somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্র্যাম্পের তলোয়ার নৃত্য, কাতার-সৌদি সংকটে ‘শকুন’ দৃষ্টি!

১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরটি তিনি করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশ সৌদি আরবের মাধ্যমে। এর পর অবশ্য তিনি গিয়েছেন ভ্যাটিকান এ, তিন ধর্মের পূন্যস্থান জেরুজালেম এ, আর ইউরোপ সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। মে মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি সৌদি আরবে গিয়ে সে দেশের রাষ্ট্রীয় রেওয়াজ অনুসরণ করে তলোয়ার নৃত্যে অংশ নিয়েছেন। গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা সেই নৃত্য দেখেছি, যে কী বিরক্তি আর অনীহা নিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন।


এমনকি চরম বিরসবদনের তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স তিলারসনও বিব্রত বোধ করলেও, তলোয়ার উঁচিয়ে উঁচিয়ে নৃত্যে অংশ নিয়েছেন। সেই ছবি বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়েছে, চরম ট্রাম্প ভক্তরা বিরক্ত হয়েছেন, কোন এক মুসলিম দেশে গিয়ে ট্রাম্পের এমন গলায় গলায় পিরীত দেখানোর কারণে। তবে, ট্রাম্প বিরক্তি আর সমালোচনা সত্ত্বেও সেই নাচ দিয়েছিলেন, কেননা সৌদি তার বিনিময়ে ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়েছে।


হ্যাঁ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের মুঘল রাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে। আগামি দশ বছরে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এরই মধ্যে ১১০ দশ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনতে অগ্রিম চুক্তি হয়েছে। ৩৫০ বিলিয়ন সংখ্যাটা একটু আলাদা করে হিসাব করা দরকার।

বাংলাদেশে একটি পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথম সময়ে ২ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অর্থের সংস্থান হয়নি নানামুখী দুর্নীতির অভিযোগে। মনে হচ্ছিলো একটি সরকারের পতন হয়ে যাবে সেই ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থের অভাবে, একটি পদ্মা সেতু করতে না পারায়। এই হিসাবটা দেয়ার অর্থ হলো একটু মিলিয়ে দেখা যে, কত টাকা হলে পরে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার হয়!
সেই টাকার অস্ত্র কিনছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। সেই তলোয়ার নাচের প্রথম আলোচনা সেই চুক্তিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ‘সেই নৃত্যের বাকী অংশটুকু প্রকাশ হয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহে।’

৫ জুন, সৌদি আর তার প্রভাব বলয়ে থাকা ৫ দেশ মিলে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র কাতারের সাথে। শুধু তাই নয়, ২ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে সৌদি আরব সহ তিনটি দেশ কাতারের সব নাগরিকদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে সব ধরনের সীমান্ত যোগাযোগ। আর সৌদি তার বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কাছে আহবান রেখেছে, তারাও যেন একই পথে চলে। যেই চাপের মধ্যে আছে বাংলাদেশ এর মত ছোট খাট শ্রমিক রপ্তানীকারক দেশগুলোও।

এটিও যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেকটি ‘নৃত্য’ সেটি বুঝতে কারো বাকি ছিল না, তবুও, ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে নিজের ক্রেডিট নিতে এতটুকুও সময় নেননি। ৬ জুন, সকাল ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে তিনটি আলাদা আলাদা টুইট করে তার মন্তব্য প্রকাশ করে বলেছেন, এই অগ্রগতি তার সফরের ফসল।

‘আমার মধ্যপ্রাচ্যে সফরের সময়, যখন আমি সন্ত্রাসীদের অর্থ সহায়তা না দেবার আহবান জানিয়েছিলাম, নেতারা তখন কাতারের দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছিল’- লিখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


‘সুতরাং ভালোই হলো, সৌদিতে যে ৫০ মুসলিম দেশের নেতারা ছিলেন, তারা কাজ করতে শুরু করেছে, তারা একাত্ম হচ্ছে যে তারা সন্ত্রাসীদের অর্থ দেয়া বন্ধ করবে’, এবং ‘যখনই উগ্র মতবাদ আর অর্থ সহায়তার কথা আলোচনা হচ্ছিলো, সবাই কাতারের দিকে আঙুল তুলছিল, এটার মাধ্যমে সম্ভবত শেষের (আইএস বিরোধী অভিযান) একটা শুরু হলো’ -এই হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৬ জুন সকাল বেলার টুইট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানেন যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের যে সামরিক ঘাঁটি আছে সেখানে অন্তত ১০ হাজার সেনা আছে। ট্রাম্পের এই আগ বাড়িয়ে কৃতিত্ব নেয়ার পরক্ষণেই পেন্টাগন এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় অথবা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘কাতার যে দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে, আমাদের যে সামরিক স্থাপনা আছে তার প্রতি যে সমর্থন দিয়েছে সে কারণে আমরা কাতারের কাছে কৃতজ্ঞ’।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট মুখপাত্র হিথার ন্যুয়াট আরো যোগ করেছেন, ‘আমরা আগে থেকে সৌদির এই কুটনৈতিক সিদ্ধান্ত জানতাম না, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার মাত্র কিছুক্ষণ আগে আমাদেরকে অবহিত করা হয়েছিল।’

যাক এই আলোচনায় যাচ্ছি না। লিখতে চাইছি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের তলোয়ার নৃত্যের ভবিষ্যত কতখানি অশনি সংকেত হতে পারে সেটা নিয়ে। সৌদির এই পদক্ষেপ এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা একটা নতুন মাত্রা পেল। ছোট রাষ্ট্র তবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ কাতার নিয়ে দুদিন আগেই একটি প্রামান্য চিত্র দেখছিলাম। সেখানকার মাথাপিছু বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ডলার!

দেশটিতে গাড়ির তেল থেকে, শিক্ষা স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সব কিছুই ফ্রি। সিবিএস নিউজের প্রযোজনায় তৈরী ঐ প্রামান্যচিত্রে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, ‘এমনকি মরাটাও এখানে ফ্রি, অর্থাৎ কেউ মরলে আমরা সরকারীভাবে তার দাফন বা পরিবারের ভরণ পোষণ করে দেই, আপনার শুধু এই দেশটিতে জন্ম নিতে হবে, বাদ বাকী দায়িত্ব সরকারের’।

এই ভিডিও থেকেই বেশ কিছু বিরল ছবি দেখা গেছে। একটি হলো দেশটির বর্তমান সরকার প্রধান যিনি গত ৩ দশকে, উট ব্যবসায়ীর দেশ থেকে বর্তমানে দেশটিকে সমগ্র বিশ্বের ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল বানিয়েছেন, উদার গণমাধ্যমের প্রচলন ঘটানোর জন্য আল জাজিরার মত টেলিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি তার স্বৈরশাসনে দেশটিকে উদার এবং সেকুলার রাজনীতির প্রচলন ঘটাতে চান।
তবে, তাকে নিয়ে যেসব আলোচনা রয়েছে সেখানে, তার মধ্যে অন্যতম হল, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগ। প্যালেস্টাইন এ গাজার নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে, যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলের চোখে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস এর অন্যতম প্রধান অর্থদাতা দেশ কাতার।

লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দফিকে অর্থ সহায়তা দিতো দেশটি। অতি সম্প্রতি কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইরানকে সহায়তা দেয়া আর ইরানী মদদে ইয়েমেন লেবাননসহ সে সকল দেশে সরকার বিরোধী অস্থিরতা চলছে, সেখানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগ।

২০১৬ সালে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে ফোর্বস ম্যাগাজিনের সুনাম কুড়ায়। সাড়ে চার হাজার বর্গমাইলের এই দেশটির এত অর্থনৈতিক শক্তি যে, নিজ দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ নাগরিককে স্বর্নে মুড়িয়ে দেয়ার পরও বিশ্বের নানা জায়গায় অর্থ সহায়তা দিয়ে তার প্রভাব বলয় বাড়াচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে যখন প্রবল গণ জোয়ার বা আন্দোলন তখনও কাতার নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। প্রবল পরাক্রমশালী শাসকের আধিপত্য তো আছে এর বাইরে সম্ভবত বর্তমান সরকারকে ছাপিয়ে আরো ভালো কিছু ওয়াদা করার কোন ইস্যু নেই সেখানে। দেশটির সেনাবাহিনীর সংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। আর খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনা সদস্য আছে প্রায় ১০ হাজার।

গত প্রায় ৩ দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নী প্রধান দেশগুলোর মধ্যকার অর্থনৈতিক সহায়তাকে এগিয়ে নিতে যে গালফ কো-অপারেশন চুক্তি আছে জিসিসি নামে, ধারনা করা হতো, এই জিসিসি একদিন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টেক্কা দেবে। কেননা, তেলের উপর ভাসতে থাকা এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মত। মাত্র ৩ দশক আগে উট চরতো যেই ভূমিতে, সেই দেশেই এখন শতাধিক সুউচ্চ অট্টালিকা যার প্রায় প্রতিটি নির্মাণ শিল্পের একেকটি মডেল হিসেবে বিবেচিত।

কাতারের বাইরে বাহরাইন, আরব আমিরাত, এগুলোও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ঐ সব দেশই, আয়তনে ছোট, এবং সড়ক পথে আমদানি রপ্তানির জন্য সৌদি আরবের উপর নির্ভরশীল। সেই জায়গায় বড় জোরে ধাক্কা দিয়েছে সৌদি আরব। কাতারের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমদানী রপ্তানি পুরোটাই বন্ধ। এখন বলা চলে, কাতারকে পঙ্গু করার চেষ্টাতেই নেমেছে সৌদি আরব আর তার বাফার বা অনুগত দেশগুলি।

অনেক কিছুই লেখা যায়, চাইলে, তবে তার সবই এখন পূর্বানুমান। ২০১৪ সালে এমন একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছিল কাতারের সাথে। তখনও একবার টানাপোড়েন হয়েছিল সম্পর্কের কিন্তু পরে সেটা সমাধান হলেও এবারের পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে। কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আছে জেনে হয়তো এতদিন সৌদি আরব এত কঠিন পথে চলেনি। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফর করার পর, সামরিক চুক্তি হ্ওয়ার পর, তলোয়ার নৃত্যের পর, অবস্থান শক্ত করেছে সৌদি আরব।
এমনিতেই সৌদি আরবের সাথে ইরানের সম্পর্ক বলা চলে দা-কুমড়ার মত। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যে অভিযোগ, সৌদিরও সেই অভিযোগ। এখন কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলেছে সৌদি আরব, আর সুর মিলিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন কি হতে পারে?

এই পরিস্থিতির অচিরে অবসান না হলে মধ্যপাচ্যের আরেকটি ধনী দেশের পতন হতে পারে সহসাই, যেমনটি হয়েছে সিরিয়া আর ইরাকে। অথবা পিঠ বাঁচাতে কাতার, রাশিয়া যোগাযোগ বাড়াতে পারে। যেটি ইরান আর তুরস্ক করেছে সম্প্রতি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একক কতৃত্ব বন্ধ করে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে চায়।

সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে কার সামরিক শক্তি কতটা বড়, কার অস্ত্র বেশি বেশি বিক্রয় হবে সেই মল্লযুদ্ধে নেমেছে রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্র। এক সৌদি কিনছে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, কাতার যদি এখন রাশিয়ার কাছ থেকে এক দুই শত বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনে অবাক হ্ওয়ার কিছু থাকবে না। তাদের সেই সক্ষমতা আছে, তবে অস্ত্র চালানোর লোক নেই এটা সত্য।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন এই গুটি চালছেন মধ্যপ্রাচ্যে, তখন তার নিজের দেশের মধ্যে তার বিরুদ্ধে চলছে জোরালো একটি অভিশংসন তদন্ত। বৃহস্পতিবার সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কমি, সিনেট কমিটির কাছে শুনানীতে বলেছেন, রাশিয়া কানেকশন সংক্রান্ত অভিযোগে, সাবেক নিরাপত্তা প্রধান জেনারেল ফ্লিনের তদন্ত বন্ধ করতে বলা সংক্রান্ত অভিযোগ/সংবাদের সত্যতা।
সেখানে কমি যে সাক্ষ্য দিয়েছেন নিজের ক্ষমতায় থাকার গদি এমনিতেই দারুন গতিতে নৃত্য শুরু করবে ট্রাম্পের। সেই নৃত্যেু তিনি টিকবেন কিনা সেটি নিয়ে যখন আলোচনা, তখন তিনি একাই কেন নাচবেন/ নাচাচ্ছেন সারা বিশ্বকে। ন্যাটোর মত বিশাল সামরিক জোট থেকে শুরু করে সাড়ে চার হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশ কাতার পর্যন্ত সব জায়গায় চলছে তার মত করে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা।

মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের এই তলোয়ার নৃত্যের প্রেক্ষাপট যাই হোক, এর পরিণতি যেন সিরিয়া বা আফগানিস্তান, লিবিয়া, মিসরের মত না হোক। একটি ধনী দেশের নাগরিকরা ধনী থাকুক, নির্ভেজাল থাকুক, মধ্যপ্রাচ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তলোয়ার নৃত্যের প্রভাব এতদূর না যাক, সেটি কামনা করতে শুরু করেছেন অনেকেই

সাহেদ আলম, নিউ ইয়র্ক।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×