থানছি বড় মোদক পর্যটন আকর্ষণ। এ মুহুর্তে পর্যটকরা থানছি, তিন্দু, রেমাক্রি, বড় মোদক, বড় পাথর এবং নাফাখুম ভ্রমণ বাতিল করাটাই যুক্তিসঙ্গত।
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, থানছি-মায়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষীদের সাথে মায়ানমারের বৌদ্ধ বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্ঘাতপূর্ণ অবস্থান বিরাজ করছে।
আরাকান আর্মি ----বৌদ্ধ বিদ্রোহী এই সংগঠনটি চীনের উত্তর-পূর্ব ও মিয়ানমারের সর্ব উত্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যের স্বাধীনতার জন্য সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে। এদের মূল অবস্থান কাচিন রাজ্যের আরাকানে।
২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ২০১২ সালে এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করে আরাকানে তাদের ৪০০-৫০০ সদস্য রয়েছে। তাদের স্লোগান হলো আরাকানি মানুষের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ।
চ্যানেল আইয়ের খবরে বলা হচ্ছে--- আজ বুধবার সকালে বান্দরবানের থানচির বড়মদক এলাকায় বিজিবির টহল দলের উপর আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। সেসময় বিজিবির নায়েক জাকির আহত হন।
বিজিবির ১০ সদস্যের এবং সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যের আরেকটি দল টহল দেওয়ার সময় পরস্পরকে পেরিয়ে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা করে।
এর আগে মঙ্গলবার বিজিবির একটি দল সন্ত্রাসী গ্রুপের ছয়টি ঘোড়া আটক করে। আরেকটি দল আটক করে আরো চারটি ঘোড়া।
‘এর সূত্র ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে,’ বলে বিজিবি মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ ধারণা করছেন।
বান্দরবানের সীমান্ত এলাকা এতটাই দুর্গম যে, ৪৩৯ কিলোমিটার এলাকায় কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ বাস করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থাপনা নেই। গতবছর পর্যন্ত এরকম অরক্ষিত সীমান্ত ছিলো ৫৩৯ কিলোমিটার। তবে এক বছরে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবি তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০১