কী ভাবছো? নমিনেশন পাওনি বলে রাজনৈতিক জীবন শেষ? জীবনে নমিনেশনই সব কিছু নয়। সারাদেশে তোমরা কেবল হাজার দশেক লোক সাহস করেছো এই নমিনেশন যুদ্ধে নামতে। তোমরা সেই হাজার দশেক লোকই আছো দেশের বুকে একমাত্র সাহসী সন্তান। একবার ভাবো, দেশের বাকী ১৫ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার মানুষের কেউই সাহস করেনি নমিনেশন পেপার কিনতে। আর রক মিউজিক দিয়ে প্রচারণা চালানো মানিক ভাইও পায়নি নমিনেশন, উনিতো হতাশ হননি! তোমরা কেনো হতাশ হবে! নমিনেশন পাওয়াটা আসল কথা নয়, আসল কথা হচ্ছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটা। আর তোমরা তা করতে পেরেছো। আবারো বলছি, নমিনেশন পাওনি বলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই! সামনে তাকাও! দেশের স্টিভ জব্বার ক্ষ্যাত বিজয় জব্বার, নায়িকা থেকে মন্ত্রী হওয়া তারানা হালিম তারাতো ভোটই করেনি। কিন্তু তারা পেয়েছিলো মন্ত্রীত্বের চেয়ার। তেলবিদ্যাকে ধ্যান আর জ্ঞান হিসেবে নিলে, তেলবিদ্যা নিয়ে কঠিন অধ্যবসায় করলে তোমার জন্যও খুলে যাবে মন্ত্রীসভার দুয়ার। তাছাড়া একদল থেকে মনোনয়ন না পেলে আরেকদল দুয়ার খুলে বসে আছে কেবল তোমার জন্য। আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে স্বশরীরে আর স্বজ্ঞানে চলে যাও নতুন ঠিকানায়। এতে থ্রিল আছে আর আছে টেস্ট বদলের ইয়াম্মি স্বাদ।আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে স্বশরীরে আর স্বজ্ঞানে চলে যাও নতুন ঠিকানায়। এতে থ্রিল আছে আর আছে টেস্ট বদলের ইয়াম্মি স্বাদ।আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে স্বশরীরে আর স্বজ্ঞানে চলে যাও নতুন ঠিকানায়। এতে থ্রিল আছে আর আছে টেস্ট বদলের ইয়াম্মি স্বাদ। আর সৎ পথে চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজি করে দলের মুখ উজ্জল করার জন্য ভোটে জিততে হয় না। উদাহরণ চোখের সামনেই! তোমাদেরই অনুজ শায়লাকে দেখো! সেতো কখনো নমিনেশন পেপারও কিনে নি। কিন্তু নিদারুন অধ্যবসায় আর নিষ্ঠার সাথে চাঁদাবাজি করে ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় রেখেছে। রাজনীতি ছাড়ার আগে একবার ভাবো, বদি বৌদিকে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। তাই বলে কি বদির দেশসেবা থেমে যাবে! মোটেও না, দেশের সেবা করতে হলে নমিনেশন লাগে নারে পাগল। একটা বিশাল মন থাকলেই রসিয়ে রসিয়ে সেবা করা যায় দেশের। হতাশ না হয়ে ফাঁক খোঁজো! বের করো কোন দিক দিয়ে কুড়োল বের করা যাবে। আমি বলছি, তুমিই পারবে। তুমিও পারবে ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে জনগণের সেবা করতে। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো। যতদিন এই দেশ আছে, ততদিন তোমার জন্য কোথাও না কোথাও সফলতা অপেক্ষা করছে!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫