ইসলামী ব্যাংকের সেবার মান নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ আছে। এর পাশাপাশি বিগত বছরগুলোতে তৎকালীন প্রশাসক ও ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে অনেকের মুখেই আজে বাজে অনেক কথা শুনেছি। অনেকেই বলতেন, যারা ব্যাংকিং বুঝেনা, তাদেরকে দিয়ে ব্যাংক চালালে ব্যাংক জীবনেও ভাল চলবেনা ইত্যাদি।
কিছু ভেজাল সব জায়গাতেই থাকে। তবে সবার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা তাই বলে ঠিক নয়। আমরা এমন এক অভাগা জাতি, যারা মানুষ মরলে বা কোন কিছু হাতছাড়া হয়ে গেলে তারপর অনেক কিছু বুঝি। যখন থাকে তখন গালি দেই, আর চলে যাওয়ার পর বলি, আগেই ভাল ছিলাম।
ইসলামী ব্যাংক আনঅফিসিয়ালী দখল হলো ৬ মাস আগে। এর আগে জীবনে কখনো শুনিনাই যে খেলাপী ঋনের তালিকায় ইসলামী ব্যাংক ছিল। আর এবার শুধু এই তালিকায় ইসলামী ব্যাংক আছে তাই নয়, বরং তাদের নাম একেবারে শীর্ষে।
পত্রিকার প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এবার খেলাপি ঋণের শীর্ষ তালিকায় উঠে এলো দেশের সর্ব বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের নাম। এর আগে কখনও খেলাপি ঋণের শীর্ষ তালিকায় এই ব্যাংকটির নাম ছিল না। পরিচালনা পরিষদ পরিবর্তনের মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির এমন অবনতিতে অবাক গ্রাহক এবং শুভাকাঙ্খিরা। ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বুঝুন তাহলে কেমন দক্ষ ও যোগ্য ম্যানেজমেন্ট এখন ব্যাংকটি পরিচালনা করছে। এবার অন্তত হারিয়ে যাওয়া মানিকগুলোকে মুল্যায়ন করতে শিখুন...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭