের বৌ নিয়ে তোমার শ্বশুর কোথায় বিয়ে দিচ্ছে? যাক তাদের আনার ব্যবস্থা কর তারা এলে তখন বুঝবে।
দুলাভাই কিছুটা অনুমান করতে পেরে বলল
কাকে পাঠাব! আমাকেই যেতে হবে কিন্তু আমার যে অফিসে খুব জরুরী কাজ আছে!
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি একটা চিঠি লিখে ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি পাঠিয়ে দাও, আমার গাড়ি নিয়ে তুমি অফিসের জরুরী কাজ সেরে তাড়াতাড়ি চলে আস, আমরা আজ এখানেই থাকছি। বৌ নিয়ে তবে আজ আমরা এখান থেকে যাব। সাহস কত! আমাদের বৌ নিয়ে তোমরা এদিক ওদিক দেখাচ্ছ! তোমার শ্বশুর পেয়েছে কি?
আচ্ছা মামা! সবই হবে কিন্তু আমাকে একটু বুঝিয়ে বলুন কি হয়েছে, কি করতে চাইছেন? আমি এখনও পরিষ্কার করে বুঝতে পারছি না!
কেন বুঝতে পারছ না? তোমার এই শ্যালিকা নিরুকে আমরা আমাদের নিশাতের জন্য নিতে এসেছি। এত সকালে কোন মিষ্টির দোকান খুলেনি বলে মিষ্টি আনতে পারিনি, একটু পরে আমি যাচ্ছি মিষ্টি আনতে। ও ভাল কথা, গাড়িটা একটু পরে যাক, মিষ্টি পাঠাতে হবে। আর তুমি একটু পরে যাও আমার ড্রাইভার আসবে এখানে। আমরা কেউ কোথাও যাচ্ছি না।
ওইদিন বিকেলে নিরুর বাবা, মা, চাচা, শিহাব, মইন চাচা, তমাল ওরা সবাই আসল। যুঁই মিরপুরে শ্বশুর বাড়িতে ছিল বলে তখন আসতে পারেনি তবে ফোন করে বিকেলে আনান হয়েছিল। নিরুর দুলাভাই দুপুরের মধ্যেই অফিস থেকে ফিরে এলে মামা বীণাকে তার চাচিকে সাথে নিয়ে রান্না বান্নার আয়োজন করতে বলে নিরুকে নিয়ে মতিঝিল গেল। ওখান থেকে নিশাতকে নিয়ে নিউমার্কেটে এসে নিরুর পছন্দমত শাড়ি ব্লাউজ, পাঞ্জাবি শেরওয়ানি এবং অন্যান্য কেনাকাটা করে মতিঝিলের বাসায় নিশাতকে রেডি হবার জন্য নামিয়ে দিল। নিশাত মামাকে একটু অপেক্ষা করতে বলে বাসায় গিয়ে তারাহুরো করে এতদিন ধরে জমান নিরুর জন্যে কেনা নানান কিছু থেকে যা তখন চোখে পরল একটা সুটকেস ভরে নিচে এনে মামার গাড়িতে তুলে দিল। মামা ওখান থেকে সোজা বীণার বাড়িতে আসল এবং নিরুকে বিয়ের পোশাক পড়িয়ে রেডি করতে বলে আবার মতিঝিলে এসে নিশাতকে বিয়ের পোশাক পড়িয়ে বীণা আপার বাড়ি নিয়ে কবির দুলাভাইকে কাজী আনতে পাঠাল।
নিরুকে সাজাবার সময় যূঁই নিরুর কানে কানে বলছিল তুই খুব ভাগ্যবতী, নিশাতের মত বর পেয়েছিস। নিশাত খুব ভাল ছেলে কত দিন থেকে দেখছি। তোর ছোট বেলা থেকেই কেন যেন আমার মনে হোত তুইই হবি নিশাতের বৌ এই জন্যেই তোকে সবসময় অমন করে বলতাম, এখন বুঝেছিস? নিশাতকে বলবি বৌর জন্য এত কিছু এনে রেখেছে আর আমার ঘটকালির শাড়ি কোথায়?
দুলাভাই কাজী আনতে যাবার পর নিরুর বাবার সাথে মামা আলাপ শুরু করল। নিরুর বাবা সামনের পরীক্ষার জন্য একটু আপত্তি জানিয়েছিল কিন্তু মামার আপত্তির কাছে তার আপত্তি টিকেনি। ওই রাতেই বিয়ে পড়িয়ে বৌ নিয়ে চলে এলো।
আকাশে চন্দ্র সূর্য এবং অগণিত তারকা অসংখ্য বার উদয় হয়ে আবার অস্ত গেছে, অনেক প্রতীক্ষার দুঃসহ লগ্ন পেরিয়ে গেছে দূর মহা সাগরের ওপাড়ে। নিরুর জীবনের অনেক গুলি নির্বাক বসন্ত কাউকে না জানিয়ে নিরুর চোখের নোনা জল বয়ে নিয়ে গেছে সেই কোন অচেনা সুদূর নীল জলের নীল মহাসাগরের অতলে যে সাগরে তার নিশাত ঘুরে বেড়ায়। নিরুর চোখের জলে মহাসাগরের সব জল নোনা হয়ে গেছে, নিরুর একটু খানি ছোট্ট অবুঝ হৃদয়ে যখন নিশাতের জন্য বিশাল হাহাকারের ঢেউ উত্তাল সাগরের উত্তাল তরঙের মত আছড়ে পরেছে এবং নিশাতের অনেক চাওয়া, অনেক সাধনা, অনেক প্রতীক্ষা, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আজ ছোট্ট দুটি অবুঝ মন এক হয়েছে। দুটি মন, দুটি আত্মা, দুটি হাহাকার, দুটি অবুঝ মনের আকুতি এক হয়ে মিশে গেল চির দিনের তরে স্বর্গিয় আবেশ পাওয়ার জন্য। শুরু হলো তাদের নতুন যাত্রা অনন্ত কালের জন্য । এ যাত্রা শুধু সমুখ পানে এগিয়ে যাবার।
সকল আনুষ্ঠানিকতা সেরে যখন নিশাত বাসর ঘরে ঢুকল তখন নিরু বলল’
বান্ধবীরা কেউ জানল না, গায়ে হলুদ নেই হাতে মেহেদি নেই, সারা জীবন মেহেদি পরিনি আমি কত ভেবে রেখেছি বিয়ের দিন হাতে মেহেদি পরব আর তুমি কি করলে এটা? এই ভাবে কারো বিয়ে হয়? সারা জীবন এমন পাগলামি করেছ তুমি!