যাদের আমি বেশি ভালোবাসি কিম্বা পছন্দ করি তাদের আশ পাশে ঘুরি, সামনে যাই না। হুমায়ূন স্যার সে রকম একজন মানুষ। আমার সাথে তার বেশ কয়েকবার দেখা হযেছে।
একটা সময় ছিল হিমু সেজে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম। তার হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম কেনার জন্য নোয়াখালী থেকে ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসছিলাম। এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য শোনালেও ঘটনা সত্য।
ওই বইটি পড়ার পর কুকুরের ভাষা বোঝার চেষ্টা করতাম। সোনাইমুড়ি রেল স্টেশনে এবং সোনাইমুড়ির বরলা গ্রামের পাশে রেল ব্রিজে বহু জোছনা রাত কেটেছে কুকুরের সাথে কথা বলে। চরজব্বারে আমার জন্মভিটের সামনে দিয়ে বয়ে চলা মেঠো পথ ধরে বহু দিন জোছনা রাতে হেঁটেছি।
তার সাথে দেখা করার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না। কিন্তু পেশাগত কারণে বার কয়েক দেখা হয়েছে। দখিন হাওয়া ও নুহাশপল্লীতে তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সাধারণত অন্য রিপোর্টাররা তাকে দেখলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, আমি দূরত্ব বজায় রেখে কথা শোনার চেষ্টা করতাম। মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কথা, শুনলেও প্রশান্তি লাগতো।
এক অসাধারণ গল্পের জাদুকরের প্রস্থানের পর তার দ্বিতীয়বারের মত জন্মদিন পালিত হচ্ছে। যেখানে থাকুন না কেন, তিনি যেনো ভালো থাকেন। সে প্রত্যাশা।