আজ আমার মন ভালো নেই
আর একটি বারের জন্য তোমাকে দেখার আকুলতায়
আমার চোখে জল
চৈত্রের দাবদাহকেও যেন তার শীতল করার অভিলাষ!
আষাঢ়ের ঘন বর্ষণের সাথে তার সেকী তুমুল প্রতিযোগীতা!
মনে পড়ে?
তোমায় নিয়ে ফড়িঙ্গের মত নেচে বেড়িয়েছি
শিশির ভেজা দূর্বায়-
হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখেছি শত শত ঘাসফুল;
তুমি বলেছিলে-“একদিন আমিও ঘাসফুল হব!
তখন আমায় এমনি করে ছুঁয়ে যেও”!
আজ হাত বাড়ালেই তোমাকে চাই
ধরা দেয় ঘাসফুল
তার মাঝে তোমাকে খুঁজি
তবে তার অস্তিত্বে তুমি নেই-
ব্যর্থতার নিঃশ্বাসে বাতাস ভারী করে তুলি
মনে আছে তোমার?
বলেছিলে-“এত্তটুকু ছোট্টটি হয়ে যাও না কেন?
তবে বুক পকেটেই থাকতে পেতে!-একদম বুকের কাছাকাছি!”
আজ নিজেকে বড় অপুর্ণ মনে হয়,
আলাদীনের চেরাগ খুঁজে বেড়াই!
তারপর নিজের ব্যর্থতায় নিজেই হাসি!
তারপর নিজেই কাঁদি-
তারপর ব্যকুল হয়ে আবার খুঁজি!
তারপর আবার------
-এক অসহ্য চক্রে আবর্তিত হতে হতে ক্লান্ত, শ্রান্ত হই
তবুও খুঁজি!
মনে পড়ে?
শেষ বিকেলের মিষ্টি বাতাস একদিন আমার চুল এলোমেলো করে দিলো?
তুমি বলেছিলে-“আমি ঝড়ো হাওয়া হয়ে একদিন তোমাকে উড়িয়ে নেব-
এই মৃদু হাওয়াকে আর চুরি করবে না তোমার চুলের গন্ধ!”
আজ বারবার বারান্দায় দাঁড়াই
বাতাসে তোমার হাতছানীর সন্ধান পেতে চাই
-হঠাৎ করে কানের কাছেই
যেন তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ!!
চকিতে দেখি-
চারিদিকে শুধু শূণ্যতার কোলাহল।
মনে আছে?
তৃষ্ণার্তের মত আমার হাত ধরতে?
আমিও।
চোখ বুঁজে শুষে নিতাম স্পর্শের অমৃত।
আজ মরুভূমিতে আমি পথ হারা মুসাফির যেন!
আজো তপ্ত বুকে সেই তৃষ্ণা!
তবু এক বিন্দু জল হয়ে তুমি ধরা দাও না।
আজ আমার মন ভালো নেই
আমার বর্তমান-তোমার সাথে কাটানো অতীতের সৌভাগ্যে
হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয় ।
(আমার লেখা প্রিয় কবিতা এটি, তবে ব্লগে নতুন ছিলাম বলে প্রথম পাতায় আসেনি। তাই আবার পোস্ট করলাম)