আমরা ব্লগ আর বইমেলায় নাস্তিক খুঁজি। অথচ বড় বড় নাস্তিক আর তাদের বিষাক্ত ধর্মবিদ্বেষ আমাদের পাঠ্যবইয়ে ঢুকে বসে আছে, দেখুন..
বাংলা জাতীয় ভাষা। (ডিগ্রী পাস কোর্স, ২য় বর্ষ)..
আসুন এক নজরে দেখে নেই-
বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকে কি বাদ দেওয়া হলো এবং কি প্রবেশ করনো হলো..........
প্রথমে বাদ দেয়া বিষয় গুলোঃ-----
পাঠ্যপুস্তক বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া হলো:-
১) ক্লাস-২: ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
২) ক্লাস-৩: ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৩) ক্লাস-৪: খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৪) ক্লাস-৫ : ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৫) ক্লাস-৫: বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যা বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা
উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করা হয়েছিলো।
৬) ক্লাস-৫ : শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত। এ প্রবন্ধটিতে শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ ছিলো।
৭) ক্লাস-৬ : ড. মুহম্মদ শহীদু্ল্লাহ লিখিত ‘সততার পুরুষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা।
৮) ক্লাস-৬ : মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’।
৯) ক্লাস-৬ : মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি।
১০) ক্লাস-৭: বাদ দেয়া হয়েছে মরু ভাষ্কর নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
১১) ক্লাস-৮: বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
১২) ক্লাস ৯-১০: সর্ব প্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
১৩) ক্লাস ৯-১০: এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি ‘আলাওল’ এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
১৪) ক্লাস ৯-১০: বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবানী কবিতাটি।
১৫) ক্লাস ৯-১০: গোলাম মোস্তাফার লেখা জীবন বিনিময় কবিতাটি। কবিতাটিতে মোঘল বাদশাহ বাবর ও তারপুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা।
১৬) ক্লাস ৯-১০: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতা।
**এবার আসুন কি কি প্রবেশ করানো হলোঃ-----
উপরোক্ত বিষয় গুলোর বদলে বাংলা বইয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে:--
১) ক্লাস-৫ : স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা।
২) ক্লাস-৬: প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের দেবী দূর্গার প্রশংসা।
৩) ক্লাস-৬: সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মত, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
৪) ক্লাস-৬: অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাচি’র ভ্রমণ কাহিনী।
৬) ক্লাস-৮: পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ন’ এর সংক্ষিপ্তরূপ।
৭) ক্লাস ৯-১০: প্রবেশ করেছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্মসম্পর্কিত ‘মঙ্গলকাব্যের অন্তর্ভূক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার
প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
১১) ক্লাস-৯-১০: প্রবেশ করেছে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা- কৃষ্ণের লীলাকৃর্তণ।
পাঠ্যপুস্তকে ইসলামকে বাদ দিয়ে যে হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করানো হয়েছে এটা সর্বপ্রথম বুঝতে পারার কথা মুসলিম শিক্ষক সমাজের। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তারা বিষয়টি নিয়ে কোন প্রতিবাদ করেনি। এছাড়া মুসলিম অভিভাবক সমাজেরও উচিত ছিলো বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা, বলা- “কেন তার সন্তানকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে হিন্দুত্ববাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ?” সত্য কথা তিতা, তবুও বলতে হয়-
প্রতিবাদহীন মুসলিম সমাজ আজ বোবা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৪