পুরবীঃ তুমি এভাবে আর কতো দিন দেশে থাকবা? ওখানে ত সব কিছু পরে আছে তাই না, ওখানে এত কিছুর খরচ সব ক্লোজ করে একেবারে দেশে চলে আস।
সাথে সাথে রেজা চটে গেল।
রেজাঃ আমি দেশে থাকি তুমি সেটা চাওনা। তুমি আমাকে সেটা বলতে পারতে যে তোমাকে আর ভাল লাগে না তুমি চলে যাও। আমাকে এখন আর ভাল লাগবে না। লাগবে কেন, আমিত ফুরিয়ে গেছি। কি আছে আমার মধ্যে। সব কিছু শেষ।
এর পরে রেজা বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। পুরবী একা একা বসে অনেকক্ষন কাঁদলো কেন তাকে সে এই কথা বলতে গেল। সে ত আমাকে ভুল বুঝে বাড়ি থেকে চলে গেল। আমি ত তাকে একান্ত নিজের করে নিতে চেয়েছি আর তাই ত তাকে ওখান থেকে সব ব্যবসা গুটিয়ে দেশে আস্তে বলেছি। সে এটাকে অন্য ভাবে নিল। তার পরে যথারীতি সবাই সবার কাজ করতে থাকল।
তারপর পুরবী একটু কান্নাকাটি করে রান্না করতে গেল। কিন্তু পুরবীর কন কিছুতেই মন বসছে না। বসবে কিভাবে সারাটা জীবন যাকে মন প্রান দিয়ে ভালবাসল সে আজ ভুল বুঝে তাকে কষ্ট দিল। কোন রকমে রান্না শেষ করল।
পুরবীঃ থাক আর রান্না করে খাওয়াব না। পারলে নিজে রান্না করে খাবে আর না হলে বলব আরেকটা বিয়ে করতে। অত যদি কষ্ট হয় তবে থাক তুমি তোমার সংসার নিয়ে, আমার দুই চোখ যেদিকে যাই আমি চলে যাব।
পুরবী এভাবে নিজের মনে কথা বলতে বলতে কখন ঘুমিয়ে গেল নিজেও টের পাইনি। যখন তার ঘুম ভাঙল দেখে তার পাশে রেজা মাতাল হয়ে পরে আছে।
পুরবীঃ আমি এই পুরুষটাকে কতবার বলেছি, কত কেঁদেছি, কত পা ধরেসি কিন্তু সে আমার কথা রাখেনি। প্রতি রাতে মাতাল হয়ে ঘরে ফেরে। জানি না ও বিদেশে কি করে সারাক্ষন, আমি জানব কি করে, ও আমাকে কিছু বলেও না। ....................................চলবে
বন্ধুরা আপনাদের যদি লেখাটা ভাল লাগে তাহলে আমাকে কমেন্ট করবেন। আর যাদের ভাল লেগেছে তারা আমাকে জানাবেন তাদের জন্য আমি গল্পটা শেষ করব। আর যদি ভাল না লাগে তবে তাও জানাবেন।