তুমি আসবে বলে
পর্ব-১
তুমি আসবে বলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি কৃষ্ণচুড়া গাছের তলায়। যেখানে দাড়িয়ে কত শত মন যে লেনাদেনা হয়েছিল তা আমার জানা ছিল না, আর তাই সেই হিসাব করতে আমার মাথার সব চুল গেল হারিয়ে। চুল গেলে ক্ষতি কি যদি হয়ে যায় দীর্ঘ ৪০ বছরের প্রত্যশিত সেই মধুর প্রেম। আমি জানি না প্রেম মধুর কিনা, তবে দেখেছি বন্ধুদের কতো ঘুম না যাওয়া রাত। স্মৃতি হাতরে যখন দেখি মনে পরে তাদের কত না দেওয়া ক্লাস টেষ্টের কথা, এই নিয়ে কত বকা ঝকা না দিয়েছে আমাদের প্রিয় স্যরেরা। আজ আমি ৪০ পেরিয়েছি কিন্তু পায়নি সেই প্রেমখানা। রবিবার সকাল বেলা আমার সেল ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এসেছিলো, প্রথমে মনে করেছিলাম আমার পরিছিত কেও ফোন করেছে, কিন্তু ফোন রিসিভ করে খুব সুললিত কন্ঠে আপনি কেমন আছেন? আমি চমকে উঠলাম! আমি তাকে বলেছিলাম আপনি কে? সে আমাকে বলেছিল আমি আপনার সাথে কথা বলব আপনার কি কোনো সমস্য আছে? আমি তাকে বলেছিলাম আপনার পরিচ্য় দেন আমি চেষ্টা করব। সে বলল যে সে আমার পরিচিত কার কাছ থেকে নাম্বার পেয়েছে। কিন্তু সে বলতে চাইলোনা কে বা কেন দিয়েছে। প্রতি দিন আমাকে সে ফোন দিয়ে খোজ খবর নিত। আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হলেও খারাপ কিন্তু লাগত না। একদিন সে ফোন দিলো না জানি না সেই দিন কেন আমি এত ছটফট করেছিলাম। পরের দিন ফোন আসলো, আমি ত তার উপর রেগে আগুন। সে আমাকে বোঝালো তার সমস্য ছিলো। আমি বুঝলাম এভাবে কয়েকদিন তারপর সে আমাকে তার সাথে দেখা করতে বলল, আমিত রাজি হতে চাইলাম না। সে নাছোর বান্দা। অনেক কষ্টে রাজি করালো। কিন্তু আমি জানি চল্লিশোর্ধ কোনো বুড়াকে কেহ পছন্দ করবে না। তার পরেও মনের কোণে সুপ্ত বাসনা নিয়ে নিজেকে বোঝালাম। না এমন তো হতে পারে সে আমারি মত কাওকে খুজছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:৫১