দূরের হষ্টেলে কিশোর ছেলেটি কেমন আছে,কি অখাদ্য খেয়ে খেয়ে বেঁচে আছে,অর্হনীশি সে কথা ভেবে ভেবে আর কারো চোখে বর্ষা নামেনা । অবিরাম অশ্রু বিসর্জনে আর কারো চোখের নীচে কালি জমেনা । মৌসুমী ফলের ঝুড়ি সযতনে তুলে রেখে,পাকা ফল পঁচিয়ে ফেলে না আর কেউ ! বুক ভরা আশায় অপেক্ষায় থাকেনা কেউ আর- 'একদিন আসবে কিশোর !'
বাড়ীতে নিজ হাতে উপাদেয় খাবারগুলো তৈরী করেন মা । কিন্তু মায়ের মুখে রোচে না । সবেগে ভাল খাবারের বাটি দূরে ঠেলে দেন ! তার ছেলেটি যে সুস্বাদু এই খাবারগুলো পাচ্ছে না আজ ! তাহলে, মা কি করে খান !
তোমার দুধের ঋণ শোধ হয়না মা...
***************************
বড় অকৃতজ্ঞ তোমার ছেলেটি মা । তোমাকে মনেওতো করেনা সে আজকাল । হ্যাঁ,মনে করে,যখন তার কষ্ট রাখার জায়গা থাকেনা আর । যখন সে চায় খু-উ-ব ভালবাসার একটি আশ্রয়, মাথার উপরে সবচে ভালবাসার একটি হাত । অকৃতজ্ঞ সে তখন মাকে খোঁজে ! রাতের আকাশের অজস্র দূরের তারার ভীরে খোঁজে ! চিত্কার করে মা মা বলে সে কাঁদে ! অভিমানী মায়ের সারা সে পায়না...!
এমন অকৃতজ্ঞকে সারা কেনইবা দেবে তুমি,মা ! তোমার দুধের ঋণ কি শোধ দিয়েছে সে,মা...!