ছবি বাচ্চু ভাইয়ের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেয়া।
কিছু মানুষের যে শিরদাঁড়া খাড়া থাকে, মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারেন, চোখে আঙুল দিয়ে বলে দিতে পারেন- তুমি যা করছো, তুমি যা শুনছ, তা আমার নয়। আমার কথা শোনো। আমরা যা বলি- সুরে ও গানে তা নিয়ে ভাবো। আমাদেরও নিজেদের অনেক কিছু আছে, যা তোমরা ভুলে যাচ্ছ। সেই সব মনে করিয়ে দেয়া শিল্পীদের অন্যতম আইয়ুব বাচ্চু- এবি।
২০১৪ সালের ১৩ মার্চ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেলিব্রেশন কনসার্টের ভিনদেশী শিল্পীতে ঠাঁসা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পীরা ছিলেন অচ্যুত! সেই সময় বাচ্চুভাই দর্শকদের সামেন তাঁর অভিমান লুকাননি। বলেছিলেন, “আপনারা যারা কষ্ট করে বাংলা গান শুনছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের হাত না চলুক, চোখ আর কান তো খোলা আছে। এতেই চলবে, হাততালি এখন খরচ করে লাভ নেই,এটা পরের জন্য রেখে দিন, চোখ কান খোলা আছে এটাই যথেষ্ট, আপনারা ধৈর্য ধরে বাংলা গান শুনছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।”
একজন শিল্পী কতটা অভিমান আর কষ্ট পেয়েছিলেন সেদিন। তারপরেও তিনি শিল্পী। গেয়েছেন। তার সুরে তার আমাদের কৈশোর তারুণ্য পূর্ণ করেছেন। একজন সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক হিসমাবে বেশ ক’বার তাঁর মুখোমুখি হয়েছিলাম। তাঁর ব্যক্তিত্ব, জীবনাচরণ বাংলা ব্যান্ডের প্রতি অনন্য -কল্যাণী ভাবনা এ দেশে বহু যুগ ব্যান্ড শিল্পীদের প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
বিদায় বাচ্চু ভাই। বিদায় এবি । বিদায় গুরু।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪