somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোস্যাল মিডিয়া মেকানিজম ও ফ্রি তাহমিদ পেজ

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইদানিং সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু টপিক গুরুত্ব পেয়েছে, যা আসলে পাওয়ার বা অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার কথা না। তারপরও কেন- এতটা আলোচিত হয়ে উঠলো। তাহমিদের কথাই ধরুন, যে ছেলে জঙ্গী হামলার সময় হলি আর্টিসানে উপস্থিত ছিল, রাতভর নানা নাটকীয় ঘটন অঘটনের পর জঙ্গীরা দেশী বিদেশী অনেক জিম্মিকে নারকীয় কায়দায় খুন করার পর হাসনাত করিম, তাহমিদসহ বেশ ক'জনকে ছেড়ে দিলো। তারপর অপারেশন থান্ডার বোল্টে জঙ্গীরা মারা গেল। যে কজন মানুষ জীবন নিয়ে ফিরে আসলো, তাদের সবাইকে সন্দেহভাজন/ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রশাসনের জিম্মায় জেরা করা হলো- হাসনাত করিম ও তাহমিদকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে বাকীদের ছেড়ে দেয়া হলো।

আমি আমার প্রসঙ্গে ফিরে যাই, গুলশান হামলার কদিন পরই আমরা সব ভুলে গেলাম। কিন্তু যেই না- তাহমিদকে গ্রেফতার দেখানো হলো, সরব হয়ে উঠলো অনলাইন মিডিয়া, পক্ষ বিপক্ষ, আলোচনা সমালোচনা শুরু হলো । আসলে কি তাই? মোটেও না, এখানে সোস্যাল মিডিয়া মেকানিজম করার মাধ্যমে তাহমিদকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে?

প্রথমত: ফ্রি তাহমিদ নামক যে ফেসবুক পেজ তৈরী করা হলো, সেটা দিয়েই মেকানিজম শুরু! বেশ পুরনো কিছু ফেসবুক আইডিকে একই নামে ( ফ্রি তাহমিদ) পেজে কনভার্ট করা হলো, তারপর সেই পেজগুলো মার্জ করে একীভূত করা হলো, যার ফলাফল দাড়াল- ঐ পেজের ফলোয়ার ৫০/৬০ হাজার, কিন্তু এরা কারা? এসব ফলোয়ার তারাই, যারা পেজে কনভার্ট করা আগে আইডিতে ফ্রেন্ডস লিস্টে ছিলেন।

দ্বিতীয়ত: আমরা আবেগপ্রবন জাতি, এই মেকানিজমের পেছনের ব্যক্তিরা অত্যন্ত সুক্ষভাবে তাহমিদের প্রতি সাধারনের সহানুভূতি আদায় করে নিচ্ছেন, যাতে প্রমাণ করা যায় যে, তাহমিদের জঙ্গী কানেকশন নেই বা তাহমিদকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।

ফ্রি তাহমিদ পেজের অনেক ফলোয়ার অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছেন- আমি ঐ পেজের নামই শুনিনি, লাইক দিব কিভাবে? ঐ যে প্রথমেই বললাম- মেকানিজম। হুম, মেকানিজম করেই আপনি বা আপনার বন্ধুদের ফলোয়ার বানানো হয়েছে।

কেন এই মেকানিজম?
দুটো কারণে মেকানিজমের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এক. আপনি জেনে শুনে এরকম একটি পেজের ফলোয়ার হবেন না। দুই. দ্রুততম সময়ে পেজটির ফলোয়ার বৃদ্ধি, যদিও ফেসবুকে টাকা খরচ করে প্রমোট করে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা যায়, কিন্তু সেখানেও আপনি জেনে শুনে হবেন না বলেই মেকানিজম।
ইদানিং সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু টপিক গুরুত্ব পেয়েছে, যা আসলে পাওয়ার বা অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার কথা না। তারপরও কেন- এতটা আলোচিত হয়ে উঠলো। তাহমিদের কথাই ধরুন, যে ছেলে জঙ্গী হামলার সময় হলি আর্টিসানে উপস্থিত ছিল, রাতভর নানা নাটকীয় ঘটন অঘটনের পর জঙ্গীরা দেশী বিদেশী অনেক জিম্মিকে নারকীয় কায়দায় খুন করার পর হাসনাত করিম, তাহমিদসহ বেশ ক'জনকে ছেড়ে দিলো। তারপর অপারেশন থান্ডার বোল্টে জঙ্গীরা মারা গেল। যে কজন মানুষ জীবন নিয়ে ফিরে আসলো, তাদের সবাইকে সন্দেহভাজন/ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রশাসনের জিম্মায় জেরা করা হলো- হাসনাত করিম ও তাহমিদকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে বাকীদের ছেড়ে দেয়া হলো।

আমি আমার প্রসঙ্গে ফিরে যাই, গুলশান হামলার কদিন পরই আমরা সব ভুলে গেলাম। কিন্তু যেই না- তাহমিদকে গ্রেফতার দেখানো হলো, সরব হয়ে উঠলো অনলাইন মিডিয়া, পক্ষ বিপক্ষ, আলোচনা সমালোচনা শুরু হলো । আসলে কি তাই? মোটেও না, এখানে সোস্যাল মিডিয়া মেকানিজম করার মাধ্যমে তাহমিদকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে?

প্রথমত: ফ্রি তাহমিদ নামক যে ফেসবুক পেজ তৈরী করা হলো, সেটা দিয়েই মেকানিজম শুরু! বেশ পুরনো কিছু ফেসবুক আইডিকে একই নামে ( ফ্রি তাহমিদ) পেজে কনভার্ট করা হলো, তারপর সেই পেজগুলো মার্জ করে একীভূত করা হলো, যার ফলাফল দাড়াল- ঐ পেজের ফলোয়ার ৫০/৬০ হাজার, কিন্তু এরা কারা? এসব ফলোয়ার তারাই, যারা পেজে কনভার্ট করা আগে আইডিতে ফ্রেন্ডস লিস্টে ছিলেন।

দ্বিতীয়ত: আমরা আবেগপ্রবন জাতি, এই মেকানিজমের পেছনের ব্যক্তিরা অত্যন্ত সুক্ষভাবে তাহমিদের প্রতি সাধারনের সহানুভূতি আদায় করে নিচ্ছেন, যাতে প্রমাণ করা যায় যে, তাহমিদের জঙ্গী কানেকশন নেই বা তাহমিদকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।

ফ্রি তাহমিদ পেজের অনেক ফলোয়ার অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছেন- আমি ঐ পেজের নামই শুনিনি, লাইক দিব কিভাবে? ঐ যে প্রথমেই বললাম- মেকানিজম। হুম, মেকানিজম করেই আপনি বা আপনার বন্ধুদের ফলোয়ার বানানো হয়েছে।

কেন এই মেকানিজম?
দুটো কারণে মেকানিজমের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এক. আপনি জেনে শুনে এরকম একটি পেজের ফলোয়ার হবেন না। দুই. দ্রুততম সময়ে পেজটির ফলোয়ার বৃদ্ধি, যদিও ফেসবুকে টাকা খরচ করে প্রমোট করে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা যায়, কিন্তু সেখানেও আপনি জেনে শুনে হবেন না বলেই মেকানিজম।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×