আমি অনন্তকাল বেঁচে থাকার প্রার্থনা করি
প্রতি ফেব্রুয়ারীতে কবিতার মিছিলে যেতে আমি জীবন বন্ধনা করি।
জ্বর দেখার ছুঁতোয় তোমার কপাল ছোঁয়ার সুযোগ ফেলে কিভাবে মরি?
আমি অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চাই,
পাতাঝরা শীতের শেষে,
ফাল্গুনের কচি আবেশ
চৈত্রের দাবদাহ
বৈশেখের ঝড়ঝাপটা আর
দমকা হাওয়ার সাথে যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে,
আমের বোলের লাল টকটকে পরিপূর্ন আম হয়ে উঠার বিজয়গাঁথা দেখার জন্য।
কৃত্রিম গোলাপের শহরে এক আঁটি কৃষ্ণচূড়ার লাল দেখার জন্য বাঁচি।
সুযোগ পেলেই তোমার হৃদয়ের তাপমাত্রা মাপতে প্রতিবার ফিরে আসি।
জানি আমার অনন্তকাল বেঁচে থাকা হবে না।
তোমায় হয়তো দেয়া হবে না
আসছে বর্ষার প্রথম কদমফুল।
আর হয়তো ভালোবেসে ছুঁয়ে দেবো না
তোমার মুখের উপর উড়ে আসা চুল।
তাই, চাই পুনর্জন্ম
যুগে যুগে এই মর্ত্যে জীবন পুনরাবৃত্তি
একসাথে দেখতে চাই সহস্র বিপ্লবের সৃষ্টি।
একটি ঘুঁণপোকার জীবনচক্র দেখবো
কিংবা কোন প্রজাতির শেষ সমাধি।
তোমার সাথে দেখতে চাই পৃথিবীর ধ্বংস অব্দী।